কৌশিক বিশ্বাস, এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক:
ভারতীয় খেলাধুলোয় ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রবেশ, গোটা দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোকে যে আরও ঝাঁ চকচকে করে তুলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিদেশে বহুদিন আগে থেকে এই কালচার প্রচলিত হলেও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের হাত ধরেই ভারতীয় খেলাধুলোর চৌকাঠে পা রেখেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। শিল্পপতি থেকে চলচ্চিত্র তারকা, এই নয়া ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে মুনাফাও লুটেছেন প্রচুর। ক্রিকেটের দেখাদেখি ফুটবলেও পা রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কালচার। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।
তবে গত বছর থেকে ATK দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ISL খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মোহনবাগান ক্লাব। দেখাদেখি সেই পথে পা বাড়ায়kইস্টবেঙ্গলও। প্রথমে বিনিয়োগকারী জোগাড় করতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ISL আঙিনায় পা রেখেছে লাল-হলুদ শিবির। গত মরশুমে ATK মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেও, SC ইস্টবেঙ্গল জঘন্য পারফরম্যান্স করে এবং পয়েন্ট তালিকায় একেবারে নীচুতে থেকে শেষ করে।
চলতি মরশুমে ATK মোহনবাগান নিজেদের সংসার মোটামুটি গুছিয়ে ফেললেও, SC ইস্টবেঙ্গল নিজেদের দলগঠন আপাতত শুরু করেছে। চলতি মরশুমেও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চুক্তিজট কাটে লাল-হলুদ শিবিরের। কিন্তু, সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ISL টুর্নামেন্টের আতিশয্যে কিছুটা হলেও কলকাতা ফুটবল লিগ পিছিয়ে পড়েছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত IFA। গতকালই এই দুই দলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা হয়। বিকেল সাড়ে চারটের সময় ফেডারেশনের নির্দেশে দুই ক্লাবের CRS সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়েছে। আবার ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেন SC ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
কিন্তু, এই ঘটনা তো একেবারেই কাম্য ছিল না। কারণ একটা ব্যাপার দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের যেখানে দলগঠনই এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, সেখানে কলকাতা লিগ খেলার কোনও প্রশ্নই আসে না। এই ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'এখন পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূল। যদি এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকত, তাহলে অনুশীলন প্রথম থেকেই শুরু হয়ে যেত। এখনও ইস্টবেঙ্গল দল নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে দলটার পক্ষে এই মুহূর্তে কলকাতা লিগ খেলা একেবারেই সম্ভব নয়।'
তবে শুধু ইস্টবেঙ্গলই তো নয়, ATK মোহনবাগানও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে মনোরঞ্জন বাবুর ব্যাখ্যা, 'যে দলটা এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছে, তারা এই কলকাতা লিগ নিয়ে কেন মাথা ঘামাবে বলুন তো? অনেকেই হয়ত বলবেন একটা দলের সেকেন্ড লাইন আপ থাকতেই পারে। সেই রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার দিয়েও তো খেলানো যেতে পারত! কিন্তু, করোনা অতিমারির মধ্যে খুব কম ফুটবলারদের নিয়ে অধিকাংশ দলকে অনুশীলন চালাতে হচ্ছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কীভাবে কোনও দল AFC কাপের কথা মাথায় রাখার পাশাপাশি কলকাতা লিগ নিয়ে ভাববে?'
তবে ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যে সায় দিলেও, মোহনবাগান নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করেননি সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'ইস্টবেঙ্গল দল আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, এমন একটা সময় তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতা লিগে দল নামানো একেবারেই সম্ভব নয়। কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে আজ দলগঠন করার পর আগামীকাল মাঠে নামিয়ে দেওয়া তো আর সম্ভব নয়। তারজন্য নির্দিষ্ট অনুশীলন দরকার। আমার মনে হয় মোহনবাগান এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারত। কারণ ওরা ইতিমধ্যেই দলগঠন করে নিয়েছে। ফলে ওদের পক্ষে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের খেলানো খুব একটা কঠিন ছিল না। এটা মোহনবাগানের জন্যই আদতে ভালো হত। কারণ দলের রিজার্ভ বেঞ্চ সবসময় রেডি থাকত।'
সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'বাংলার ফুটবলে যে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল খেলবে না, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কারণ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে মানুষ। আর সেটা মাথায় রেখেই কলকাতা ফুটবলকে আরও উৎসাহ দেওয়া উচিৎ।'
এই প্রসঙ্গে সোমবার দুপুরে IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'SC ইস্টবেঙ্গল ও ATK মোহনবাগানের কলকাতা লিগ খেলার কথা ছিল। কিন্তু এই দুই বড় ক্লাব কলকাতা লিগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। ওদের জন্য সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা খেলছে না। তাই ওদের CRS ব্লক করা হয়েছিল।'
ভারতীয় খেলাধুলোয় ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রবেশ, গোটা দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোকে যে আরও ঝাঁ চকচকে করে তুলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিদেশে বহুদিন আগে থেকে এই কালচার প্রচলিত হলেও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের হাত ধরেই ভারতীয় খেলাধুলোর চৌকাঠে পা রেখেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। শিল্পপতি থেকে চলচ্চিত্র তারকা, এই নয়া ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে মুনাফাও লুটেছেন প্রচুর। ক্রিকেটের দেখাদেখি ফুটবলেও পা রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কালচার। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।
তবে গত বছর থেকে ATK দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ISL খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মোহনবাগান ক্লাব। দেখাদেখি সেই পথে পা বাড়ায়kইস্টবেঙ্গলও। প্রথমে বিনিয়োগকারী জোগাড় করতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ISL আঙিনায় পা রেখেছে লাল-হলুদ শিবির। গত মরশুমে ATK মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেও, SC ইস্টবেঙ্গল জঘন্য পারফরম্যান্স করে এবং পয়েন্ট তালিকায় একেবারে নীচুতে থেকে শেষ করে।
চলতি মরশুমে ATK মোহনবাগান নিজেদের সংসার মোটামুটি গুছিয়ে ফেললেও, SC ইস্টবেঙ্গল নিজেদের দলগঠন আপাতত শুরু করেছে। চলতি মরশুমেও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চুক্তিজট কাটে লাল-হলুদ শিবিরের। কিন্তু, সমস্যাটা অন্য জায়গায়। ISL টুর্নামেন্টের আতিশয্যে কিছুটা হলেও কলকাতা ফুটবল লিগ পিছিয়ে পড়েছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত IFA। গতকালই এই দুই দলের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা হয়। বিকেল সাড়ে চারটের সময় ফেডারেশনের নির্দেশে দুই ক্লাবের CRS সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়েছে। আবার ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেন SC ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
কিন্তু, এই ঘটনা তো একেবারেই কাম্য ছিল না। কারণ একটা ব্যাপার দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের যেখানে দলগঠনই এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, সেখানে কলকাতা লিগ খেলার কোনও প্রশ্নই আসে না। এই ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'এখন পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূল। যদি এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকত, তাহলে অনুশীলন প্রথম থেকেই শুরু হয়ে যেত। এখনও ইস্টবেঙ্গল দল নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে দলটার পক্ষে এই মুহূর্তে কলকাতা লিগ খেলা একেবারেই সম্ভব নয়।'
তবে শুধু ইস্টবেঙ্গলই তো নয়, ATK মোহনবাগানও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে মনোরঞ্জন বাবুর ব্যাখ্যা, 'যে দলটা এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছে, তারা এই কলকাতা লিগ নিয়ে কেন মাথা ঘামাবে বলুন তো? অনেকেই হয়ত বলবেন একটা দলের সেকেন্ড লাইন আপ থাকতেই পারে। সেই রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার দিয়েও তো খেলানো যেতে পারত! কিন্তু, করোনা অতিমারির মধ্যে খুব কম ফুটবলারদের নিয়ে অধিকাংশ দলকে অনুশীলন চালাতে হচ্ছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কীভাবে কোনও দল AFC কাপের কথা মাথায় রাখার পাশাপাশি কলকাতা লিগ নিয়ে ভাববে?'
তবে ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যে সায় দিলেও, মোহনবাগান নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করেননি সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'ইস্টবেঙ্গল দল আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, এমন একটা সময় তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতা লিগে দল নামানো একেবারেই সম্ভব নয়। কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে আজ দলগঠন করার পর আগামীকাল মাঠে নামিয়ে দেওয়া তো আর সম্ভব নয়। তারজন্য নির্দিষ্ট অনুশীলন দরকার। আমার মনে হয় মোহনবাগান এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারত। কারণ ওরা ইতিমধ্যেই দলগঠন করে নিয়েছে। ফলে ওদের পক্ষে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের খেলানো খুব একটা কঠিন ছিল না। এটা মোহনবাগানের জন্যই আদতে ভালো হত। কারণ দলের রিজার্ভ বেঞ্চ সবসময় রেডি থাকত।'
সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'বাংলার ফুটবলে যে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল খেলবে না, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কারণ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে মানুষ। আর সেটা মাথায় রেখেই কলকাতা ফুটবলকে আরও উৎসাহ দেওয়া উচিৎ।'
এই প্রসঙ্গে সোমবার দুপুরে IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'SC ইস্টবেঙ্গল ও ATK মোহনবাগানের কলকাতা লিগ খেলার কথা ছিল। কিন্তু এই দুই বড় ক্লাব কলকাতা লিগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। ওদের জন্য সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা খেলছে না। তাই ওদের CRS ব্লক করা হয়েছিল।'