অ্যাপশহর

আটকে গেল চেন্নাই এক্সপ্রেস, কষ্টার্জিত ড্র ইস্টবেঙ্গলের

মার্শেলো ডান দিকের উইং দিয়ে বারবার উঠছিলেন। বক্সে দুইবার ফাঁকা পেয়েও বাইরে মারলেন। এরপর তাঁকে নিয়ে দলের সমর্থকেরা ক্ষোভ জাহির করতে থাকেন। এমনকী, মারিওর গেমপ্ল্যান নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

Lipi 2 Feb 2022, 10:28 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে শেষ মুহূর্তে লালরিনলিয়ানা নামতে গোলটা করে সমতা না ফেরালে, ইস্টবেঙ্গলের পরাজয়ের তালিকাটি যে আরও লম্বা হত তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আশা করা হয়েছিল, কলকাতা ডার্বিতে পরাজয়ের পর চেন্নাইন FC-র বিরুদ্ধে হয়ত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু, সে গুড়ে বালি। ২-২ গোলে ড্র করল মারিও রিভেরার ছেলেরা।
EiSamay.Com East Bengal Main
ইস্টবেঙ্গল বনাম চেন্নাইন এফসি ম্যাচের একটি মুহূর্ত, ছবি সৌজন্য - Twitter/Indian Super League


বুধবার শুরু থেকেই ডিফেন্সের দুর্বলতা ভোগাল SC ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের শুরু থেকেই আগাগোড়া আধিপত্য বিস্তার করে চেন্নাই। লাল-হলুদ ডিফেন্স গত ডার্বি ম্যাচে যতটা ভালো খেলেছিল। সেই একাগ্রতা চেন্নাইনের বিরুদ্ধে দেখা যায়নি দলের মধ্যে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে SC ইস্টবেঙ্গলের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে অরিন্দমকে পরাস্ত করেন নিনথোই। এরপরে ২ মিনিট পরে আত্মঘাতী গোল করে বসেন লাল-হলুদের বাংলার ডিফেন্ডার হীরা মণ্ডল।

শুরুতে দুই গোল খেয়ে ডিফেন্স শক্ত করে লড়াই করে আক্রমণে এগিয়ে যায় SC ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল এল না প্রথমার্ধে কারণ গোলের জন্য মার্সেলো-পেরোসেভিচ জুটির উপরেই ভরসা রেখেছেন কোচ রিভেরা। সেই দুজনেই একের পর এক চেন্নাই বক্সে গোলের সুযোগ পেয়ে মিস করলেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমশ রক্ষণাত্মক হতে শুরু করে চেন্নাই এবং কাউন্টার অ্যাটাকেও উঠছিল মাঝে মাঝে। অন্যদিকে, SC ইস্টবেঙ্গলও গোলের জন্য মরিয়া ওঠে। তবে তাদের আক্রমণ ছিল মূলত পেরোসেভিচকেন্দ্রিক। তারা গোল মিস করতে থাকেন। মার্শেলো ডান দিকের উইং দিয়ে বারবার উঠছিলেন। বক্সে দুইবার ফাঁকা পেয়েও বাইরে মারলেন। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বেশ কয়েক বার চেন্নাইনের গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। সহজ সুযোগ ছাড়েন মার্সেলো, পেরোসেভিচরা। দু’এক বার ছাড়া বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি চেন্নাইনের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে ৪৮ থেকে ৫২ মিনিটের মধ্যে পরপর দু’বার পজিটিভ সুযোগ তৈরি করে নেন তাঁরা।

প্রথমবার একটি গোলমুখী সেন্টার ফিস্ট করে বার করে দেন অরিন্দম এবং তার তিন মিনিট পরেই জর্ডন মারের গোলমুখী হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বল থেকে তখন অনেকটা দূরেই ছিলেন গোলকিপার ৬০ মিনিটম্যাচে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন সিডোয়েল। প্রথম গোল করেই রক্তের স্বাদ পেয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড । ক্রমশ চেন্নাই বক্সে আক্রমণ করে। কিন্তু বাংলার দেবজিৎ মজুমদার গোলে দক্ষতার পরিচয় দেন। এরপরে মারিও খেলা শেষ হওয়ার পনেরো মিনিট আগে হুরিডম সিংয়ের জায়গায় অমরজিৎ। ও সৌরভ দাসের জায়গায় রানতেকে নামান।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল