অ্যাপশহর

মোদি সরকারের নজরে চিনা ব্র্যান্ড Vivo! বন্ধ হতে পারে ব্যবসা?

Xiaomi-এর পর এবার আর্থিক গরমিলের অভিযোগ উঠল আরও দুই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা Vivo এবং ZTE-এর উপরেও। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণার অভিযোগও। কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে অজানা সূত্র থেকে আসা একটি অভিযোগের পরেই বিষয়টি নজরে আসে। তাই এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী এজেন্সি।

Produced byAbhishek Biswas | EiSamay.Com 31 May 2022, 5:03 pm
এবার আতস কাচের তলায় চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা Vivo এবং ZTE। জানা গেছে ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। আর সেকারণে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী এজেন্সি।
EiSamay.Com Vivo Mobile
প্রতীকী ছবি


এর আগেও অতি জনপ্রিয় মোবাইল প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড Xiaomi-র বিরুদ্ধে আর্থিক গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্য়ে সেই অভিযোগের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল ZTE এবং Vivo-র ভারতের ইউনিটের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ করেছে Bloomberg। তাদের তরফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের (Ministry of Corporate Affairs)-এর কাছে এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়ে। অজানা সূত্র থেকে আসা ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই দুই সংস্থা বিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এছাড়াও প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। এর পরেই ওই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে। এবং তাদের অডিটর রিপোর্ট খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। ZTE-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও অতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হতে পারে।

আরও পড়ুন: undefined
এর আগেও একই অভিযোগ উঠেছিল মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা Xiaomi-র বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর পুরো অভিযোগের তদন্তভার গ্রহণ করেছে। এমনকি সংস্থার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে সংস্থার প্রায় 5 হাজার 500 কোটি টাকা রয়েছে। এদিকে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার ফলে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে।

যদিও কর্নাটক হাইকোর্ট Xiaomi-কে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে সংস্থা চালানোর জন্য প্রতিদিন বেশ কিছু পরিমাণ টাকার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে দৈনিক অফিস পরিচালনার জন্য টাকা খরচ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: undefined

চলতি বছরের শুরুতেই Xiaomi-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তখন থেকেই একপ্রকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির আতসকাচের নীচে চলে আসে সংস্থাটি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অবৈধ ভাবে টাকা লেনদেন করেছে Xiaomi। 2015 সালে ভারতের বাজারে প্রবেশ করে তারা। আর তখন থেকেই এই ধরনের কাজ করছে তারা।

এবার সেই একই অভিযোগ উঠল Vivo-র বিরুদ্ধেও। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর প্রভাব ভারতের স্মার্টফোনের বাজারে পড়তে পারে।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Abhishek Biswas

পরের খবর