দাম দিয়ে কোনও একটা জিনিস কিনলেন। অথচ বাড়িতে এনে দেখলেন গোটাটাই ভুয়ো কিংবা ভেজাল। এসব পরিস্থিতিতে আপনি কী করেন! খানিকটা গজগজ করে টাকাটা গচ্চা ভেবে ভুলে যান বিষয়টা। পরের দিন বেরিয়ে ফের সেই জিনিস কিনে আনেন একই দাম দিয়ে! এসব ক্ষেত্রে দৈবের ঘাড়েই সব কিছু ছেড়ে বসে থাকি আমরা। কিন্তু কেন? দেশে কি আইন আদালত বলে কিছু নেই! 15 মার্চ, World Consumer Rights Day অর্থাৎ বিশ্ব ক্রেতাসুরক্ষা দিবস। ক্রেতাসুরক্ষা নিশ্চিত করতে রয়েছে অজস্র আইন, রয়েছে আদালত। তবে সেসব সম্পর্কে কি আদৌ সচতন আমরা?
গ্রাহক বা ক্রেতা হিসেবে কোনও পণ্যের ভালো-মন্দ সম্পর্কে অভিযোগ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ক্রেতার। এই ধরনের অভিযোগ সরাসরি আদালতে গিয়ে দায়ের করতে পারেন আপনি। যথাযথ কাগজপত্র থাকলে সে কাজ মোটেও কঠিন কিছু নয়। তবে আপনি যদি আদালতে ছুটোছুটি না-চান, তবে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন অনলাইনেও। কীভাবে অনলাইনে অভিযোগ জানাবেন? দেখে নিন চট করে।
ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য সরকারের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। যার নাম কনসিউমার অনলাইন রিসোর্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার (core.nic.in)। পণ্যসংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ, ক্ষোভ এই পোর্টালে গিয়ে জানাতে পারেন গ্রাহকেরা। আর এই পোর্টালটি দেখভাল করেন কনসিউমার কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং তাকে সাপোর্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। তত্ত্বতালাস তো হল, এবার কী ভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন অনলাইনে, দেখে নেওয়া যাক।
ক্রেতাসুরক্ষা সংক্রান্ত ওই পোর্টালে একজন অভিযোগকারী একবারই মাত্র অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। একটি মাত্র ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে একাধিক অভিযোগ দায়ের করতে পারেন একজন গ্রাহক। আর সেইসব অভিযোগের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেকও করতে পারেন অভিযোগকারী। অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি মেসেজ চলে যাবে অভিযুক্ত সংস্থা কিংবা সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছেও। অভিযোগের আপডেট ট্র্যাক করতে পারবে তারাও। হিন্দি বা ইংরেজি দুটি ভাষাতেই দায়ের করা যাবে অভিযোগ।
আসলে সচেতনতার অভাবেই অনেক সময়েই অধিকার বুঝে নিতে ভুলে যাই আমরা। আর এ বিষয়ে বারবার বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকারের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। মনে রাখবেন, ক্রেতাসুরক্ষা কিন্তু আপনার অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
গ্রাহক বা ক্রেতা হিসেবে কোনও পণ্যের ভালো-মন্দ সম্পর্কে অভিযোগ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ক্রেতার। এই ধরনের অভিযোগ সরাসরি আদালতে গিয়ে দায়ের করতে পারেন আপনি। যথাযথ কাগজপত্র থাকলে সে কাজ মোটেও কঠিন কিছু নয়। তবে আপনি যদি আদালতে ছুটোছুটি না-চান, তবে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন অনলাইনেও। কীভাবে অনলাইনে অভিযোগ জানাবেন? দেখে নিন চট করে।
ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য সরকারের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। যার নাম কনসিউমার অনলাইন রিসোর্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার (core.nic.in)। পণ্যসংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ, ক্ষোভ এই পোর্টালে গিয়ে জানাতে পারেন গ্রাহকেরা। আর এই পোর্টালটি দেখভাল করেন কনসিউমার কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং তাকে সাপোর্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। তত্ত্বতালাস তো হল, এবার কী ভাবে অভিযোগ দায়ের করবেন অনলাইনে, দেখে নেওয়া যাক।
রেজিস্ট্রেশন
অভিযোগ দায়েরের জন্য় প্রথমেই ওই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের কাজ সেরে ফেলতে হবে অভিযোগকারীকে। তার জন্য দরকার, নাম, ঠিকানা, ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর। এর পরেই সেখানে আপনার জন্য একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড তৈরি হবে।অভিযোগ দায়ের
তবে যে কোনও খুচরো বিক্রেতার নামে কিন্তু অভিযোগ দায়ের সম্ভব নয় এই পোর্টালে। অভিযোগ জানাতে হবে এমন সংস্থা বা সার্ভিস প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে, যাদের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। পোর্টালে অনলাইন কমপ্লেইন্ট সিস্টেমে রয়েছে একটি মেনু অপশন, যেখান থেকে সেক্টর, সেগমেন্ট ও ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা। সেখানে ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের রেজিস্টার্ড সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে।পদ্ধতি
কোন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো হল। এবার কী ধরনের অভিযোগ তা জানানোর পালা। তার জন্য সাপোর্টিং ডকুমেন্ট অনলাইনে আপডেট করতে হবে অভিযোগকারীকে। তার জন্য কী ধরনের ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, সে বিষয়েও পোর্টাল থেকে জানতে পারবেন গ্রাহক।স্ট্যাটাস
সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ আপলোড করে সাবমিট হয়ে গেলে একটি ইলেট্রনিক্যালি জেনারেটেড নম্বর জেনারেট হবে। আর সেই নম্বর ব্যবহার করেই আপনি আপনার অভিযোগের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।ক্রেতাসুরক্ষা সংক্রান্ত ওই পোর্টালে একজন অভিযোগকারী একবারই মাত্র অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। একটি মাত্র ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে একাধিক অভিযোগ দায়ের করতে পারেন একজন গ্রাহক। আর সেইসব অভিযোগের স্ট্যাটাস অনলাইনে চেকও করতে পারেন অভিযোগকারী। অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি মেসেজ চলে যাবে অভিযুক্ত সংস্থা কিংবা সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছেও। অভিযোগের আপডেট ট্র্যাক করতে পারবে তারাও। হিন্দি বা ইংরেজি দুটি ভাষাতেই দায়ের করা যাবে অভিযোগ।
আসলে সচেতনতার অভাবেই অনেক সময়েই অধিকার বুঝে নিতে ভুলে যাই আমরা। আর এ বিষয়ে বারবার বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকারের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। মনে রাখবেন, ক্রেতাসুরক্ষা কিন্তু আপনার অধিকারের মধ্যেই পড়ে।