এশিয়াডে দেশের ব্লেজারই পাননি প্রণবরা
রাজ্যের কাছে চাই শুধু খেলার জায়গা'
EiSamay 4 Sep 2018, 1:54 pm
এই সময়: রাত পোহালেই এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখা করবেন। সেখানে জাকার্তা গেমসে প্রবীণতম পদক জয়ী বঙ্গসন্তান প্রণব বর্ধন ও তাঁর জুটি শিবনাথ দে সরকারের যাওয়ার কথা। যাওয়ার কথা টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয়ী দলের সদস্য সুমিত মুখোপাধ্যায় এবং দেবব্রত মজুমদারেরও। সেখানে হয়তো ভারতের ব্লেজার ছাড়াই যেতে হবে তাঁদের।
আইওএ-র গাফিলতিতে এখনও দেশের লোগো-সহ ব্লেজার পাননি সোনাজয়ী প্রণব-শিবনাথরা। এশিয়াড এতদিন ধরে হল, অথচ গেমস চলাকালীন কোনও ব্লেজারের ব্যবস্থা হয়নি। মার্চপাস্টে অন্যরা যেখানে ব্লেজার পরে হেঁটেছেন, এঁরা গিয়েছেন সাধারণ পোশাকে। আইওএ মুখ ঘুরিয়ে থেকেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ নেই এশিয়াডে সোনাজয়ী টিমের নন প্লেইং ক্যাপ্টেন কাম কোচ, আন্তর্জাতিক মিটে দেশের হয়ে একাধিক পদকজয়ী দেবাশিস রায়েরও।
রাজ্য সরকার স্বপ্না বর্মণকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আপনাদের তেমন প্রত্যাশা নেই? সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে প্রশ্ন শুনে প্রণবের উত্তর, 'না। একেবারেই নেই। আমরা শুধু আমাদের কাজটা করেছি।' পাশে বসা শিবনাথ মাইক টেনে নিয়ে জুড়ে দেন, 'আমাদের প্রত্যাশা একটাই। শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোনও স্থানে অন্তত ২০ জন বসে খেলতে পারে, এমন একটা জায়গায় বন্দোবস্ত করে দিক রাজ্য সরকার। কারণ, শহরে আমাদের বসে প্র্যাক্টিস করার বা ট্রায়াল দেওয়ার কোন জায়গা নেই।'
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যখন সব পদকজয়ী অ্যাথলিট ব্লেজার পরে যাবেন, তখন প্রণবদের ব্লেজার নেই কেন? দেবাশিস বললেন, 'এশিয়াডে যে আমরা খেলতে যাচ্ছি, যেটা আমাদের রওনা হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে জানানো হয়। আমরা তখন এইচসিএল মিট খেলতে দিল্লিতে। আমরা যখন প্রথম আইওএ-কে জানাই এশিয়াডে টিম পাঠানোর কথা, তখন আইওএ-র এক শীর্ষ কর্তা 'না' করে দেন। অথচ আমরা এর আগে কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জিতেছি। এর পর যাওয়ার তিন দিন আগে আমাদের জানানো হয়, আমরা যাচ্ছি। তখন বাকি কিটস দেওয়া হলেও আমাদের ব্লেজার দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যেতে গেলে দেশের লোগো-সহ ব্লেজার পরে যাওয়া রীতি। কিন্তু ব্রিজে পদকজয়ীদের এখনও কোনও ব্লেজার নেই।'
এশিয়াডে চার পদকজয়ী মানছেন, তাস এখন আর সর্বনাশা খেলা নয়। শিবনাথের কথায়, 'তাস-দাবা এখন কর্মনাশা নয়, কর্মের আশা বাড়ায়। এই তো দেবব্রত ও সুমিত তাস খেলেই কলকাতা মেট্রো রেলে চাকরি পেয়েছ! আমার কাছে যাদবপুরের অনেক পড়ুয়া ব্রিজ শিখছে। আমাদের সাফল্যের পর সামগ্রিকভাবে এই খেলাটার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।' প্রণবের সংযোজন, '২০০২ সালে মন্ট্রিয়লে বিশ্বমিটে যাওয়ার সময় আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেববাবুর সৌজন্যে দ্রুত পাসপোর্ট রিনিউ হয়। কিন্তু তখন পাসপোর্ট অফিসার প্রশ্ন করেছিলেন, 'জুয়ো খেলতে এত দূর, মন্ট্রিয়ল যাচ্ছেন!' আশা করব, এ বার এই মনোভাব বদলাবে।'
আইওএ-র গাফিলতিতে এখনও দেশের লোগো-সহ ব্লেজার পাননি সোনাজয়ী প্রণব-শিবনাথরা। এশিয়াড এতদিন ধরে হল, অথচ গেমস চলাকালীন কোনও ব্লেজারের ব্যবস্থা হয়নি। মার্চপাস্টে অন্যরা যেখানে ব্লেজার পরে হেঁটেছেন, এঁরা গিয়েছেন সাধারণ পোশাকে। আইওএ মুখ ঘুরিয়ে থেকেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ নেই এশিয়াডে সোনাজয়ী টিমের নন প্লেইং ক্যাপ্টেন কাম কোচ, আন্তর্জাতিক মিটে দেশের হয়ে একাধিক পদকজয়ী দেবাশিস রায়েরও।
রাজ্য সরকার স্বপ্না বর্মণকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আপনাদের তেমন প্রত্যাশা নেই? সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে প্রশ্ন শুনে প্রণবের উত্তর, 'না। একেবারেই নেই। আমরা শুধু আমাদের কাজটা করেছি।' পাশে বসা শিবনাথ মাইক টেনে নিয়ে জুড়ে দেন, 'আমাদের প্রত্যাশা একটাই। শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোনও স্থানে অন্তত ২০ জন বসে খেলতে পারে, এমন একটা জায়গায় বন্দোবস্ত করে দিক রাজ্য সরকার। কারণ, শহরে আমাদের বসে প্র্যাক্টিস করার বা ট্রায়াল দেওয়ার কোন জায়গা নেই।'
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যখন সব পদকজয়ী অ্যাথলিট ব্লেজার পরে যাবেন, তখন প্রণবদের ব্লেজার নেই কেন? দেবাশিস বললেন, 'এশিয়াডে যে আমরা খেলতে যাচ্ছি, যেটা আমাদের রওনা হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে জানানো হয়। আমরা তখন এইচসিএল মিট খেলতে দিল্লিতে। আমরা যখন প্রথম আইওএ-কে জানাই এশিয়াডে টিম পাঠানোর কথা, তখন আইওএ-র এক শীর্ষ কর্তা 'না' করে দেন। অথচ আমরা এর আগে কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জিতেছি। এর পর যাওয়ার তিন দিন আগে আমাদের জানানো হয়, আমরা যাচ্ছি। তখন বাকি কিটস দেওয়া হলেও আমাদের ব্লেজার দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যেতে গেলে দেশের লোগো-সহ ব্লেজার পরে যাওয়া রীতি। কিন্তু ব্রিজে পদকজয়ীদের এখনও কোনও ব্লেজার নেই।'
এশিয়াডে চার পদকজয়ী মানছেন, তাস এখন আর সর্বনাশা খেলা নয়। শিবনাথের কথায়, 'তাস-দাবা এখন কর্মনাশা নয়, কর্মের আশা বাড়ায়। এই তো দেবব্রত ও সুমিত তাস খেলেই কলকাতা মেট্রো রেলে চাকরি পেয়েছ! আমার কাছে যাদবপুরের অনেক পড়ুয়া ব্রিজ শিখছে। আমাদের সাফল্যের পর সামগ্রিকভাবে এই খেলাটার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।' প্রণবের সংযোজন, '২০০২ সালে মন্ট্রিয়লে বিশ্বমিটে যাওয়ার সময় আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেববাবুর সৌজন্যে দ্রুত পাসপোর্ট রিনিউ হয়। কিন্তু তখন পাসপোর্ট অফিসার প্রশ্ন করেছিলেন, 'জুয়ো খেলতে এত দূর, মন্ট্রিয়ল যাচ্ছেন!' আশা করব, এ বার এই মনোভাব বদলাবে।'