অ্যাপশহর

জাতীয় শিবিরে ২৪ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিনেশের ট্যুইটে জ্বলল আলো

স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার লখনৌতে সেন্টারে অন্তত একশোর বেশি কুস্তিগির থাকেন। দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা সেখানেই প্র্যাক্টিস করেন। ২৪ ঘণ্টা পরে বিদ্যুতের দেখা না পাওয়ার পর কুস্তিগির বিনেশ ফোগত টুইট করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে ট্যাগ করে।

EiSamay.Com 20 Jul 2019, 1:25 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক:লখনৌতে জাতীয় কুস্তি শিবিরে রাতভর লোডশেডিং।
EiSamay.Com binesh phogat
বিনেশ ফোগট


এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী, অলিম্পিয়ান বিনেশ ফোগতের টুইটে দৌড়ঝাঁপের পর অবশেষে জ্বলল আলো। ঘুরল ফ্যান।

স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার লখনৌতে সেন্টারে অন্তত একশোর বেশি কুস্তিগির থাকেন। দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা সেখানেই প্র্যাক্টিস করেন। ২৪ ঘণ্টা পরে বিদ্যুতের দেখা না পাওয়ার পর কুস্তিগির বিনেশ ফোগত টুইট করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে ট্যাগ করে। বিনেশ সেই টুইটে লিখেছেন, ‘২৪ ঘণ্টা ধরে হোস্টেলে আলো নেই। গোটারাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি। ৩৬ ডিগ্রি গরমে নাজেহাল অবস্থা। ঘামতে ঘামতে শরীরের হাল একেবারে খারাপ। এরপরে প্র্যাক্টিসে নামতে হবে।’

‘দঙ্গল’ পরিবারের কুস্তিগিরের টুইটের কয়েকঘণ্টার মধ্যে পাল্টা টুইটে উত্তর দেন কিরেন রিজিজু। প্রথমে লিখেছেন, ‘ব্যাপারটা খোঁজ নিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’ পরে তিনি আরও একটি টুইটে লিখেছেন, ‘সাইয়ের হোস্টেলের বাইরে ট্রান্সফর্মারে সমস্যার জন্য লাইন বন্ধ রাখা হয়েছিল। সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। সাইয়ের আধিকারিকরা সেখানে রয়েছেন। কাজ চলছে। আশা করছি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলো চলে আসবে।’

বিনেশের টুইট ছিল রাতে আড়াইটে নাগাদ।

সন্ধের দিকে সাই প্রেস রিলিজে কিছুটা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই রিলিজে লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার সময় কারেন্ট চলে যায়। রাতের দিকে, বিদ্যুৎ কর্মীরা গিয়ে তদন্ত শুরু করে।

রাত ১২টা নাগাদ সেই কর্মীরা সাই সেন্টারে ঢোকার অনুমতি চায়। কারণ, বোঝা যাচ্ছিল না, ঠিক কোথায় সমস্যা হয়েছে। কিন্তু সাইয়ের গেটে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা সেই কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সাইয়ে বিদ্যুৎ আবার ফিরেও আসে।’

ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, বিকল্প ব্যবস্থা নেই কেন? জেনারেটর থাকার কথা। প্রত্যেক সাই সেন্টারে তা রয়েছে। তাহলে লখনৌ সেন্টারে কী জেনারেটর নেই? সেখানে জেনারেটর থাকলে তা অচল। ফলে গোটা রাতে কেউই ঘুমোতে পারেনি। অসহ্য গরমের মধ্যে।

সাই সেন্টারগুলোর অবস্থা যে সুবিধের নয়, তা দিনকয়েক আগে পাতিয়ালাতে সাইয়ের মূল সেন্টারে হাজির হয়ে বুঝতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করতে গিয়ে দেখেন, সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রীড়াবিদদের মধ্যে খাবারের রকমফের রয়েছে। তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোটা ব্যবস্থাকে বদলে দেন। সব শিক্ষার্থীর জন্য এক রকমের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। এ জন্য বাড়তি ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী দায়িত্ব পেয়ে তাঁর সামনে দ্বিতীয় সমস্যা সাই সেন্টারেরগুলো বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা। কেন বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না? তা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী আলোচনা চালাতে চান।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল