অ্যাপশহর

Pro Kabaddi 2019: অবশেষে অধরা ট্রফি ধরা দিল, কবাডিতে সেরা বাংলা

বিসি রমেশ বোধহয় ইতিহাসে থেকে যাবেন অনেক দিন। গত বার বেঙ্গালুরু বুলসকে চ্যাম্পিয়ন করার পর আবার সেরা কোচের হাসি তাঁর মুখে। যে টিম গত ছ’বার ফাইনালের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি, সেই বাংলাকে দিলেন প্রো কবাডি লিগের প্রথম ট্রফি।

EiSamay.Com 20 Oct 2019, 9:25 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: থাই ফাইভে এত তৃপ্তি ছিল? জিভা কুমার, সুকেশ হেগড়েরা বোধহয় জানতেন না! মহম্মদ ইসমাইল নবিবক্স তখন তাতাচ্ছেন গ্যালারিকে। তাঁর তালে তালে নাচছে আমেদাবাদ! বিসি রমেশ বোধহয় ইতিহাসে থেকে যাবেন অনেক দিন। গত বার বেঙ্গালুরু বুলসকে চ্যাম্পিয়ন করার পর আবার সেরা কোচের হাসি তাঁর মুখে। যে টিম গত ছ’বার ফাইনালের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি, সেই বাংলাকে দিলেন প্রো কবাডি লিগের প্রথম ট্রফি। ফাইনালে দাবাং দিল্লিকে ৩৯-৩৫ হারাল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সরা।
EiSamay.Com bengal warriors champion


ফাইনালের শেষ সেলিব্রেশনের ছবিটা যতই মন কেড়ে নিক, শুরুতে কিন্তু অন্য রকমই মনে হচ্ছিল। প্রথম ৭ মিনিটের পর বাংলা ৩-১১ তে পিছিয়ে ছিল। দিল্লির রেইডার নবীন কুমারের ঝড়ে তখন রীতিমতো কাঁপছে বাংলার ডিফেন্স। নবীন আসছেন, আর পয়েন্ট তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমার্ধের বাকি সময়টুকু বাংলাকে অবিশ্বাস্য ভাবে ফিরিয়ে আনলেন ইরানের নবিবক্স। এই কবাডি লিগে বাংলার সাফল্যের পিছনে অন্যতম প্লেয়ার নবিই। সেই তিনি পিছিয়ে থাকা বাংলাকে পর পর রেইড থেকে এনে দিলেন ৭টা পয়েন্ট। শেষ দশ মিনিটে বাংলা পায় ১১। এখান থেকেই পাল্টে যায় ফাইনালের ছবি।

ক্যাপ্টেন মনিন্দর সিং চোটের জন্য খেলতে পারেননি। ডাগআউটে সহকারী কোচের ভূমিকায় ছিলেন। ম্যাচের পর বলছিলেন, ‘আমরা নবীনকে থামানোর প্ল্যান সাজিয়েছিলাম। ও যখনই অ্যাটাকে আসে, তখনই পয়েন্ট তুলে নিয়ে যায়। ওটা যদি থামাতে হয়, তা হলে ডিফেন্সটা পোক্ত যেমন করতে হবে, তেমনই পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। নবীনকে থামিয়েছি আমরা, পাল্টা আক্রমণও চালিয়ে গিয়েছি।’

দিল্লির তো বটেই, এ বারের কবাডি লিগের সেরা রেইডার নবীন কুমারই। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও তিনিই ছিলেন বাংলার সবচেয়ে বড় কাঁটা। মরসুমে ৩০০ রেইড পয়েন্ট করে ফেলেন তিনি। অবশ্য ফাইনালের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নবীন। বলছিলেন, ‘দুটো ভুল আমরা করেছি। প্রথম লোনটা নেওয়ার পর আর খেলায় ছন্দ ছিল না। দুই হল, বাংলার ঝড় সামলাতে পারিনি আমরা।’

বিরতির পর থেকেই ম্যাচ নিয়ে নিয়েছিলেন নবিবক্স-জিভারা। চাপ সামলে বিপক্ষ শিবিরে পাল্টা চাপটা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন তাঁরা। ম্যাচের শেষ দিকে চাপ সামলাতে না পেরে ৫ ডিফেন্ডার নিয়ে নামতে হয় দিল্লিকে। কিন্তু সেকেন্ড হাফে একটাও ট্যাকল পয়েন্ট দিল্লির ডিফেন্ডাররা আনতে পারেননি। যে কারণে দুই টিমের ফারাক ক্রমশ বাড়তে থাকে।

ফাইনালের সেরা রেইডার হলেন নবীন। ফাইনালের সেরা ডিফেন্ডার জিভা কুমার। গেম চেঞ্জার অফ দ্য ফাইনাল নবিবক্স। দিল্লির বিরুদ্ধে লিগ ম্যাচেও চমৎকার পারফর্ম করেছিল বাংলা। ফাইনালেও সেই ধারা অব্যহত। প্রো কবাডি লিগে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে আসল মস্তিষ্ক কোচ রমেশ। শুরু থেকে টিমের ভারসাম্য যাতে থাকে, সেই চেষ্টা করে গিয়েছেন। চোট আঘাতের জন্য টিম থেকে কেউ না কেউ বাদ পড়বেন, এ কথা মাথায় রেখেই টিম সাজিয়েছিলেন। বাংলা টিমের ব্যালান্স নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কবাডি বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে নবিবক্স। নবীনের পর তিনিই সেরা রেইডার। ফাইনালেও তিনটে সুপার টেন এনে দিয়েছেন বাংলাকে। যা দিল্লিকে থমকে দিয়েছিল।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল