অ্যাপশহর

কোলে বসিয়ে খেলতেন! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সিন্ধু আজ পি টি ঊষারও গর্ব

ঊষার কাছে সিন্ধু আজও সেই ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে, তবে আজ সে অলিম্পিকে গিয়ে সোনা জয় করতে পারে। ঊষা বলেন, 'সিন্ধু ইতিমধ্যেই রুপো জিতেছে। ওর মধ্যে সেই জেদ রয়েছে। অলিম্পিকে সোনা জেতাই ওর লক্ষ্য হওয়া উচিত।' সাক্ষাৎকারের শেষে বলেন পি টি ঊষা।

Deepa Soman | TNN 28 Aug 2019, 1:06 pm

হাইলাইটস

  • ২০১৬-র অলিম্পিকের পর ঊষাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছিলেন সিন্ধুর বাবা।
  • ঊষার মতে, বাবা মা-র থেকে অনেক কিছু শিখেছেন সিন্ধু।
  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর এখনও সিন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি অলিম্পিয়ান।
EiSamay.Com PT Usha on PV Sindhu
ঊষার কোলে ছোট্ট সিন্ধু (বাঁ দিকে) ; বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (ডান দিকে)
সাক্ষাৎকারটি প্রথম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত
দীপা সোমন | TNN

অ্যাথলিট পি টি ঊষার কোলে এক ছোট্ট শিশু। ক্যামেরার লেন্সে চোখ রেখে সুন্দর হাসি দিচ্ছে সে। হাসছেন ঊষাও। অবসরের ঠিক এক বছর পর ২০০১-এর সেই ছবি তোলার সময় ঊষা জানতেন না, কোলের ওই শিশুই একদিন বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় করবে।

গত রবিবার প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন পি ভি সিন্ধু। শাটলারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ঊষা সেদিনই এই ছবি টুইট করেছিলেন। অল্প সময়েই ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে পি টি ঊষার কোলে ছোট্ট সিন্ধুর সেই ছবি।

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই মুহূর্তের কথা মনে করালেন ঊষা। অ্যাথলিট বলেন, '২০০১ সালে হায়দরাবাদে অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে স্পোর্টস টুর্নামেন্টের বৈঠক ছিল। সিন্ধুর বাবা রামান্না ভলিবল খেলোয়াড় ছিলেন এবং রেলে চাকরি করতেন। আমি গিয়ে হায়দরাবাদের পরিবর্তে সিন্ধুদের বাড়িতে ছিলেন। ৩-৪ দিন ওদের সঙ্গে ছিলাম আমি। ও (সিন্ধু) তখন খুবই ছোট।'

ওই সময়ই ঊষাকে সিন্ধুর ক্রীড়া-প্রেমের কথা জানিয়েছিলেন রামান্না। 'ওই সময় আমি শুধু ছোট্ট এক শিশুকে দেখেছিলাম, যে আমার কোলে খেলতে পেরে খুশি ছিল। ওদের পরিবারের কাছে এমন অনেক ছবি রয়েছে।'

আরও পড়ুন: সিন্ধুর ওয়ার্কআউট ভিডিয়ো দেখে তাজ্জব আনন্দ মহিন্দ্রা! আপনিও দেখে নিন

হায়দরাবাদ ছাড়ার সময় সিন্ধুকে 'শুভেচ্ছা' জানিয়েছিলেন ঊষা। ২০১৬-র অলিম্পিকের পর ঊষাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছিলেন সিন্ধুর বাবা। 'ওর বাবা ছবি পাঠিয়ে জিগ্গেস করেছিল, একে চিনতে পারছেন? অবশ্যই আমি মনে রেখেছিলাম। তবে থেকেই ওই ছবিটি রেখে দিয়েছিলাম আমি।' জানান ঊষা।

বর্ষীয়ান অ্যাথলিট জানান, সিন্ধুর ম্যাচ হচ্ছে জানতে পারলেই তা দেখার চেষ্টা করেন তিনি। 'সিন্ধু ও সাইনা যখন একসঙ্গে ছিল, তখন থেকেই ওদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। মহিলা ব্যাডমিন্টনের পরবর্তী প্রজন্ম যে ওই দু'জনই তা বুঝেছিলাম।' ঊষা আরও বলেন, কোর্টে সিন্ধু যতটা আক্রমণাত্মক, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই শান্ত এবং নম্র।

আরও পড়ুন: সিন্ধুর সম্মানে আমুলের হৃদয়ছোঁয়া ট্যুইট, দেখুন...

ঊষার মতে, বাবা মা-র থেকে অনেক কিছু শিখেছেন সিন্ধু। 'মেয়ের পিছনে ওরা অনেক সময় ও পরিশ্রম করেছেন।' জানান পি টি ঊষা।

বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে একসময়ে সিন্ধুর কড়া সমালোচনা হত। ঊষার মতে, সমালোচনাকেও ইতিবাচকভাবে নেওয়া উচিত। ঊষা বলেন, 'আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি, ওর গ্রাফ কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী এবং ও দেশের জন্য় মেডেল আনছে। ও কিন্তু কখনই হতাশ হয়নি। বরং মেডেল জিততে আরও পরিশ্রম করেছে। আমার মনে হয়, এভাবেই সবার দেখা উচিত।'
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর এখনও সিন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি অলিম্পিয়ান। 'আমি জানি সিন্ধু এখন ব্যস্ত। রবিবার তো ওর মায়ের জন্মদিন ছিল। আমারও কোনও তাড়া নেই।' বলেন পি টি ঊষা।

ঊষার কাছে সিন্ধু আজও সেই ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে, তবে আজ সে অলিম্পিকে গিয়ে সোনা জয় করতে পারে। ঊষা বলেন, 'সিন্ধু ইতিমধ্যেই রুপো জিতেছে। ওর মধ্যে সেই জেদ রয়েছে। অলিম্পিকে সোনা জেতাই ওর লক্ষ্য হওয়া উচিত।' সাক্ষাৎকারের শেষে বলেন পি টি ঊষা।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Deepa Soman

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল