অ্যাপশহর

"...হৃদয়ে মম", ডার্বির আগে সুভাষ ভৌমিককে শ্রদ্ধা ইস্টবেঙ্গলের

আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তারপরেই মাঠে নামছে ATK মোহনবাগান এবং SC ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে সুভাষ ভৌমিককে শ্রদ্ধা জানালেন লাল-হলুদ ব্রিগেডের ফুটবলাররা

EiSamay.Com 29 Jan 2022, 7:05 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হতে চলেছে মহাসংগ্রাম। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। ফুটবল ময়দানে এই 'আমরা-ওরা'র লড়াই যে বহু বছর ধরে চলে আসছে, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। তবে এমনই বহু যুদ্ধের সাক্ষী থেকেছেন বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক। তবে ফুটবলারের থেকে কোচ হিসেবেই তাঁর নাম-ডাক ছিল অনেক বেশি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচিং করিয়েই তিনি খ্যাতির শীর্ষে উঠেছিলেন। তাঁর কোচিংয়েই লাল-হলুদ ব্রিগেড ২০০৩ সালে আসিয়ান কাপ। সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন তিনি। আর দলের এই প্রাক্তন হেডস্যারকে সম্মান জানিয়েই কলকাতা ডার্বি শুরুর কিছুক্ষণ আগে দলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মান জানানো হল।
EiSamay.Com East Bengal FB (1)
ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে সুভাষ ভৌমিককে শ্রদ্ধার্ঘ্য দলের, ছবি সৌজন্য - Facebook/SC East Bengal


শনিবার ম্যাচ শুরুর আগে একটি বিশেষ লাল-হলুদ জার্সি তৈরি করা হয়। সেই পরিচিত ১২ নম্বর জার্সিতে ভৌমিক নামটা বেশ জ্বলজ্বল করছিল। ফাতোরদা স্টেডিয়ামে এই বিশেষ জার্সিতেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচকে সম্মান জানানো হয়। মহম্মদ রফিক, অরিন্দম ভট্টাচার্যের পাশাপাশি লাল-হলুদ বাহিনীর সহযোদ্ধারা এই জার্সি ঘিরে থাকেন। ক্যাপশনে যোগ করা হয়েছে, "এই একটা ছবিই হাজার কথা বলে। সুভাষ ভৌমিক, আপনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।" সেইসঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয় জয় ইস্টবেঙ্গল, উই আর স্কেব এবং আমাগো ক্লাব।

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুভাষ ভৌমিক। গত কয়েকমাস ধরেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। সুগার এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফলে তাঁর নিয়মিত ডায়ালিসিসও চলছিল। এছাড়াও ছিল হৃদজনিত সমস্যা। ২৩ বছর আগে বাইপাস সার্জারিও করাতে হয়েছিল। বুকেও ছিল সংক্রমণ। অনেকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা চলার কারণে শেষ কয়েকদিন তিনি আর্থিক সমস্যাতেও পড়েছিলেন। সেকারণে গত শুক্রবারই একটি বৈঠকের আয়োজন করে হয়েছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি আশ্বাস দেন, শহরের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করা হবে এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই তাঁর চিকিৎসা করানো হবে। এমনকী এরপরেও যদি অর্থের সংকুলান না হলে কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবও এগিয়ে আসার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি শেষপর্যন্ত দেননি।

ময়দানে 'ভোম্বলদা' নামেই খ্যাত ছিলেম সুভাষ ভৌমিক। পায়ের জোরে জাল কাঁপানোর ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি মাঠে নামলে প্রতিপক্ষের বুকও কাঁপত। আর সেই কারণেই অনুরাগীরা নাম দিয়েছিলেন 'বুলডোজার'। মালদার ছেলে সুভাষ কলকাতার ময়দানে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন বহুদিন। দক্ষ কোচ হওয়ার পাশাপাশি এশিয়াডে শেষ পদকজয়ী ফুটবলার ছিলেন তিনি। এককথায় অলরাউন্ড ফরোয়ার্ড ছিলেন তিনি।

পরের খবর