অ্যাপশহর

ম্যাচের মধ্যেই মৃত্যু তিন প্রধানে খেলা ধনরাজনের

পেরেন্দালমন্নার মাঠে প্রথমার্ধের পনেরো মিনিটে ভালোই খেলছিলেন ধনা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই বুকে হাত দিয়ে শুয়ে পড়েন মাটিতে। তাঁকে ছটফট করতে দেখে সতীর্থরা ছুটে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যান ধনা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছাকাছি মৌলানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

EiSamay.Com 30 Dec 2019, 11:41 am
এই সময়: ইদানীং খুব বেশি সময় পেতেন না খেলার। সদ্য কেরালা স্পোর্টস কাউন্সিলে চাকরি পাওয়ার জন্য। রবিরার সন্ধেয় তবু কয়েক জন বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন কেরালার পালাকাট জেলার পেরেন্দালামন্নাতে। সেভেন-আ-সাইড একটি টুর্নামেন্ট খেলতে। সেখানেই খেলতে খেলতে মারা গেলেন তিন প্রধানে চুটিয়ে ফুটবল খেলা ধনরাজন রাধাকৃষ্ণন। কলকাতা ময়দানে যিনি পরিচিত ছিলেন ‘ধনা’ নামে।
EiSamay.Com ধনরাজন এখন শুধুই স্মৃতি
ধনরাজন এখন শুধুই স্মৃতি


পেরেন্দালমন্নার মাঠে প্রথমার্ধের পনেরো মিনিটে ভালোই খেলছিলেন ধনা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই বুকে হাত দিয়ে শুয়ে পড়েন মাটিতে। তাঁকে ছটফট করতে দেখে সতীর্থরা ছুটে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যান ধনা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছাকাছি মৌলানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা ৩৯ বছরের ফুটবলারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ধনার মোবাইলে যখন ফোন করা হল, ও পার থেকে কেরালার ফুটবলারের এক বন্ধু বলেন, ‘ও শরীরিক কোনও সমস্যা আছে বলে আমরা জানতাম না। ও ইদানীং চাকরির জন্য খুব একটা খেলার সময় পেত না ঠিকই, কিন্তু এই টুর্নামেন্টটা খেলতে চেয়েছিল। এখানে খেলতে এসেই মারা গেল।’ ছেলেবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছেন ধনা। মাও মারা গিয়েছেন বছর খানেক আগে। দুই ভাই-বোনের পাশাপাশি স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়েকে রেখে গেলেন ধনা।

ভিভা কেরালা থেকে উত্থান ধনার। খেলতেন প্রিয় বন্ধু ডেনসন দেবাদাসের সঙ্গে। সেকেন্ড ডিভিশন আই লিগের একটি ম্যাচে নজরে পড়ে যান চিরাগের কর্তাদের। মোহনবাগানকে আই লিগ দেওয়া কোচ সিকে চাট্টুনিকে নিয়ে ধনা ও ডেনসনকে সই করিয়েছিলেন তাঁরা। নাম বদলে ওই ক্লাব এখন ইউনাইটেড। তাদের প্রধান কর্তা নবাব ভট্টাচার্য আমেদাবাদ থেকে বলছিলেন, ‘খবরটা শোনার পর বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এই ক’দিন আগেও ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কেরালার একটা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্লাবে সই করার জন্য সাদার্ন থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য বলেছিল আমাকে। তার মধ্যেই...!’

চিরাগ থেকে মোহনবাগানে সই করেছিলেন ধনা। সেখানে কয়েক মরসুম খেলে চলে যান ইস্টবেঙ্গলে। যোখান থেকেই সই করেন মহামেডানে। শেষ দিকে খেলেছেন সাদার্ন সমিতিতে। ২০১১ সালে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জিতিয়েছিলেন ধনা ও ডেনসনরা। সেই সূত্রেই শেষ পর্যন্ত সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। ডেনসন বলছিলেন, ‘আমি যখন খবরটা পাই, মনে হয়েছিল ভাইকে হারালাম। চিরাগে খেলতে আসার সময় থেকেই আমরা এক সঙ্গে বাড়ি ভাড়া করে থাকতাম। যে ক্লাবেই খেলি না কেন, এক সঙ্গেই থেকেছি। ওকে যে এত তাড়াতাড়ি হারাব, কখনও ভাবিনি।’

আরও পড়ুন: বছর শেষে প্রত্যাবর্তনে বাজিমাত চেলসির

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল