এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেই কথাটা যেন আবার প্রমাণ হল। স্বপ্ন ছিল, কুস্তিবিদ হয়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। চোখে সেই স্বপ্ন নিয়েই শুরু করেছিলেন নিজের জীবনটা। কিন্তু, একটা মারাত্মক দুর্ঘটনায় বদলে যায় সব কিছু। চুরমার হয়ে যায় স্বপ্ন। কুস্তিবিদ থেকে হতে হয় জ্যাভলিন। সেখান থেকে অবশেষে প্যারালিম্পিকের পোডিয়াম। সোনা জয় করে গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।
উপরের কথাগুলো যত সহজে বলা গেল, ততটা কিন্তু সহজ ছিল না সুমিত আনটিলের এই যাত্রাপথ। ছোটোবেলা থেকেই কুস্তিবিদ হতে চেয়েছিলেন হরিয়াণার সুমিত। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য বাহালগড়ের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও নেওয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু, একটা দুর্ঘটনা বদলে দিল সব।
সালটা ছিল ২০১৫। সবে SAI-এর অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে বেরিয়েছেন ১৭ বছরের সুমিত। বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময়ই ঘটে সেই দুর্ঘটনা। এতটাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছিল যে তিনি শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্সকে ফোন করার মত অবস্থায় ছিলেন। জটিল অপারেশনের পর সুমিতকে বাঁচানো গেলেও, বাঁচানো যায়নি সুমিতের বাঁ পা। চিকিৎসকরা জানান, বাদ দিতে হতে তাঁর পা। ৫৩ দিনে ধরে টানা লড়াই চলে হাসপাতালে। কিন্তু, হার মানেননি সুমিত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্যারালিম্পিয়ান অস্কার পিস্টোরিয়াসকে দেখেই অনুপ্রাণিত করতে থাকেন নিজেকে। প্রসঙ্গত, অস্কার পিস্টোরিয়াস দুটো কৃত্রিম পা নিয়েই প্যারালিম্পিকে সোনা জয় করেছিলেন।
তারপর থেকেই শুরু হয় নয়া জীবনের কঠিন লড়াই। হাসপাতালের বেডে শুয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জীবন যুদ্ধে কখনই থেমে যাবেন না। লড়াই করে এগিয়ে যাবেন। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্নই ছিল তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। এগিয়ে চললেন। সিদ্ধান্ত নিলেন প্যারা অ্যাথলিট হবেন। এরপর পুনেতে গিয়ে বাঁ পায়ে প্রস্থেটিক অপারেশন করালেন।
কিন্তু প্রস্থেটিক পা লাগিয়ে কুস্তি করা যাবে না। তাই সুমিত বেছে নিলেন জ্যাভলিন। শুরু হল লড়াই। নতুন জীবনের লড়াই। কুস্তিবিদ হওয়ার স্বপ্নকে চাপা দিয়ে জ্যাভলিন প্লেয়ার হওয়ার লড়াই। টোকিয়ো অলিম্পিকের আগে তিনি দুবাইতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়েন। ৬২.৮৮ মিটারের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তারপর টোকিয়ো প্যারালিম্পিক। অলিম্পিকে জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়ার সোনা জয় আরও তাতিয়ে তোলে সুমিতকে।
আজ প্যারাঅলিম্পিকে নিজের ইভেন্টে প্রথম চেষ্টায় তিনি ৬৬.৯৫ মিটার দূরে ছুঁড়ে নিজের রেকর্ড ভেঙে দেন। এরপর আরও দুবার নিজের রেকর্ড ভাঙেন। দ্বিতীয় চেষ্টায় ৬৮.০৮ মিটার ও শেষ চেষ্টায় ৬৮.৫৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোঁড়েন তিনি। সঙ্গে ভারতের জন্য সোনা জেতেন তিনি।
এই নিয়ে প্যারালিম্পিকে জ্যাভলিনে মোট তিনটে পদক জয় করল ভারত। দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া রূপো, সুন্দর সিং গুর্জর জেতেন ব্রোঞ্জ আর সুমিত আনটিল জিতলেন সোনা।
উপরের কথাগুলো যত সহজে বলা গেল, ততটা কিন্তু সহজ ছিল না সুমিত আনটিলের এই যাত্রাপথ। ছোটোবেলা থেকেই কুস্তিবিদ হতে চেয়েছিলেন হরিয়াণার সুমিত। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য বাহালগড়ের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও নেওয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু, একটা দুর্ঘটনা বদলে দিল সব।
সালটা ছিল ২০১৫। সবে SAI-এর অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে বেরিয়েছেন ১৭ বছরের সুমিত। বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময়ই ঘটে সেই দুর্ঘটনা। এতটাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছিল যে তিনি শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্সকে ফোন করার মত অবস্থায় ছিলেন। জটিল অপারেশনের পর সুমিতকে বাঁচানো গেলেও, বাঁচানো যায়নি সুমিতের বাঁ পা। চিকিৎসকরা জানান, বাদ দিতে হতে তাঁর পা। ৫৩ দিনে ধরে টানা লড়াই চলে হাসপাতালে। কিন্তু, হার মানেননি সুমিত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্যারালিম্পিয়ান অস্কার পিস্টোরিয়াসকে দেখেই অনুপ্রাণিত করতে থাকেন নিজেকে। প্রসঙ্গত, অস্কার পিস্টোরিয়াস দুটো কৃত্রিম পা নিয়েই প্যারালিম্পিকে সোনা জয় করেছিলেন।
তারপর থেকেই শুরু হয় নয়া জীবনের কঠিন লড়াই। হাসপাতালের বেডে শুয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জীবন যুদ্ধে কখনই থেমে যাবেন না। লড়াই করে এগিয়ে যাবেন। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্নই ছিল তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। এগিয়ে চললেন। সিদ্ধান্ত নিলেন প্যারা অ্যাথলিট হবেন। এরপর পুনেতে গিয়ে বাঁ পায়ে প্রস্থেটিক অপারেশন করালেন।
কিন্তু প্রস্থেটিক পা লাগিয়ে কুস্তি করা যাবে না। তাই সুমিত বেছে নিলেন জ্যাভলিন। শুরু হল লড়াই। নতুন জীবনের লড়াই। কুস্তিবিদ হওয়ার স্বপ্নকে চাপা দিয়ে জ্যাভলিন প্লেয়ার হওয়ার লড়াই। টোকিয়ো অলিম্পিকের আগে তিনি দুবাইতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়েন। ৬২.৮৮ মিটারের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তারপর টোকিয়ো প্যারালিম্পিক। অলিম্পিকে জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়ার সোনা জয় আরও তাতিয়ে তোলে সুমিতকে।
আজ প্যারাঅলিম্পিকে নিজের ইভেন্টে প্রথম চেষ্টায় তিনি ৬৬.৯৫ মিটার দূরে ছুঁড়ে নিজের রেকর্ড ভেঙে দেন। এরপর আরও দুবার নিজের রেকর্ড ভাঙেন। দ্বিতীয় চেষ্টায় ৬৮.০৮ মিটার ও শেষ চেষ্টায় ৬৮.৫৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোঁড়েন তিনি। সঙ্গে ভারতের জন্য সোনা জেতেন তিনি।
এই নিয়ে প্যারালিম্পিকে জ্যাভলিনে মোট তিনটে পদক জয় করল ভারত। দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া রূপো, সুন্দর সিং গুর্জর জেতেন ব্রোঞ্জ আর সুমিত আনটিল জিতলেন সোনা।