এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ইদানিং প্রায় বেশিরভাগ গ্যাজেটসেই USB-C চার্জিং পোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু, কিছু ফোনে আবার এই টাইপ সি চার্জিং পোর্ট নেই। ফলে, নতুন ডিভাইস কিনলে তার সঙ্গে আবার নতুন চার্জারও কিনতে হচ্ছে। এর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপরে। সম্প্রতি, এই সমস্যা থেকে চিরকালীন মুক্তির পথ খুঁজতে নতুন আইন প্রণয়নের পথে হাঁটছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এই নতুন আইনের বলেই ইউরোপে সমস্ত ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসে USB-C চার্জার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।
একই চার্জার ব্যবহার করে নতুন ডিভাইস চার্জ করার সুবিধা করে দিতেই নতুন এই আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইউরোপে বিক্রি হওয়া সব স্মার্টফোনে USB-C চার্জিং পোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে Apple-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কমে যাবে।
এখনও সব স্মার্টফোনে কোম্পানির নিজস্ব পোর্ট ব্যবহার করে Apple। সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া iPhone 13 সিরিজের চারটি ফোনেও কোম্পানির নিজস্ব লাইটনিং পোর্ট দেখা গিয়েছে। Apple এর তরফ থেকে সংবাদমাধ্যম BBC-কে বলা হয়েছে, 'এই সিদ্ধান্ত আমাদের এক প্রকার চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি, এর ফলে কোম্পানিগুলির উদ্ভাবনী চিন্তায় বাধা পড়বে, যা প্রভাবে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের গ্রাহকদের ভুগতে হবে।'
যদিও ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ Android ফোনেই USB-C পোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু, কয়েকটি ফোনে আবার এখনও micro USB পোর্ট দেখা যাচ্ছে। স্মার্টফোনে USB-C পোর্ট ব্যবহার না করলেও কোম্পানির MacBook ল্যাপটপ ও iPad ট্যাবলেটে ইতিমধ্যেই USB-C পোর্টের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে Apple।
নতুন নিয়মে ডিভাইসের বডিতে একটি USB-C চার্জিং পোর্ট থাকতে হবে। চার্জিং কেবেলের অপর প্রান্তে USB-C অথবা USB-A পোর্ট ব্যবহার করা যাবে। 2018 সালের পর থেকে ইউরোপে বিক্রি হওয়া সব ফোনের 50 শতাংশতে micro USB পোর্ট ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও, 29 শতাংশ ফোনে USB-C ও 21 শতাংশ ফোনে লাইটনিং পোর্ট দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নিয়ম স্মার্টফোন ছাড়াও ট্যাবলেট, ক্যামেরা, হেডফোন, পোর্টেবল স্পিকার ও হ্যান্ডহেল্ড ভিডিয়ো গেম কনসোলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদিও, ইয়ারবাডস, স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ট্র্যাকারের মতো ছোট গ্যাজেটগুলিতে নিজস্ব চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করতে পারবে কোম্পানিগুলি। এছাড়াও, ফাস্ট চার্জিং স্পিডেও নতুন নিয়ম নিয়ে আসতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবার থেকে সব ফাস্ট চার্জিং ডিভাইস একই স্পিডে চার্জ করতে হবে কোম্পানিগুলিকে।
একই চার্জার ব্যবহারের জন্য এক দশকের বেশি সময় ধরে সওয়াল করে আসছেন ইউরোপের রাজনীতিবিদরা। সম্প্রতি, এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অব্যবহৃত চার্জিং কেবেল প্রতি বছর 11,000 টন বর্জ্য তৈরি করে, যার প্রভাব সরাসরি পরিবেশের উপরে পড়ছে। গত বছর ইউরোপের দেশগুলিতে 42 কোটি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে অন্যান্য পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইসও।
গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, একজন সাধারণ গ্রাহকের কাছে তিনটি মোবাইল চার্জার থাকে, যার মধ্যে দুটি চার্জার তাঁরা নিয়মিত ব্যবহার করেন। এদিকে আবার ইউরোপের রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন আইনের ফলে অতিরিক্ত বর্জ্য ঠেকানো যাবে। 2022 সাল থেকেই নতুন নিয়ম লাগু করার বিষয়ে আশাবাদী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চার্জিং পোর্ট বদল করার জন্য স্মার্টফোন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলিকে 24 মাস সময় দেওয়া হবে।
এই সময় ডিজিটালের টেক এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড।
একই চার্জার ব্যবহার করে নতুন ডিভাইস চার্জ করার সুবিধা করে দিতেই নতুন এই আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইউরোপে বিক্রি হওয়া সব স্মার্টফোনে USB-C চার্জিং পোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে Apple-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কমে যাবে।
এখনও সব স্মার্টফোনে কোম্পানির নিজস্ব পোর্ট ব্যবহার করে Apple। সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া iPhone 13 সিরিজের চারটি ফোনেও কোম্পানির নিজস্ব লাইটনিং পোর্ট দেখা গিয়েছে। Apple এর তরফ থেকে সংবাদমাধ্যম BBC-কে বলা হয়েছে, 'এই সিদ্ধান্ত আমাদের এক প্রকার চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি, এর ফলে কোম্পানিগুলির উদ্ভাবনী চিন্তায় বাধা পড়বে, যা প্রভাবে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের গ্রাহকদের ভুগতে হবে।'
যদিও ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ Android ফোনেই USB-C পোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু, কয়েকটি ফোনে আবার এখনও micro USB পোর্ট দেখা যাচ্ছে। স্মার্টফোনে USB-C পোর্ট ব্যবহার না করলেও কোম্পানির MacBook ল্যাপটপ ও iPad ট্যাবলেটে ইতিমধ্যেই USB-C পোর্টের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে Apple।
নতুন নিয়মে ডিভাইসের বডিতে একটি USB-C চার্জিং পোর্ট থাকতে হবে। চার্জিং কেবেলের অপর প্রান্তে USB-C অথবা USB-A পোর্ট ব্যবহার করা যাবে। 2018 সালের পর থেকে ইউরোপে বিক্রি হওয়া সব ফোনের 50 শতাংশতে micro USB পোর্ট ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও, 29 শতাংশ ফোনে USB-C ও 21 শতাংশ ফোনে লাইটনিং পোর্ট দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নিয়ম স্মার্টফোন ছাড়াও ট্যাবলেট, ক্যামেরা, হেডফোন, পোর্টেবল স্পিকার ও হ্যান্ডহেল্ড ভিডিয়ো গেম কনসোলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদিও, ইয়ারবাডস, স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ট্র্যাকারের মতো ছোট গ্যাজেটগুলিতে নিজস্ব চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করতে পারবে কোম্পানিগুলি। এছাড়াও, ফাস্ট চার্জিং স্পিডেও নতুন নিয়ম নিয়ে আসতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবার থেকে সব ফাস্ট চার্জিং ডিভাইস একই স্পিডে চার্জ করতে হবে কোম্পানিগুলিকে।
একই চার্জার ব্যবহারের জন্য এক দশকের বেশি সময় ধরে সওয়াল করে আসছেন ইউরোপের রাজনীতিবিদরা। সম্প্রতি, এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অব্যবহৃত চার্জিং কেবেল প্রতি বছর 11,000 টন বর্জ্য তৈরি করে, যার প্রভাব সরাসরি পরিবেশের উপরে পড়ছে। গত বছর ইউরোপের দেশগুলিতে 42 কোটি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে অন্যান্য পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইসও।
গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, একজন সাধারণ গ্রাহকের কাছে তিনটি মোবাইল চার্জার থাকে, যার মধ্যে দুটি চার্জার তাঁরা নিয়মিত ব্যবহার করেন। এদিকে আবার ইউরোপের রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন আইনের ফলে অতিরিক্ত বর্জ্য ঠেকানো যাবে। 2022 সাল থেকেই নতুন নিয়ম লাগু করার বিষয়ে আশাবাদী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চার্জিং পোর্ট বদল করার জন্য স্মার্টফোন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলিকে 24 মাস সময় দেওয়া হবে।
এই সময় ডিজিটালের টেক এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড।