অ্যাপশহর

শুধু হকি শুনলেই চোখ উজ্জ্বল কেশবের

শুধু হকি শুনলেই চোখ উজ্জ্বল কেশবের (হেডিং)এই সময়: লন্ডনের বুকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তেরঙা ...

EiSamay 13 Aug 2020, 12:44 pm
এই সময়: লন্ডনের বুকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন এক দল যুবক! গোটা গ্যালারি উদ্বেল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখে! ৭২ বছর আগের সেই ছবি, সেই স্মৃতি আবারও যেন ফিরে এল বুধবার, উল্লাসের সঙ্গে বিষণ্ণতার ইতিহাস হয়ে। স্বাধীনতার পর প্রথম অলিম্পিক সোনা জয়ী সেই ভারতীয় টিমের একজনই শুধু আজ বেঁচে। কলকাতার কেশব দত্ত।
EiSamay.Com Independent India’s first gold medal
স্বাধীনতার পর হকিতে প্রথম অলিম্পিক সোনা জয়ের ৭২ বছর


১৯৪৮-এর ১২ অগস্ট ফিরে-ফিরে আসে প্রতিবারই। এ বার গুরুত্ব হয়তো অন্যবারের চেয়ে আলাদা। কারণ, সেই লন্ডন অলিম্পিকের অন্যতম নায়ক বলবীর সিং সিনিয়র ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন মাস আড়াই আগে। সেই টিমের একমাত্র জীবিত সদস্য সন্তোষপুর-অজয়নগরের মোড়ের আবাসনের ফ্ল্যাটে চার দেওয়ালে বন্দি। ৯৪ বছরের কেশব দত্ত আজ সেই গৌরব-আবেগ-ইতিহাস থেকে অনেক-অনেক দূরের মানুষ! শুধু হকি শব্দটা শুনলে চোখ দুটো উজ্জ্বল হয় আজও। বুধবার রাতে বেজে চলে কেশবের বাড়ির ফোন। হয়তো শুনতে পেলেন না তিনি!

তবে সেই জয় এক অন্য প্রেরণা বয়ে এনেছিল ভারতীয় হকিতে। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন ভারতীয় হকির আর এক কিংবদন্তি গুরবক্স সিং। গুরগাঁওয়ে ছেলের বাড়ি থেকে অলিম্পিকে দু'বারের পদকজয়ী গুরবক্স বললেন, 'এর আগে তিনবার অলিম্পিকে ভারতীয় হকি টিম সোনা পেলেও , ১৯৪৮-এর গুরুত্ব বেশি থাকার কারণ একটাই। তখন সবে স্বাধীন হয়েছিল দেশ। সেই ইংরেজদের হারিয়েই সোনা, তা-ও আবার লন্ডনের মাটিতে, এর মাহাত্ম্যই আলাদা।'

সেই সময় গুরবক্সের বয়স ছিল ১৩। তা-ও মনে আছে সব কিছু। বললেন, 'আমি তো তখন থেকেই হকি খেলি। বাবা কর্তার সিং আর্মিতে ছিলেন। পাকিস্তানে পোস্টিং। বাবার নিজের টিম ছিল। ধ্যানচাঁদের সঙ্গে খেলেছেন। লন্ডন অলিম্পিকে সোনাজয়ী খেলোয়াড়রা তখন আমার চোখে হিরো। বলবীর সিং, কেডি সিং বাবু, লেসলি ক্লডিয়াস, কেশব দত্ত, রণধীর সিংদের সঙ্গে আমি পরে বহু খেলেছি। তখন ভাবতাম, এই সব কিংবদন্তি, যাঁদের ছবি খাতায় লাগিয়ে রাখতাম, তাঁদের সঙ্গে খেলছি! স্বপ্ন মনে হত।'

সে বারের সাফল্য আরও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই লন্ডন অলিম্পিক জন্ম দিয়েছিল বলবীর সিংয়ের মতো তারকার। ফাইনালে দুটো গোল করাই শুধু নয়, পুরো টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলেছিলেন তিনি। তারপরের দুই অলিম্পিককে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন বলবীর। গুরবক্সের কথায়, 'বলবীরদা-কেশবদাকে দেখেই তো আমরা উঠে এসেছিলাম। আজ কেউ নেই। বলবীরদাও চলে গিয়েছেন। শুধু আমার এক হিরো আছেন, কেশব দত্ত। তিনি থাকুন, আরও-আরও বহু দিন! ওঁরাই তো আসল নায়ক।'

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল