অ্যাপশহর

'হৃদয়ের থেকে প্রিয়', মোহনবাগান জার্সি পরে নস্ট্যালজিক ব্যারেটো

মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের অন্যতম সফল বিদেশি হলেন এই ব্যারেটো। ২০০৬ সালে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড থেকে মোহনবাগান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁর ট্রান্সফার ফি ছিল ৬০ লাখ টাকা।

Lipi 30 Sep 2021, 9:22 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলের এত রমরমা ভারতে শুরু হয়নি। বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের কাছে দুটো দলই ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। এই দুই ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে বাংলার যে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, তা হয়ত অক্ষরে প্রকাশ করা যাবে না। ঠিক সেইসময় এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মোহনবাগান ক্লাবে নামে লিখিয়েছিলেন। নাম হোসে ব়্যামিরেজ ব্যারেটো। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিনি যে কখন বাগান সমর্থকদের প্রাণভ্রমরা হয়ে উঠেছিলেন, সেটা বোধহয় নিজেও ঠাহর করতে পারেননি। একটাই স্লোগান তখন বাগানের আকাশে শব্দব্রহ্মের মতো আছড়ে পড়ত, 'শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, ব্যারেটোই ভরসা।'
EiSamay.Com Barreto
মোহনবাগান ক্লাবে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে 'সবুজ-তোতা' ব্যারেটোকে, ছবি সৌজন্য - ফেসবুক


মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের অন্যতম সফল বিদেশি হলেন এই ব্যারেটো। ২০০৬ সালে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড থেকে মোহনবাগান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় তাঁর ট্রান্সফার ফি ছিল ৬০ লাখ টাকা। ২০১২ সালের ৬ মে তিনি মোহনবাগানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। আই লিগের শেষ পর্যায়ে পুনে এফসির বিরুদ্ধে ছিল ম্যাচটি।

জাতীয় ফুটবল লিগ তথা আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখনও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাগানের সবুজ তোতা। তিনি মোট ১০১টি গোল করেছিলেন। তারমধ্যে ৯৪টি গোল বাগানের জার্সিতে তিনি করেছিলেন। এছাড়া ফেডারেশন কাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৭) হিসেবেও তাঁর নাম লেখা হয়েছিল।

আজ এত বছর পর মোহনবাগান তাঁবুতে ফিরে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন ব্যারোটো। সেই পুরনো সবুজ-মেরুন জার্সি তাঁকে আবারও পরানো হয়। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, 'আমি যখনই আমার সেকেন্ড হোম টাউন কলকাতায় আসি, তখন আমার হৃদয়ের থেকে প্রিয় এই জায়গায় আসার লোভ সামলাতে পারি না। তবে এবার আমি মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে এসে একেবারে চমকে গিয়েছি। কারণ যেভাবে ক্লাব তাঁবুর পুনর্নিমাণ করা হচ্ছে এবং ইতিহাস সংরক্ষণের কাজ চলছে, তা এককথায় অসাধারণ। আমি নিশ্চিত যে আগামীদিনে এই মোহনবাগান তাঁবু দেশের অন্যতম দর্শণীয় স্থান হিসেবে গণ্য করা হবে।'


আজ ব্যারেটোর হাতে এই জার্সি তুলে দেন মোহনবাগান ক্লাবের দুই কর্মকর্তা সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিষ দত্ত। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে আজ একটি টুইট করে বলা হয়েছে, 'আজ আমাদের ক্লাবে ব্যারেটো এসেছিলেন। তাঁর হাতে ১৯১১ সালের রেট্রো জার্সি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরনে অসাধারণ লাগছে।'

তবে ব্যারেটো আরও যোগ করেছেন, 'আরও একবার মোহনবাগান জার্সি পরে আমি একেবারে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছি। এই গর্বের রংটা আরও একবার আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এটা সেই অমর একাদশ জার্সির রেপ্লিকা।' শেষকালে তিনি লিখেছেন জয় মোহনবাগান।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল