এই সময়: এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তনিও আবাস যতই রেফারিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান না কেন, মঙ্গলবার নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের ১-২ হারটা কিন্তু আইএসএলে আলোচনার নতুন খোরাক জোগাল।
খালিদের ফুটবল জীবন ও কোচিং জীবন যাঁর হাতে ধরে শুরু সেই ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম নামী ও সফল কোচ বিমল ঘোষ মুম্বই থেকে ফোনে বলছিলেন, 'খালিদের কোচিং দেখে মনেই হচ্ছে না, ওর উল্টোদিকের রিজার্ভ বেঞ্চে কোনও নামী বিদেশি কোচেরা রয়েছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তিন ফরোয়ার্ডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে খালিদ টক্কর দিয়ে গেল আবাসকে।' বিমল সঙ্গে জোড়েন, 'ভারতীয় কোচরা আইএসএলে সুযোগ পেলে যে ভালো ফল করতে পারে, তা প্রমাণ করল খালিদ।'
মোহনবাগানের এই হারে অবশ্যই ভুল রেফারিংয়ের হাত রয়েছে। ৬০ মিনিটে নর্থ ইস্টের লুইস মাচাদো প্রথম গোলটি করার সময় পরিষ্কারই বাগান ডিফেন্ডার তিরিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এটা অবশ্যই ফাউল। লাইন্সম্যান পতাকা তুলে এর জন্য রেফারির দৃষ্টিও আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রেফারি তা এড়িয়ে যান। মাচাদো গোল করেন। ৭২ মিনিটে রয় কৃষ্ণা গোল শোধ করেন। কিন্তু ৮১ মিনিটে নর্থ ইস্টকে ফের এগিয়ে দেন ফ্রেদরিকো গালেগো। আর এই গোলেই নর্থ ইস্ট জিতে ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে পাঁচ নম্বরে থেকে প্লে অফে জায়গা করে নেওয়ার আশা জাগাল।
ম্যাচের পর আবাস বলেন, 'দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির একটা ভুল সিদ্ধান্তই আমাদের ম্যাচ থেকে সরিয়ে দিল। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছি। গোলের সুযোগও নষ্ট করেছি।' খালিদ জিতেও কিন্তু এখনই প্লে অফের কথা মাথায় আনতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, 'প্লে অফ নিয়ে ভাবছি। আমি প্রতি ম্যাচ ধরে এগোই। দুটো ম্যাচ জিতেছি। এ বার লক্ষ্য মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও তিন পয়েন্ট।'
হারলেও মোহনবাগান এখনও দুইয়েই রইল। প্লে অফে যাওয়াটাও তাদের অনেকটা নিশ্চিত। কিন্তু লিগে এক নম্বর হয়ে এ বারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার আশাটা আবাসের টিমের কাছে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।