রূপক বসু
মিলখা সিংয়ের দৌড় থেমে যাওয়ার দিন যেন পুরোনো যন্ত্রণা নতুন করে ছলকে উঠল ওঁদের। 'উড়ন্ত শিখ'কে নিয়ে অপরিসীম শ্রদ্ধার মধ্যে অলিম্পিক ইতিহাসে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়ার ঘটনায় যে জয়দীপ কর্মকার, দীপা কর্মকাররাও সামিল। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক শুটিংয়ে চতুর্থ হওয়া জয়দীপ কর্মকার যেমন বললেন, 'প্রথম দিকে এই যন্ত্রণাটা অনেক দিন বয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন সময় এগিয়েছে। মনের কোণে কোথায় যেন চাপা পড়ে গিয়েছে। কখনও সখনও জেগে উঠে। এই এখন আবার আলোচনা হচ্ছে বলে মনে পড়ল।'
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের কাছেও যেন শনিবারের সকালটা অন্যরকম। আগরতলা থেকে ফোনে বলে দিলেন, 'মিলখা স্যরের খবরটা সকালে কাগজে পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। উনি রোম অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েছিলেন। তবে নিজের ওঁর উচ্চতায় বসানোর ইচ্ছে, ক্ষমতা কোনওটাই নেই। বরং ওঁর সঙ্গে নাম ওঠে বলে গর্বিত হই। চার নম্বর হওয়ার যন্ত্রণাটা বুঝি। আসলে এই অভিজ্ঞতাটা যাঁর সঙ্গে হয়, সে ছাড়া আর কারও বোঝা সম্ভব নয়।'
অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ হাতছাড়ার ব্যথা বয়ে বেড়ান পিটি উষা, অভিনব বিন্দ্রাও। অদ্ভুত ভাবে জয়দীপ-দীপাদের ক্ষতে প্রলেপের কাজটাও নিজের অজান্তে যেন করে গিয়েছেন মিলখা। জয়দীপের স্মৃতিচারণায় উঠে এল, 'মিলখা স্যরের সঙ্গে চতুর্থ হওয়া নিয়েও কথা বলেছিলাম। সেখানে একটা ব্যাপার দেখে অবাক হয়েছিলাম। মনের মধ্যে হয়তো ব্যথাটা ছিল। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা দরাজ হাসিতে উড়িতে দিয়েছিলেন। ওঁর প্রাণখোলা হাসিটা সে দিন মন ভালো করে দিয়েছিল। যেন কিছুই হয়নি। এটা সামনে তাকাতে সাহায্য করেছিল।'
একই রকম প্রতিফলন দীপার কথায়, 'মিলখা স্যরের সঙ্গে কোনও দিন সামনাসামনি কথা হয়নি। তবে অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়ার পর ওঁর ঘটনা প্রেরণার মতো কাজ করেছিল। ভেবেছিলাম, উনি যদি চতুর্থ হওয়ার পর দেশকে আরও পদক এনে দিতে পারেন, নতুন শুরু করতে পারেন, আমিই বা পারব না কেন!' সব মিলিয়ে চারের হতাশা যেন বদলে দিয়েছিলেন ম্যাজিশিয়ান মিলখাই।
মিলখা সিংয়ের দৌড় থেমে যাওয়ার দিন যেন পুরোনো যন্ত্রণা নতুন করে ছলকে উঠল ওঁদের। 'উড়ন্ত শিখ'কে নিয়ে অপরিসীম শ্রদ্ধার মধ্যে অলিম্পিক ইতিহাসে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়ার ঘটনায় যে জয়দীপ কর্মকার, দীপা কর্মকাররাও সামিল।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের কাছেও যেন শনিবারের সকালটা অন্যরকম। আগরতলা থেকে ফোনে বলে দিলেন, 'মিলখা স্যরের খবরটা সকালে কাগজে পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। উনি রোম অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েছিলেন। তবে নিজের ওঁর উচ্চতায় বসানোর ইচ্ছে, ক্ষমতা কোনওটাই নেই। বরং ওঁর সঙ্গে নাম ওঠে বলে গর্বিত হই। চার নম্বর হওয়ার যন্ত্রণাটা বুঝি। আসলে এই অভিজ্ঞতাটা যাঁর সঙ্গে হয়, সে ছাড়া আর কারও বোঝা সম্ভব নয়।'
অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ হাতছাড়ার ব্যথা বয়ে বেড়ান পিটি উষা, অভিনব বিন্দ্রাও। অদ্ভুত ভাবে জয়দীপ-দীপাদের ক্ষতে প্রলেপের কাজটাও নিজের অজান্তে যেন করে গিয়েছেন মিলখা। জয়দীপের স্মৃতিচারণায় উঠে এল, 'মিলখা স্যরের সঙ্গে চতুর্থ হওয়া নিয়েও কথা বলেছিলাম। সেখানে একটা ব্যাপার দেখে অবাক হয়েছিলাম। মনের মধ্যে হয়তো ব্যথাটা ছিল। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা দরাজ হাসিতে উড়িতে দিয়েছিলেন। ওঁর প্রাণখোলা হাসিটা সে দিন মন ভালো করে দিয়েছিল। যেন কিছুই হয়নি। এটা সামনে তাকাতে সাহায্য করেছিল।'
একই রকম প্রতিফলন দীপার কথায়, 'মিলখা স্যরের সঙ্গে কোনও দিন সামনাসামনি কথা হয়নি। তবে অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়ার পর ওঁর ঘটনা প্রেরণার মতো কাজ করেছিল। ভেবেছিলাম, উনি যদি চতুর্থ হওয়ার পর দেশকে আরও পদক এনে দিতে পারেন, নতুন শুরু করতে পারেন, আমিই বা পারব না কেন!' সব মিলিয়ে চারের হতাশা যেন বদলে দিয়েছিলেন ম্যাজিশিয়ান মিলখাই।