অ্যাপশহর

‌অলিম্পিকের মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে সফল বাংলার টেবিল টেনিস

দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় আঙিনায় দাপট দেখিয়ে এসেছেন বাংলার প্যাডলাররা (Bengal Table Tennis)। অনেকেই তরুণ প্রজন্মের কাছে নিজেদের আইকন হিসেবে মেলে ধরতে পেরেছেন।

Lipi 29 Jun 2021, 3:51 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : টেবিল টেনিস নিয়ে বাংলায় বিতর্ক কম নেই। একরাজ্যে তিন–তিনটি সংস্থা। এরমধ্যে দুটি সংস্থা জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থার অনুমোদিত। একটি ওয়েস্ট বেঙ্গল টেবিল টেনিস সংস্থা আর একটি উত্তরবঙ্গ টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন না থাকলেও বহু প্রতিভা উঠে এসেছে এই সংস্থা থেকে। জাতীয় টেবিল টেনিস সংস্থা তৈরির ৪ বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই অ্যাসোসিয়েশন। অথচ পরের দিকে তারাই ব্রাত্য। বিতর্কের মাঝেও গোটা দেশে নজর কেড়েছে বাংলার টেবিল টেনিস।
EiSamay.Com Bengal Table Tennis
অলিম্পিকে বাংলার টেবিল টেনিস তারকারাই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন


দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় আঙিনায় দাপট দেখিয়ে এসেছেন বাংলার প্যাডলাররা। অনেকেই তরুণ প্রজন্মের কাছে নিজেদের আইকন হিসেবে মেলে ধরতে পেরেছেন। ১৯৯২ বার্সিলোনা অলিম্পিকে সর্বপ্রথম টেবিল টেনিস অন্তর্ভূক্ত হয়। বাংলা থেকে প্রথম অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পান পৌলমী ঘটক। ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে নামার সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। পৌলমীর পর অলিম্পিকে আরও এক বাঙালি টেবিল টেনিস তারকা খেলার সুযোগ পান। তিনি হলেন মৌমা দাস। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে সিঙ্গলসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। পরপর দুটি অলিম্পিকে তিনি সুযোগ পাননি। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে মৌমা আবার ছাড়পত্র জোগাড় করে নেন।

২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে অবশ্য কোনও বাঙালি টেবিল টেনিস তারকা সুযোগ পাননি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে আবার অলিম্পিকের মঞ্চে দুই বাঙালি টেবিল টেনিস তারকা। অঙ্কিতা দাস ও সৌম্যজিৎ ঘোষ অলিম্পিকের মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরেছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবছর টোকিও অলিম্পিকেও দেখা যাবে আর এক বাঙালিকে। ইতিমধ্যেই সুতীর্থা চক্রবর্তী অলিম্পিকের ছাড়পত্র। যদি শেষপর্যন্ত অলিম্পিক বাতিল না হয়, আরও এক টেবিল টেনিস অলিম্পিয়ানকে পাবে বাংলা।

বাংলা থেকে এইরকম ধারাবাহিকভাবে অলিম্পিয়ান তৈরির রহস্য কোথায়? আসলে বাংলাতে টেবিল টেনিস খুবই জনপ্রিয়। ইন্ডোর খেলা হিসেবে স্কুলে কিংবা স্থানীয় ক্লাবে টেবিল টেনিসের খুব চল আছে। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রীদের মধ্যে টেবিল টেনিস খুব জনপ্রিয়। ফলে এই খেলা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। ব্যাডমিন্টনের কোর্ট দরকার হয়, ক্রিকেট কিংবা ফুটবলে অনেক জায়গার পাশাপাশি খেলোয়াড়ও বেশি দরকার হয়। টেবিল টেনিসে সেই সমস্যা নেই। কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও টেবিল টেনিসের জনপ্রিয়তা অনেক। একসময় ভারতী ঘোষ, মান্তু ঘোষ, কস্তুরী চক্রবর্তীর মতো জাতীয় তারকারা শিলিগুড়ি থেকে উঠে এসেছে। তাঁদের অনুপ্রেরণাতেই উঠে এসেছেন অঙ্কিতা দাস, সৌম্যজিৎ ঘোষরা।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল