আগামী মাসের শুরুতেই Emami-র চুক্তিপত্রে সই East Bengal কর্তাদের! জোর গুঞ্জন

Emami গোষ্ঠীর কাছ থেকে ইতিপূর্বেই East Bengal ক্লাবে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই খসড়া পরিমার্জিত করে আবার ফিরিয়েও দিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু, এবার প্রশ্ন হল কবে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করবে দু'পক্ষ? কারণ যতদিন না এই সই হচ্ছে, ততদিন আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য দলগঠণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে জানা গেল সেই কাঙ্খিত তারিখ। ক্লাব সূত্রের খবর, আগামী মাসের প্রথম দিনই এই চুক্তিপত্রে সই করবে দুই পক্ষ।

আগামী ১ জুলাই Emami গোষ্ঠীর ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়ালের ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই হবে বলে শোনা গিয়েছে। সূত্রের খবর, Emami গোষ্ঠী ক্লাবের ৮০ শতাংশ স্বত্ত্ব নিজেদের কাছে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। অনুষ্ঠানে সেই বিষয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
"ওরা এত দেরি করছে কেন?" East Bengal কর্তাদের বেনজির আক্রমণ Emami কর্তার
ইতিমধ্যেই Emami গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "চুক্তি নিয়ে আমাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই দুই পক্ষের বৈঠকের আয়োজন করা হবে।"
East Bengal Club-এ চুক্তির খসড়া পাঠাল Emami, দল গঠন কবে?
অন্যদিকে East Bengal ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, "আগামী শুক্রবারের মধ্যে গোটা বিষয়টা একেবারে চূড়ান্ত হয়ে যাবে।" তবে ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি, কোন পক্ষ কত শতাংশ স্বত্ত্বে শেষপর্যন্ত রাজি হয়েছে, সেই ব্যাপারে আপাতত কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না। শোনা যাচ্ছে, ৭০ শতাংশ (ইমামি) এবং ৩০ শতাংশে (ইস্টবেঙ্গল) অবশেষে চুক্তিপত্রে সই করতে পারে।
চলতি সপ্তাহেই দল গঠন নিয়ে ইনভেস্টরের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে লাল-হলুদের
এই চুক্তিপত্রে সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন FSDL প্রতিনিধি তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা। সই হওয়া মাত্রই দ্রুত শুরু হয়ে যাবে দলগঠণের প্রক্রিয়াও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি ক্লাবের পক্ষ থেকে কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে আগাম কথাবার্তা সেরে রাখা হয়েছে। সই হওয়ামাত্রই তাঁদের দলে নেওয়া হবে।
মতের অমিল? পদত্যাগ East Bengal Club-এর ফুটবল সচিবের
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বিনিয়োগকারী হিসেবে Emami-কে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর উপস্থিতিতেই দুই পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তা আয়োজন করা হয়। তবে শুধুমাত্র ইমামিই নয়, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গলে টাকা ঢালতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু, বিগত দুটো ISL মরশুমে লাল-হলুদ ব্রিগেডের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তারা দলের হাত ছেড়ে দেয়।
"East Bengal-এর ISL না খেলা উচিত", স্পষ্ট কথা প্রাক্তনীর
এদিকে আবার সোমবার দুপুরবেলাই ইস্তফা দিয়েছেন ক্লাবের ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। ঠিক কোন কারণে এই পদত্যাগ করলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও সৈকতবাবু নিজে জানিয়েছেন, ব্যবসার কাজে বছরের অধিকাংশ সময়ই তাঁকে বিদেশে থাকতে হয়। সেকারণেই তিনি এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।