অ্যাপশহর

সুরজিৎ সেনগুপ্তকে নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত, কমছে অক্সিজেনের মাত্রা

এখনও স্বস্তি দেয়নি সুরজিৎ সেনগুপ্তের শারীরিক অবস্থা। চিকিৎসকেরা তাঁকে আপাতত ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা প্রচন্ড মাত্রায় কমে যাচ্ছে।

Lipi 27 Jan 2022, 8:07 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত সুরজিৎ সেনগুপ্তকে নিয়ে আতঙ্ক যেন কাটছেই না। গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবস্থার কোনো উন্নতিই সেভাবে হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে জারি করা মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। বাইপ্যাপের সাপোর্টে ৯৮ শতাংশ অক্সিজেন স্যাচুরেশন মেনটেন করছেন তিনি। বুধবারও একই পরিস্থিতি ছিল। সুরজিৎ সেনগুপ্তর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।
EiSamay.Com Surajit Sengupta 2nd Main
বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত


কিন্তু বাইপ্যাপ খুলে নিলে সেটা ৬০ শতাংশে নেমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সুরজিৎ সেনগুপ্তের ছেলে স্নিগ্ধদীপ সেনগুপ্ত বলেছেন, "বাবার শারীরিক অবস্থা এখনও তেমন উন্নতি হয়নি। আগের মতোই একইরকম ক্রিটিকাল রয়েছে পরিস্থিতি। এখনও কিছু আশার আলো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বাবাকে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখলে ৯৭ বা ৯৮ শতাংশ অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল মেনটেন হলেও, তা সরিয়ে নিলেই অক্সিজেনের মাত্রা নেমে আসছে।" আগের দিনও সুরজিৎ সেনগুপ্তর শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ড্রপ করে। ৫৩ শতাংশে নেমে যায়। তবে বর্তমানে কিছুটা যে সেই মাত্রাটা বেড়েছে, এটাই চিকিৎসকদের স্বস্তি দিচ্ছে।

গত রবিবার রাত্রে করোনার মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুরজিৎ সেনগুপ্তকে। কো-মর্বিডিটি রয়েছে। ২০১১ সালের অগাস্ট মাসে চারটি স্টেন বসানো হয়েছিল তাঁর হৃদযন্ত্রে। মঙ্গলবার সুরজিৎ সেনগুপ্তর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠণ করে রাজ্য সরকার। ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাক্তন উইঙ্গারকে দেখতে আসবেন করোনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায়। অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিয়ারলেস হাসপাতালের CEO, প্রাক্তন ফুটবলার ও বিধায়ক মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সুরজিৎ সেনগুপ্তের ছেলে স্নিগ্ধজিত সেনগুপ্ত। এ ছাড়াও ইস্টবেঙ্গলের তরফে ছিলেন দেবব্রত সরকার এবং মোহনবাগানের তরফে ছিলেন দেবাশীষ দত্ত।

IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মেডিকেল বোর্ড তৈরি করার। তিন প্রধানের মধ্যে মোহনবাগানে তিনি প্রথম খেলেন। তারপর তাঁকে সই করানো হয় লাল-হলুদ শিবিরে। লাল-হলুদে এসে ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কলকাতার তিন প্রধানে দাপটে খেলেন. তবে ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে হিসেবেই পরিচিত. বিখ্যাত পাঁচ গোলের নায়কও তিনি`১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭-এর কলকাতা ফুটবল লিগ, ছ’বার IFA শিল্ড, তিনবার ডুরান্ড জয়ের মুকুট উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের মাথায়। স্বপ্নের দৌড়ে চলছিল লাল-হলুদ বাহিনীর। ১৯৭৫ সালের ডার্বিতে (IFA শিল্ডের ফাইনাল) ইস্টবেঙ্গল ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ১৯৭৭-৭৯ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল