এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : জাতীয় টেবিল টেনিস কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন টেবিল টেনিস তারকা মণিকা বাত্রা। টোকিও অলিম্পিকের পর তাঁকে শোকজ করে ফেডারেশন। সেই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’-এর অভিযোগ আনেন। অলিম্পিকে মণিকা বাত্রা তাঁর ব্যক্তিগত কোচ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ,করোনাবিধির কারণে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়। ম্যাচের মাঝেই তাঁর সাহায্য নিতে অস্বীকার করেন মণিকা। এরপরই অলিম্পিকের শেষে মণিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। যেখানে মণিকার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি জাতীয় কোচের থেকে সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি নোটিশের জবাব দেন তিনি, TTFI-এর সচিব অরুণ বন্দোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে জবাবে তিনি লেখেন, 'ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মনোসংযোগ ব্যাঘাত ঘটতে পারত ওঁর পরামর্শ নিলে। তাই নিইনি। এছাড়া অপর একটি কারণও আছে। আমার মতে যেটা সবথেকে বড়। জাতীয় কোচ আমাকে ২০২১ সালে দোহায় যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেন। সেটা করলে তাঁর ছাত্র অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারতেন। এটা একধরনের ম্যাচ ফিক্সিং'।
এই ভয়ানক অভিযোগের পর সৌম্যদীপ রায় কোনও বিবৃতি দেননি। প্রাক্তন খেলোয়াড় সৌম্যদীপ বর্তমানে জাতীয় কোচ। তাঁকে জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য TTFI-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে সংস্থার সচিব বলেন, 'সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকেই বলতে হবে এই ব্যাপারে। আমরা যখন তদন্ত করব, তখন ওকে জবাব দিতে হবে'।
মণিকা বাত্রা ও সুতীর্থা মুখোপাধ্য়ায় সৌম্যদীপ রায়ের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেখান থেকেই তাঁরা টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেন। মণিকা তাঁর জবাবে লেখেন, 'আমার কাছে ঘটনার প্রমাণ আছে। কমিটির কাছে প্রমাণ জমা দিতে আমি প্রস্তুত। আমাকে ম্যাচে মনোযোগ করতে না বলে জাতীয় কোট আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে ডাকেন এবং ২০ মিনিট কথা বলেন। উনি অনৈতিকভাবে নিজের ছাত্রকে সুবিধা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাঁর প্রস্তাব নাকোচ করি ও বিষয়টা TTFI-কে জানাব বলি। আমি জাতীয় কোচের বিরুদ্ধে কোনও অনৈতিক মন্তব্য করতে চাইনি। কিন্তু ওর চাপ আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করেছিল। যা আমার খেলায় প্রভাব পড়েছে। তাই অলিম্পিকের সময় আমি কোচের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার দায়িত্ব ছিল দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা'।
তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশে তিনি বলেন, 'আমার মিথ্যাভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কোচের চেয়ার খালি রেখেছিলাম। সেটা জাতীয় কোচের চাপের ফল। ম্যাচ ফিক্সিং ও TTFI-এর পদক্ষেপ না নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সেটাকেই ওরা নিয়মভঙ্গ বলেছে। আমি এর আগেও ১৪ অগস্ট ২০২১-এ ইমেইলের মাধ্যমে এই বিষয়টা জানাতে চাই কিন্তু, এই বিষয়ে কথা বলতে TTFI অস্বীকার করে। তাই আমি একা ম্যাচ খেলে কোনও ভুল করিনি'।
সম্প্রতি নোটিশের জবাব দেন তিনি, TTFI-এর সচিব অরুণ বন্দোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে জবাবে তিনি লেখেন, 'ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মনোসংযোগ ব্যাঘাত ঘটতে পারত ওঁর পরামর্শ নিলে। তাই নিইনি। এছাড়া অপর একটি কারণও আছে। আমার মতে যেটা সবথেকে বড়। জাতীয় কোচ আমাকে ২০২১ সালে দোহায় যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেন। সেটা করলে তাঁর ছাত্র অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারতেন। এটা একধরনের ম্যাচ ফিক্সিং'।
এই ভয়ানক অভিযোগের পর সৌম্যদীপ রায় কোনও বিবৃতি দেননি। প্রাক্তন খেলোয়াড় সৌম্যদীপ বর্তমানে জাতীয় কোচ। তাঁকে জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য TTFI-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে সংস্থার সচিব বলেন, 'সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকেই বলতে হবে এই ব্যাপারে। আমরা যখন তদন্ত করব, তখন ওকে জবাব দিতে হবে'।
মণিকা বাত্রা ও সুতীর্থা মুখোপাধ্য়ায় সৌম্যদীপ রায়ের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেখান থেকেই তাঁরা টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেন। মণিকা তাঁর জবাবে লেখেন, 'আমার কাছে ঘটনার প্রমাণ আছে। কমিটির কাছে প্রমাণ জমা দিতে আমি প্রস্তুত। আমাকে ম্যাচে মনোযোগ করতে না বলে জাতীয় কোট আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে ডাকেন এবং ২০ মিনিট কথা বলেন। উনি অনৈতিকভাবে নিজের ছাত্রকে সুবিধা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাঁর প্রস্তাব নাকোচ করি ও বিষয়টা TTFI-কে জানাব বলি। আমি জাতীয় কোচের বিরুদ্ধে কোনও অনৈতিক মন্তব্য করতে চাইনি। কিন্তু ওর চাপ আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করেছিল। যা আমার খেলায় প্রভাব পড়েছে। তাই অলিম্পিকের সময় আমি কোচের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার দায়িত্ব ছিল দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা'।
তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশে তিনি বলেন, 'আমার মিথ্যাভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কোচের চেয়ার খালি রেখেছিলাম। সেটা জাতীয় কোচের চাপের ফল। ম্যাচ ফিক্সিং ও TTFI-এর পদক্ষেপ না নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সেটাকেই ওরা নিয়মভঙ্গ বলেছে। আমি এর আগেও ১৪ অগস্ট ২০২১-এ ইমেইলের মাধ্যমে এই বিষয়টা জানাতে চাই কিন্তু, এই বিষয়ে কথা বলতে TTFI অস্বীকার করে। তাই আমি একা ম্যাচ খেলে কোনও ভুল করিনি'।