অ্যাপশহর

খেলোয়াড়দের চাঙা রাখতে কাজ বেড়েছে মনোবিদদের

ক্রীড়াবিদদের জন্য মনোবিদদের টোটকা, এই সময় মন যেন বিক্ষিপ্ত হয়ে না পড়ে। রাগও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নানাকা যেমন যুক্ত শ্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলছেন, ‘নেতিবাচক চিন্তাটা বাস্তব নয়, এটা স্রেফ একটা ভাবনা। তবে পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা বাস্তব।’

EiSamay.Com 15 Apr 2020, 2:36 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে ফিটনেসের জন্য শারীরিক কসরতের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানসিক ভাবে চাঙা হওয়ারও টোটকা দিচ্ছেন মনোবিদরা। তাঁদের মতে, তারকা খেলোয়াড়রা লকডাউনে খুব একটা বিমর্ষ নন। কিন্তু এই আবহে তুলনায় কম জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদদের মনোবল বাড়ানোর কাজটাই আসল চ্যালেঞ্জ ক্রীড়া মনোবিদদের।
EiSamay.Com Psychologists having a busy time to keep the players mentally healthy amidst lockdown
কাজ বেড়েছে মনোবিদদের


রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, জেসএসডব্লিউ এবং গোস্পোর্টস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত মনোবিদ চৈতন্য শ্রীধরের কথায়, ‘অ্যাথলিটদের নিয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে বৃহত্তর প্রেক্ষিতে ভাবতে হবে। প্রথম দল হল এলিট। তার পর জাতীয় স্তরের অ্যাথলিটরা, যারা পরের লেভেলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এবং শেষ পর্যায়ে থাকছে অ্যাকাডেমি স্তরের এক ঝাঁক খেলোয়াড়। লকডাউনে প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়া একেবারে আলাদা।’ পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট ও ক্রীড়া মনোবিদ নানাকি জে চন্দার সাফ কথা, ‘সবার আগে মনের মধ্যে থাকা সব রকম নেতিবাচক বিষয়গুলোকে দূর করতে হবে।’

টোকিও অলিম্পিকে টিকিট পাওয়া তিরন্দাজ অতনু দাসের কথায়, ‘মনের জোরকে অটুট রাখাই অন্যতম কাজ। অলিম্পিক পিছিয়ে গেল। এখনও শুনতে পাচ্ছি, ২০২১ সালে হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। এই খবরগুলো নেতিবাচক। মন খারাপ করে দেয়। চ্যালেঞ্জ এখানেই। ঘরে বসে দিনে একঘণ্টা মেরিটেশন ও যোগা করছি। তারসঙ্গে অবশ্যই ফিটনেস ট্রেনিং।’

এই ব্যাপারে এক মত বাংলার তারকা পেসার ঈশান পোড়েল। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি সব সময়ই গান শুনতে ভালোবাসি। কিন্তু লকডাউনে কোনও স্লো বা দুঃখের গান শুনছি না। সে জন্য লাউড মিউজিক শুনছি।’

ক্রীড়ামনোবিদ জগতের এক পরিচিত নাম কিরথানা স্বামীনাথন মানছেন হতাশার কথা। সেটা কাটিয়ে উঠতে রাহুল দ্রাবিড়ের উদাহরণ টানছেন তিনি। স্বামীনাথনের কথায়, ‘এটা সত্যি, অলিম্পিকের বছরে যারা ফর্মের তুঙ্গে ছিল, তাদের মধ্যে একটা হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘কন্ট্রোল দ্য কন্ট্রোল লেভেলস,’ এই মতের বিশ্বাসী আমি।’

অতনু যোগ করছেন, ‘ এরকম পরিস্থিতি গোটা বিশ্বও দেখেনি। আমরা কেউই দেখিনি। শুধু খেলোয়াড়ে কেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে তা আঘাত করেছে। নেগেটিভ চিন্তা সকলের কমবেশি বেড়েছে। আমি বরং হতাশা কাটিয়ে নতুন ভোরের আশা করছি।’

নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে মনোবিদরা বলছেন, লকডাউনে নতুন নতুন শখ আবিষ্কার করছেন ক্রীড়াবিদরা। এক খেলোয়াড় নাকি অনলাইনে পিয়ানো শিখছেন। শ্রীধর তুলে ধরেছেন নিজের অভিজ্ঞতা, ‘এক সাঁতারু আমায় এসে বলল যে, সে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। আমি বললাম, তাতে কি তুমি সাঁতার ছেড়ে দেবে? সে বলল, না। আমি বললাম, উত্তর তো তুমি নিজেই দিয়ে দিলে।’ সোজা কথায়, ফোকাস ঠিক রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন স্পোর্টস সাইকোলজিস্টরা।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল