এখন যে গতিতে ভারত থেকে স্মার্টফোন রপ্তানি হচ্ছে তাতে চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই গোটা 20221-22 অর্থবর্ষে যে পরিমাণ ভারত থেকে রপ্তানি হয়েছিল তা ছাড়িয়ে যাবে। 2022-23 অর্থবর্ষের শেষে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার থেকে প্রায় 900 কোটি স্মার্টফোন রপ্তানি হতে পারে। ইতিমধ্যেই চলতি আর্থিক বছরে ভারত থেকে 580 কোটি স্মার্টফোন রপ্তানি হয়েছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ স্মার্টফোন রপ্তানি করেছিল ভারত। সেই মাসে মোট 100 কোটি স্মার্টফোন ভারত থেকে রপ্তানি হয়েছিল। অক্টোবরে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে 90 কোটি হয়েছিল। বিশ্ব অর্থনীতিতে বৃদ্ধির গতি কমার কারণেই অক্টোবরে স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছিল। যার প্রভাব পড়েছিল রপ্তানিতে।
ভারতের মোবাইল ফোন রপ্তানির প্রায় 90 শতাংশ করে Apple ও Samsung। iPhone 12, iPhone 13 ও iPhone 14 - এর মতো মডেলগুলি ছাড়াও ভারত থেকে রপ্তানি হয় Galaxy M ও Galaxy A সিরিজের ফোনগুলি।
2014-15 অর্থবর্ষে ভারতে বিক্রি হওয়া 100টি মোবাইল ফোনের 78টি বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। চলতি আর্থিক বছরের শেষে সেই সংখ্যা কমে 4 হতে পারে। অর্থাৎ দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া সব মোবাইল ফোনের মাত্র 4 শতাংশ আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের স্মার্টফোন উৎপাদন ও রপ্তানিতে বড় সাফল্যের কথা টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “ভারত উৎপাদনের দুনিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের কারণেই স্মার্টফোন উৎপাদন ও রপ্তানিতে এই বিপুল জোয়ার দেখা গিয়েছে। বিশ্বের তাবড় কোম্পানিগুলি এই স্কিমের সুবিধা নিতে ভারতে উৎপাদনে জোর দিয়েছে। Apple - এর মতো সংস্থা iPhone 14 বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের 10 দিনের মধ্যেই ভারতে এই ফোন তৈরি শুরু করে দিয়েছিল। পশ্চিমী দেশগুলিতেও ভারতে তৈরি ফোনের চাহিদা বাড়তে থাকায় ভারতে একের পর এক কোম্পানি হাই এন্ড ফোন উৎপাদন শুরু করে। আগে দক্ষিণ কোরিয়া, মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকার কিছু দেশে ভারত ফিচার ফোন রপ্তানি করত। কিন্তু কেন্দ্রের PLI স্কিমের পরে ভারতে তৈরি প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্রিটেন, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ইতালির মতো ইউরোপের দেশে রপ্তানি হচ্ছে।