অ্যাপশহর

বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা হেনস্থার শিকার অলিম্পিয়ান শ্যুটারদল

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে দেশে ফিরে এমন হেনস্থা হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি গুরপ্রীত সিং, কিনান চেনাই-সহ দেশের ১২ জন শ্যুটার।

EiSamay.Com 9 May 2017, 4:36 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে দেশে ফিরে এমন হেনস্থা হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি গুরপ্রীত সিং, কিনান চেনাই-সহ দেশের ১২ জন শ্যুটার। প্লিজেন শ্যুটিং গ্রাঁ প্রি প্রতিযোগিতা থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইটে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ১৩ ঘণ্টা চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হল তাঁদের।
EiSamay.Com customs detain olympians gurpreet kynan and other shooters for 13 hours
বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা হেনস্থার শিকার অলিম্পিয়ান শ্যুটারদল


প্রায় ২০ ঘণ্টা সফর করার পর মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ বিমান নামে দিল্লিতে। লাগেজের জন্য যখন সকলে অপেক্ষা করছেন সে সময় কাস্টমস দপ্তর থেকে তাঁদের জানানো হয়, লাগেজে বন্দুক থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ফলে অপেক্ষা করতে হবে। কাস্টমস কমিশনার সকাল ১০টায় আসবেন, তার পরই যা হওয়ার হবে। ১০ তো দূরস্থান, ১২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও হাতে ক্লিয়ারেন্স পাননি তাঁরা।

এই সময়ের মধ্যে না তাঁদের খেতে দেওয়া হয়েছে। না ঘুমোনের সামান্য জায়গা পেয়েছেন। অনেকে বাড়িতে ফেরার জন্য বিমানও ধরতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্যুটার বলেন, ‘প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্বের বহু জায়গায় যাই। কিন্তু নিজের দেশে এ রকম হেনস্থা হতে হবে তা ভাবিনি। সামান্য খাবার পর্যন্ত দেয়নি। চাইতে গেলে বলেছে, না খেলে মরে যাবে না। যখন প্লিজেন গিয়েছিলাম তখন আমাদের বন্দুকের সিরিয়াল নম্বর দেখে কাস্টমস থেকেই ক্লিয়ারেন্সের চিঠি দেওয়া হয় আমাদের। আমরা সেই চিঠিও দেখিয়েছি। কিন্তু তারা ওটা দেখেও কিছু করেনি। চিঠিতে ওদের সিলমোহরও ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৭ মে থেকে মিউনিখে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। প্রতিটা দিন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনটা পুরোপুরি নষ্ট হল।’ বিমানবন্দরের অ্যাডিশনাল কমিশনার অমনদীপ সিং এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, তাঁরা রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের ক্লিয়ারেন্সের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শ্যিটারদের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের জন্য তাঁর সাফাই ছিল, ‘আমি ঘটনা জানতে পেরেছি। ওটা হয়ে গিয়েছে। আমি স্টাফদের বলেছি, ওঁদের ঠিকভাবে যত্ন নিতে।’

‘যত্ন’ যা পেয়েছেন, তা সারাজীবনেও এঁরা ভুলতে পারবেন বলে মনে হয় না। এমনটা যে প্রথন তা নয়। এর আগেও বহু বার দেশের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়দের বার বার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। কখনও ফুটবলারস কখনও হকি খেলোয়াড়, কখনও বা কোনও অ্যাথলিট।

এ বার সেই ‘মুকুটে’ নতুন পালক যুক্ত হল!

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল