পার্থ দত্ত ভারতীয় ফুটবলে এক দিকে আইএসএলের দৌলতে টাকার ছড়াছড়ি, অন্য দিকে ফেডারেশনের নীতিহীনতায় প্রবল আর্থিক অনটনে ভারতীয় টিমে খেলা ফুটবলার বুঙ্গো সিং অসহায়।
ভারতীয় ক্রিকেট টিমে খেললে তো বটেই, রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটারও পেনশন পান। কিন্তু ভারতীয় টিমের ফুটবলাররা কিছুই পান না। মণিপুরের মিডফিল্ডার বুঙ্গো সিং এক-দেড় দশক আগেও ক্লাব ফুটবলে বড় নাম ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া, সালগাওকর, চার্চিল, পুনে এফসি, মহামেডানে খেলেছেন নতুন সহস্রাব্দের প্রথম দশকে। মোহনবাগানে দু'দফায় দু'মরসুম কাটিয়েছেন। যুব ভারতীয় টিমের হয়ে অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত খেলে অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান অল স্টার টিমেও ঠাঁই পেয়েছিলেন তিনি। পরে সিনিয়র ভারতীয় টিমের হয়ে এশিয়ান গেমস, প্রি অলিম্পিক, এশিয়ান চ্যালেঞ্জ কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন দশটার বেশি ম্যাচ।
রবিবার রাতে ফোনে ইম্ফল থেকে বুঙ্গো বলছিলেন, ''পেশাদার ফুটবলার হব বলেই বয়স থাকতে চাকরি নিইনি। বিভিন্ন ক্লাবে খেলেও বিরাট কিছু টাকা পাইনি। অনেক ক্লাব আমার চুক্তিমতো টাকাও দেয়নি। পড়াশোনা না জানায় তার প্রতিবাদও করতে পারিনি। একই কারণে অন্য কোনও কাজও করতে জানি না। ফুটবল কোচিং করিয়ে পেট চালাতে চাই। কিন্তু ডি-য়ের বেশি লাইসেন্স করতে পারিনি টাকার অভাবে। ফলে কাজ পাচ্ছি না।'' যোগ করেন, ''এখন আমি খুব সমস্যায়। দুটো ছোট বাচ্চা আছে। স্ত্রী নার্সিংহোমে অস্থায়ী নার্সের কাজ করে বলে খেতে পাই। নইলে যে কী হত, ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।''
ভাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, রেনেডি সিং, রহিম নবিদের পাশে দাপিয়ে খেলা বুঙ্গোর গলায় অসহায় সুর। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ বিমল ঘোষ উদ্যোগ নিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে বুঙ্গোর জন্য একটা কাজ যোগার করে দেওয়ার।
ভারতীয় ক্রিকেট টিমে খেললে তো বটেই, রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটারও পেনশন পান। কিন্তু ভারতীয় টিমের ফুটবলাররা কিছুই পান না। মণিপুরের মিডফিল্ডার বুঙ্গো সিং এক-দেড় দশক আগেও ক্লাব ফুটবলে বড় নাম ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া, সালগাওকর, চার্চিল, পুনে এফসি, মহামেডানে খেলেছেন নতুন সহস্রাব্দের প্রথম দশকে। মোহনবাগানে দু'দফায় দু'মরসুম কাটিয়েছেন। যুব ভারতীয় টিমের হয়ে অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত খেলে অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান অল স্টার টিমেও ঠাঁই পেয়েছিলেন তিনি। পরে সিনিয়র ভারতীয় টিমের হয়ে এশিয়ান গেমস, প্রি অলিম্পিক, এশিয়ান চ্যালেঞ্জ কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছেন দশটার বেশি ম্যাচ।
রবিবার রাতে ফোনে ইম্ফল থেকে বুঙ্গো বলছিলেন, ''পেশাদার ফুটবলার হব বলেই বয়স থাকতে চাকরি নিইনি। বিভিন্ন ক্লাবে খেলেও বিরাট কিছু টাকা পাইনি। অনেক ক্লাব আমার চুক্তিমতো টাকাও দেয়নি। পড়াশোনা না জানায় তার প্রতিবাদও করতে পারিনি। একই কারণে অন্য কোনও কাজও করতে জানি না। ফুটবল কোচিং করিয়ে পেট চালাতে চাই। কিন্তু ডি-য়ের বেশি লাইসেন্স করতে পারিনি টাকার অভাবে। ফলে কাজ পাচ্ছি না।'' যোগ করেন, ''এখন আমি খুব সমস্যায়। দুটো ছোট বাচ্চা আছে। স্ত্রী নার্সিংহোমে অস্থায়ী নার্সের কাজ করে বলে খেতে পাই। নইলে যে কী হত, ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।''
ভাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী, রেনেডি সিং, রহিম নবিদের পাশে দাপিয়ে খেলা বুঙ্গোর গলায় অসহায় সুর। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ বিমল ঘোষ উদ্যোগ নিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে বুঙ্গোর জন্য একটা কাজ যোগার করে দেওয়ার।