এই সময়: হঠাৎ টুং করে বেজে উঠলো মোবাইল। রামরতন হালদার দেখলেন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার এসএমএস। লেখা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, এখন ফোন করে বিল মেটান, নইলে কালকেই কেটে দেওয়া হবে আপনার লাইন! সম্ভাব্য বিপদের কথা ভেবে রামরতন ফোন করলেন সেই নম্বরে। কিন্তু তখনও জানেন না, আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এক ব্যক্তি ফোনের ওপার থেকে বললেন, 'একটা লিঙ্ক দিচ্ছি, সেটা থেকে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইলে ইনস্টল করুন। তারপর ই ওয়ালেট থেকে অল্প কিছু টাকা পে করুন।' নির্দেশ মেনে সে কাজ করেই মাথায় হাত রামরতনের। ব্যাঙ্কে জমানো তাঁর সারাজীবনের টাকা-কড়ি সব এক ক্লিকেই বেরিয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের নাম করে এ ভাবে যে তাঁকে সর্বস্বান্ত হতে হবে ঘুণাক্ষরেও ধরতে পারেননি তিনি।
বাগুইআটিতে কিছুদিন আগে দুই স্কুল ছাত্রের খুনের কথা মনে আছে? অনলাইন গেম খেলে এক ছাত্র প্রচুর টাকার মালিক হয়ে উঠেছিল। তারপর দামী বাইক কিনতে গিয়েই ঘটেছিল বিপদ। টাকার লোভে আর সম্পর্কের জটিলতায় খুন হতে হয় বাগুইআটির সেই ছাত্র এবং তাঁর এক ভাইকেও। ইন্টারনেটের যুগে এমনই সাইবার অপরাধ এখানে-ওখানে ঘটে চলেছে অবিরাম। ভার্চুয়াল ডাকাত বা চোরেদের জন্য মোবাইলের একটা টাচই যথেষ্ট। এ নিয়ে সচেতনতার অভাব আরও বেশি করে কার্যসিদ্ধি করছে চোর-ডাকাতদের।
সেই সমস্যার সমাধানে আর জনতার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সাইবার সম্মোহন নামে একটি কমিক স্ট্রিপের মাধ্যমে গল্প-ছবিকেই হাতিয়ার করল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স। এর আগেও এমন একটি বই প্রকাশ করা হয়েছিল।
এ বার ১২টি এমন অপরাধ বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলি ঘটে চলেছে অহরহ। যেমন বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ার নামে প্রতারণা, হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণা, চাকরির টোপ, বিটকয়েনে ইনভেস্টের নামে লোক ঠকানো এমনকী অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে টাকা রোজগারের পর্দাফাঁস করা হয়েছে এই সাইবার সম্মোহনের দ্বিতীয় সংস্করণে। রাজ্যে তথ্য সুরক্ষা আধিকারি সঞ্জয়কুমার দাস জানান, ইতিমধ্যে প্রচুর সাড়া পাওয়া গিয়েছে। বিনামূল্যে এই সব কমিক বই সংগ্রহ করে অনেকেই সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষার পাঠশালা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের কাছেও এই কমিক স্ট্রিপ ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ।
বাগুইআটিতে কিছুদিন আগে দুই স্কুল ছাত্রের খুনের কথা মনে আছে? অনলাইন গেম খেলে এক ছাত্র প্রচুর টাকার মালিক হয়ে উঠেছিল। তারপর দামী বাইক কিনতে গিয়েই ঘটেছিল বিপদ। টাকার লোভে আর সম্পর্কের জটিলতায় খুন হতে হয় বাগুইআটির সেই ছাত্র এবং তাঁর এক ভাইকেও। ইন্টারনেটের যুগে এমনই সাইবার অপরাধ এখানে-ওখানে ঘটে চলেছে অবিরাম। ভার্চুয়াল ডাকাত বা চোরেদের জন্য মোবাইলের একটা টাচই যথেষ্ট। এ নিয়ে সচেতনতার অভাব আরও বেশি করে কার্যসিদ্ধি করছে চোর-ডাকাতদের।
সেই সমস্যার সমাধানে আর জনতার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সাইবার সম্মোহন নামে একটি কমিক স্ট্রিপের মাধ্যমে গল্প-ছবিকেই হাতিয়ার করল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স। এর আগেও এমন একটি বই প্রকাশ করা হয়েছিল।
এ বার ১২টি এমন অপরাধ বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলি ঘটে চলেছে অহরহ। যেমন বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ার নামে প্রতারণা, হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণা, চাকরির টোপ, বিটকয়েনে ইনভেস্টের নামে লোক ঠকানো এমনকী অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে টাকা রোজগারের পর্দাফাঁস করা হয়েছে এই সাইবার সম্মোহনের দ্বিতীয় সংস্করণে। রাজ্যে তথ্য সুরক্ষা আধিকারি সঞ্জয়কুমার দাস জানান, ইতিমধ্যে প্রচুর সাড়া পাওয়া গিয়েছে। বিনামূল্যে এই সব কমিক বই সংগ্রহ করে অনেকেই সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে সাইবার সুরক্ষার পাঠশালা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের কাছেও এই কমিক স্ট্রিপ ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ।