বিয়ের আগে সঙ্গম নয়। স্বামী কিংবা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও বৈধ নয়। নচেৎ হতে পারে কারাবাস। হ্যাঁ, আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা হন তাহলে বিবাহ বহির্ভূত যে কোনও শারীরিক সম্পর্কেই হতে পারে জেল। এমনকী পর্যটক হয়ে বালির সমুদ্রতটে বেড়াতে গেলেও এই আইনের থেকে আপনার ছাড় নেই। কার্যত এমনই আইন পাশ হল ইন্দোনেশিয়ায়। মঙ্গলবার, ইন্দোনেশিয়ার সংসদ ফৌজদারি কোডের বিভিন্ন সংশোধনের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত যৌনতাকে বেআইনি বলে অনুমোদন করেছে। আর সেই আইনে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হয়ে গেলেই তা বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে শুধু স্থানীয়দের জন্যে নয়, এই আইনের আওয়ায় থাকবেন পর্যটকেরাও। 2019 সাল থেকে বিতর্কিত এই বিলটির কাজ হয়েছিল। যা অবশেষে মঙ্গলবার অনুমোদিত হয়। আর এই নতুন আইনে অন্যান্য মৌলিক সংশোধনীর সঙ্গে বিবাহের বাইরে সহবাসের উপর নিষেধাজ্ঞা যোগ করা হয়েছে। তাই যদি আপনার বিরুদ্ধে বিবাহিত না হয়ে যৌন মিলনের অভিযোগ করা হয়, তাহলে আপনি এক বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে পারেন। তবে অবিবাহিত হলে দম্পতিদের সহবাসের শাস্তি কিছুটা কমে হতে পারে ছয়মাস।
তবে কোনও প্রমাণ ছাড়াই কী শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত করা হবে? সেক্ষেত্রে পুলিশের হস্তক্ষেপ ছাড়া এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। যে কোনও অভিযোগ অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্ত্রী, বাবা-মা কিংবা সন্তানদের দায়ের করা পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তিযোগ্য বলে গণ্য হবে।
আরও বেশ কিছু বিষয়েও অন্যান্য সংশোধনী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংশোধনীতে গর্ভনিরোধ এবং ধর্মনিন্দা প্রচার করা এবং বর্তমান জাতীয় নেতাদের কিংবা জাতীয় আদর্শের অবমাননাকে অপরাধ বলে ধরা হয়েছে । এক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন তবেই অভিযুক্তের জেল হতে পারে। একইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার স্বীকৃত ধর্ম যেমন ইসলাম, প্রোটেস্ট্যান্টবাদ, ক্যাথলিক, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং কনফুসিয়ানিজসের নীতিগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজ না করলেও পাঁচ বছরের জন্য জেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার আইনটিতে সমকামী যৌন সম্পর্ককেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এমন একটি আইনকে যে স্বাভাবিকভাবেই রাতারাতি কার্যকর করা যাবে না, সেবিষয়ে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার উপমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিয়ারিজ। তাঁর মতে, এক বছরে ফৌজদারি আইনটি কার্যকর করা "অসম্ভব"। সেক্ষেত্রে আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য় তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন।
তবে কোনও প্রমাণ ছাড়াই কী শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত করা হবে? সেক্ষেত্রে পুলিশের হস্তক্ষেপ ছাড়া এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। যে কোনও অভিযোগ অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্ত্রী, বাবা-মা কিংবা সন্তানদের দায়ের করা পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তিযোগ্য বলে গণ্য হবে।
আরও বেশ কিছু বিষয়েও অন্যান্য সংশোধনী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংশোধনীতে গর্ভনিরোধ এবং ধর্মনিন্দা প্রচার করা এবং বর্তমান জাতীয় নেতাদের কিংবা জাতীয় আদর্শের অবমাননাকে অপরাধ বলে ধরা হয়েছে । এক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন তবেই অভিযুক্তের জেল হতে পারে। একইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার স্বীকৃত ধর্ম যেমন ইসলাম, প্রোটেস্ট্যান্টবাদ, ক্যাথলিক, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং কনফুসিয়ানিজসের নীতিগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজ না করলেও পাঁচ বছরের জন্য জেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার আইনটিতে সমকামী যৌন সম্পর্ককেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এমন একটি আইনকে যে স্বাভাবিকভাবেই রাতারাতি কার্যকর করা যাবে না, সেবিষয়ে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার উপমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিয়ারিজ। তাঁর মতে, এক বছরে ফৌজদারি আইনটি কার্যকর করা "অসম্ভব"। সেক্ষেত্রে আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য় তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন।