অ্যাপশহর

অলিম্পিকের পদকেই আসবে বিদ্যুৎ! রবি দাহিয়ার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গ্রাম

কৃষক পরিবারের সন্তান রবি গ্রাম থেকে অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া তৃতীয় ব্যক্তি। এর আগে অলিম্পিক্সে গিয়েছিলেন মহাবীর সিং (১৯৮০ মস্কো, ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস), অমিত দাহিয়া (২০১২ লন্ডন)।

Lipi 5 Aug 2021, 10:17 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : একটা গ্রামের বিদ্যুৎ কি অলিম্পিক পদকের উপর নির্ভর করে? উত্তরটা হয়ত হ্যাঁ। লাইনটা পড়ে খটকা লাগতেই পারে। কিন্তু, বাস্তব এটাই। এবার গোটা গ্রামের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন ভারতীয় কুস্তিগীর রবি দাহিয়া।
EiSamay.Com Ravi Dahiya
চলতি টোকিয়ো অলিম্পিকে রুপোর পদক নিশ্চিত করেছেন রবি দাহিয়া, ছবি সৌজন্য - টুইটার


হরিয়ানার সোনিপথ জেলার ছোটো গ্রাম নাহরি। বাস ১৫ হাজার মানুষের। এই গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে রবি কুমার দাহিয়া। অলিম্পিক্সে কুস্তিতে ৫৭ কেজি বিভাগে ফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করেছে বছর ২৩-এর এই তরুণ।

কৃষক পরিবারের সন্তান রবি গ্রাম থেকে অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া তৃতীয় ব্যক্তি। এর আগে অলিম্পিক্সে গিয়েছিলেন মহাবীর সিং (১৯৮০ মস্কো, ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস), অমিত দাহিয়া (২০১২ লন্ডন)।

কিন্তু দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ছেলেরা গেলেও হাল ফেরেনি নাহরি গ্রামের। এই গ্রামে দিনে বিদ্যুৎ আসে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য। এই সময়ের মধ্যেই মোটর চালিয়ে চাষের জন্য জল তোলা, বাড়ির কাজ করে নিতে হয়। এছাড়াও গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থা তথৈবচ। নামমাত্র রয়েছে একটা পশু হাসপাতাল। রবি কুমার দাহিয়ার পদক নিশ্চিতের কথা শুনে গ্রামবাসীদের আশা, এবার অন্তত দুর্দশা দূর হবে। মিলবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ।

নাহরি গ্রামের প্রধান সুনীল কুমার দাহিয়া বলেন, “এই গ্রাম দেশকে তিনজন অলিম্পিয়ান দিয়েছেন। এই মাটিতে কিছু একটা আছে। আমরা আশাবাদী রবি সাফল্য পাবে। সঙ্গে গ্রামে উন্নয়নের কাজও হবে।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “এই গ্রামে কোনও ভালো হাসপাতাল নেই। চিকিৎসার জন্য আমাদের যেতে হয় সোনিপথ বা নারেলাতে। এখানে কোনও স্টেডিয়াম নেই। আমরা ছোটো স্টেডিয়াম বানিয়েছি কিন্তু তাতে কোনও ম্যাট, অ্যাকাডেমি, কোচ নেই। যদি এই পরিষেবাগুলো আমরা পেতাম তাহলে আরও ভালো করতে পারতাম।”

গ্রামের একমাত্র পশু হাসপাতালটি হয় যখন মহাবীর সিং অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করতে যান। তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরি দেবী লালের কাছে পশু হাসপাতালের জন্য আবেদন করেন। তারপর গ্রামে একমাত্র পশু হাসপাতাল হয়।

টোকিও অলিম্পিক্সের পুরুষদের কুস্তিতে ৫৭ কেজি বিভাগে কাজাখাস্তানের নূর ইসলাম সানায়েভকে পরাস্ত করেন রবি। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয় পদক। ৫ তারিখ ফাইনাল ম্যাচের জন্য নামবেন রবি।

তবে শুধু রবি নন। বক্সিংয়ে পদক জয়ী লভলিনার গ্রামেও নেই পাকা রাস্তা। পদক জয়ের পর শুরু হয় রাস্তার কাজ। লভলিনার মত ভাগ্য হবে কি রবির? তাকিয়ে নাহরি গ্রাম।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল