অ্যাপশহর

IIM Ahmedabad: গোরুর Face Recognition করবে প্রযুক্তি, বাড়বে অর্থনীতি! দাবি বিজ্ঞানীদের

IIM Ahmedabad Cow Face Recognition: যে সব গোরু রাস্তায় থাকে তাদের জন্য এবার ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে এল দেশের সেরা বিজনেস স্কুল IIM আহমেদাবাদ (IIMA)। এই জন্য ফেস রিকগনিশনের একটি মডেল নিয়ে এসেছে IIMA। যা ডোনারের সঙ্গে প্রতিপালন করা হয় না এমন যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। যা গোরুর উপরে নির্ভরশীল অর্থনীতির উন্নতি অথবা "Gai Aadharit Unnati (GAU)” অর্জনে সাহায্য করবে। কী ভাবে কাজ করবে? দেখে নিন।

Produced bySatyaki Bhattacharyya | EiSamay.Com 26 Jul 2022, 10:43 am
গ্রামীণ ভারতের অর্থনীতিতে গোরু বড় ভূমিকা পালন করে। যে সব গোরু রাস্তায় থাকে তাদের জন্য এবার ফেস রিকগনিশন (Face Recognition) প্রযুক্তি নিয়ে এল দেশের সেরা বিজনেস স্কুল IIM Ahmedabad (IIMA)। এই জন্য ফেস রিকগনিশনের একটি মডেল নিয়ে এসেছে IIMA। যা ডোনারের সঙ্গে প্রতিপালন করা হয় না এমন যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। যা গোরুর উপরে নির্ভরশীল অর্থনীতির উন্নতি অথবা "Gai Aadharit Unnati (GAU)” অর্জনে সাহায্য করবে।
EiSamay.Com cow face recognition


সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে রাস্তার যে সব গোরু গোয়ালে পৌঁছয় তাদের সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল বেসড মডেলের মাধ্যমে দাতার সংযোগ করিয়ে দেওয়া হবে। যা গোরুর উপর নির্ভরশীল একটি অর্থনীতি তৈরিতে সাহায্য করবে। IIMA -র অমিত গর্গ এই গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে GAU Model -এর সূচনা হয়েছিল। গুজরাটের ভদোদরায় এই টেক প্ল্যাটফর্মের লাইভ ডেমনস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছিল।

শীঘ্রই উত্তর প্রদেশেও এই মডেলের সূচনা হতে পারে। এই প্রযুক্তি কী ভাবে কাজ করবে তা দেখানোর জন্য 1000টি গোরুকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

GAU Vision অ্যাপের মাধ্যমে গোরুর ফেস রিকগনিশনের কাজ হবে। কেউ গোরু দান করতে চাইলে সেই গোরুর প্রোফাইল তৈরি করা যাবে।

গোরু ছবি থেকে অথবা গোরুর সামনে দাঁড়িয়ে গোরুকে চিনে নেওয়ার জন্য মডেল তৈরি করেছে TechMachinery Labs। গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে 92 শতাংশ নির্ভুলভাবে এই মডেল গোরু চিনে নিতে পারবে।

GAU প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দাতার টাকা একটি NGO-র কাছে পৌঁছে যাবে।

গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবে। এছাড়াও একটা দাতা ডেটাবেস থেকে এক বা একাধিক গোরু বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
বাড়িতে গোরু রাখলে করাতে হবে লাইসেন্স, নয়া নিয়ম দেশের এই রাজ্যে
এই ধরনের গোরু থেকে গোবর, ঘুঁটে, কম্পোস্ট, ব্রিকেট, ধূপকাঠি সহ অনেক ধরনের বাই প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও গোবর থেকে বায়ো গ্যাস ও বায়ো ফার্টিলাইজার উৎপাদন সম্ভব। যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।

এই মডেল দেখায় একটি গ্রাম বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে কী ভাবে শক্তির টেকসই উৎস তৈরি করে কী ভাবে LPG-র প্রতি নিজেদের নির্ভরশীলতা কমাতে পারে।
গোরুর থাকুক মৌলিক অধিকার, গো-মাতাকে জাতীয় পশু ঘোষণার সুপারিশ হাইকোর্টে
গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে, “দীর্ঘ সাময়ে প্রস্তাবিত মডেলটি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব উৎপাদনের উপর বেশি নির্ভর করে। একটি অর্থনীতির জন্য GAU-ভিত্তিক স্থায়িত্ব মডেলকে সক্ষম করার জন্য অনুদানের অংশটি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

এই গবেষণা পত্রে পশুসম্পদ শুমারির উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে গোটা দেশে 50 লক্ষ বিপথগামী গোরু রয়েছে। এই ধরনের গোরুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Satyaki Bhattacharyya
Satyaki Bhattacharya has been working in the digital media for the last 10 years. Currently he is working as a Tech Editor and Digital Content Producer for Eisamay.com, Bengali News website of the Times Internet, a product of the Times of India Group.... আরও পড়ুন

পরের খবর