অ্যাপশহর

মেয়েদের বন্দুক রাখার লাইসেন্স চান হিনা

হিনা বলেছেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে আবেদন করছি, দেশের সব মেয়েকে বন্দুক রাখার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হোক। অস্ত্র রাখার আইন সংশোধন করা বা অস্ত্র রাখার জন্য কম লাইসেন্স বরাদ্দ করার থেকে এটা বেশি জরুরি।’

EiSamay.Com 6 Dec 2019, 1:56 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্ট্যান্ড আগেনস্ট রেসিজম অ্যান্ড সেক্সিজিম!
EiSamay.Com Heena sidhu wants the right of keeping guns with women
বন্দুক রাখার লাইসেন্স চান হিনা


ফুটবলের অন্যতম সেরা সম্মান ব্যালন ডি’ওর জিতে এমন ভাবেই গর্জে উঠেছেন আমেরিকান মেয়ে ফুটবলার মেগান রাপিনো। তাঁর তোপে মেসি-রোনাল্দোর মতো ফুটবলাররা। নারী নিগ্রহে চুপ থাকার জন্য। যে দিন মেগান ধর্ষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন, তার দিনকয়েক আগেই ঘটে গিয়েছে তেলেঙ্গানায় নৃশংসতম এক ঘটনা, যেখানে গণধর্ষণ করে এক চিকিৎসককে মেরে ফেলার পর সেই মৃতদেহকে ফের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সামনে আসছে একের পর এক এমন ঘটনা।

যার রেশ ভারতীয় ক্রীড়া মহলে। সাইনা নেহওয়াল বা হিনা সিধুর মতো ক্রীড়াবিদ কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হিনা বলেছেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে আবেদন করছি, দেশের সব মেয়েকে বন্দুক রাখার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হোক। অস্ত্র রাখার আইন সংশোধন করা বা অস্ত্র রাখার জন্য কম লাইসেন্স বরাদ্দ করার থেকে এটা বেশি জরুরি।’ সাইনার মন্তব্য, ‘যা ঘটেছে হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে, তার জন্য লজ্জিত। কালপ্রিটদের কঠোরতম সাজা চাইছি।’ হিনার পরবর্তী বক্তব্য, ‘আমরা দেশের সব জায়গায় নিরাপদে যেতে চাই। কাজের শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই। কোনও রকম অত্যাচার হলে প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ, প্রশাসন বা পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। যখন একটা মেয়ের বিরুদ্ধে একদল মানুষ থাকে, তখন বন্দুক রাখাটাই একমাত্র বাঁচার উপায়।’ টুইটারে এই বক্তব্য লিখেও অমিত শাহকে ট্যাগ করেছেন হিনা। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছেন বাংলার মেয়ে ক্রীড়াবিদরা?

পৌলমী ঘটক, পিঙ্কি প্রামাণিক, দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ক্রীড়াবিদের সঙ্গে। প্রত্যেকেই এক কথায় মেনে নিচ্ছেন, মেগান যা করেছেন, তা কুর্নিশ করতেই হবে। সঙ্গে, তাঁদের কথায় উঠে আসছে প্রতিবাদ। কেউ সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন, এমন ঘটনা রুখতে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের। কেউ বলছেন, বাঁচার জন্য মেয়েরা এ বার থেকে বন্দুক রাখুক।

পৌলমীর যেমন প্রশ্ন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক নেতার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কী করছেন? এটা তো খুবই সত্যি যে, দেশের নামী ব্যক্তিত্বরা এগিয়ে এলে কোনও ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে। সানিয়া মির্জা অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে টুইট করেন, কিন্তু তেলেঙ্গানার ওই চিকিৎসকের ঘটনাটা নিয়ে তাঁর টুইট কোথায়?’ পিঙ্কি বলছেন, ‘আমার তো মনে হয়, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ। মেগান যা করেছে, তা খুব জরুরি। দেশের ক্রীড়াবিদরা এর প্রতিবাদ করলে, তখন অন্য অনেকেও এগিয়ে আসবে। আমি নিজের ক্ষেত্রেও দেখেছি, আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছিল, কিন্তু কিছু করা যায়নি। যে ভাবে দেশে নারীনিগ্রহের ঘটনা বাড়ছে, সমাজের সব স্তর থেকে প্রতিবাদ করে তা রুখতে হবে।’ দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘যারা ধরা পড়ছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যারা এই কাজ করছে, তাদের বাড়িতেও তো মা-বোন রয়েছে। কিন্তু, কেন এমন ঘটনা দিনদিন বাড়ছে, সেটাও দেখার প্রয়োজন।’

পৌলমীর বক্তব্য, ‘আমি চাই, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে দ্রুত কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা দিতে হবে অপরাধীকে। এই রকম অনেক ঘটনাই আমরা হয়তো এখন জানতে পারি না। কিন্তু, যেটুকু সামনে আসে, তা জেনে নিজেকে ঠিক রাখা কঠিন। সবাই মিলে বেরিয়ে এসে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তবে যদি, আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর আগে কেউ ভয় পায়।’ রাপিনোর স্লোগান এখানেই মিশে যায় বাংলার মেয়ে ক্রীড়াবিদদের মনের কথায়।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল