রূপক বসু
শেষমেশ দুর্গাপুজোয় একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী। হয় ম্যাচ খেলতে বাইরে, নয়তো জৈব-সুরক্ষা বলয়। বিয়ের পরে বছরগুলো এ ভাবেই কেটেছে সুনীল ছেত্রী ও তাঁর স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্যের। সে দিক থেকে দেখলে এ বারের পুজো অন্যরকম।
যেন একটু বেশিই অন্যরকম। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে সোনমের বক্তব্য তেমনই, 'বায়ো-বাব্লের বাইরে ধরলে বিয়ের পরে এ বারের পুজোয় প্রথম এক সঙ্গে আছি। কিন্তু সেটা তো কলকাতায় নয়। আমরা এখন বেঙ্গালুরুতে। এখানকার পুজো কেমন হয়, সেটা তো জানি না। পুজো শেষের পরেই সেটা বলতে পারব।'
হো চি মিন সিটি থেকে বুধবারই ফিরলেন সুনীল। ৮ অক্টোবর আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসির প্রথম ম্যাচ। প্র্যাক্টিসে থাকতে হবে বলেই পুজোর চার দিন শ্বশুরবাড়ি ঘোরার গল্প নেই। এর মধ্যে আবার সোনমের মা ঘুরে গিয়েছেন মেয়ের কাছ থেকে। সোনম মজা করে বললেন, 'মা মহালয়ার দিন ফিরে গিয়েছে। পুজোয় কলকাতার বাইরে থাকবে না।' কিন্তু সোনমকে থাকতে হবে কলকাতার পুজোর স্মৃতি নিয়ে।
সোনমের স্মৃতিতে উঠে এল, 'বাবা ছোটবেলায় ঠাকুর দেখতে নিয়ে যেত। তা ছাড়া নতুন ড্রেস পরে ক্যাপ-বন্দুক নিয়ে খেলা। অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর ভোগ খেয়ে আর দশজন যে ভাবে পুজো কাটায়, আমিও তেমন করেই কাটাতাম।' তবে এখনও একটা শখ পূরণ হয়নি। সোনমের কথায়, 'সিঁদুর খেলাটা খুব ফ্যাশিনেটিং লাগত। কিন্তু সেটা তো বিয়ের আগে খেলা সম্ভব ছিল না। বিয়ের পরে কোনও পুজোয় সেই সুযোগ আসেনি।'
পুজোর চারদিন বাঙালি স্ত্রী-র কি শুধু স্মৃতি নিয়ে কেটে যাবে? মোটেই না। সোনমকে আনন্দে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন সুনীল স্বয়ং। রহস্য ভাঙলেন সোনম, 'সুনীল বলেছে, এ বারের পুজোয় এই বেঙ্গালুরুতেই তোমাকে খুশি রাখার দায়িত্ব আমার।' এর মধ্যে একদিন সুনীলের বাঙালি স্ত্রী-র বাড়িতে ভুরিভোজের নিমন্ত্রণ রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি ফুটবলার ও তাঁদের পরিবারদের। সোনম বলছিলেন, 'সুনীল সব ধরনের বাঙালি খাবার খুব ভালোবাসে। তা ছাড়া গুরপ্রীত, উদান্তা, সন্দেশদেরও আগে বাঙালি খাবার খাইয়েছি। ওরা আলু-পোস্ত খুব ভালোবাসে।'
এখানেই শেষ নয়। সোনমের কয়েকজন তুতো ভাই-বোন থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁদের সঙ্গে অষ্টমীর দিন মধ্যাহ্নভোজের পরিকল্পনাও করা আছে ছেত্রী-দম্পতির। কোনও মণ্ডপ দেখলে অবশ্য অঞ্জলি দিতেও দাঁড়িয়ে পড়বেন ভারতীয় ফুটবলের ফার্স্ট লেডি। আরও হয়তো কোনও পরিকল্পনা রয়েছে। তা অবশ্য সোনম নিজেও জানেন না। কে বলতে পারে, স্ট্রাইকারের চকিতে গোলের মতো সোনমের জন্য সুনীল হয়তো ভেবে রেখেছেন 'সারপ্রাইজ প্ল্যান।'
শেষমেশ দুর্গাপুজোয় একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী। হয় ম্যাচ খেলতে বাইরে, নয়তো জৈব-সুরক্ষা বলয়। বিয়ের পরে বছরগুলো এ ভাবেই কেটেছে সুনীল ছেত্রী ও তাঁর স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্যের। সে দিক থেকে দেখলে এ বারের পুজো অন্যরকম।
যেন একটু বেশিই অন্যরকম। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে সোনমের বক্তব্য তেমনই, 'বায়ো-বাব্লের বাইরে ধরলে বিয়ের পরে এ বারের পুজোয় প্রথম এক সঙ্গে আছি। কিন্তু সেটা তো কলকাতায় নয়। আমরা এখন বেঙ্গালুরুতে। এখানকার পুজো কেমন হয়, সেটা তো জানি না। পুজো শেষের পরেই সেটা বলতে পারব।'
হো চি মিন সিটি থেকে বুধবারই ফিরলেন সুনীল। ৮ অক্টোবর আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসির প্রথম ম্যাচ। প্র্যাক্টিসে থাকতে হবে বলেই পুজোর চার দিন শ্বশুরবাড়ি ঘোরার গল্প নেই। এর মধ্যে আবার সোনমের মা ঘুরে গিয়েছেন মেয়ের কাছ থেকে। সোনম মজা করে বললেন, 'মা মহালয়ার দিন ফিরে গিয়েছে। পুজোয় কলকাতার বাইরে থাকবে না।' কিন্তু সোনমকে থাকতে হবে কলকাতার পুজোর স্মৃতি নিয়ে।
সোনমের স্মৃতিতে উঠে এল, 'বাবা ছোটবেলায় ঠাকুর দেখতে নিয়ে যেত। তা ছাড়া নতুন ড্রেস পরে ক্যাপ-বন্দুক নিয়ে খেলা। অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর ভোগ খেয়ে আর দশজন যে ভাবে পুজো কাটায়, আমিও তেমন করেই কাটাতাম।' তবে এখনও একটা শখ পূরণ হয়নি। সোনমের কথায়, 'সিঁদুর খেলাটা খুব ফ্যাশিনেটিং লাগত। কিন্তু সেটা তো বিয়ের আগে খেলা সম্ভব ছিল না। বিয়ের পরে কোনও পুজোয় সেই সুযোগ আসেনি।'
পুজোর চারদিন বাঙালি স্ত্রী-র কি শুধু স্মৃতি নিয়ে কেটে যাবে? মোটেই না। সোনমকে আনন্দে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন সুনীল স্বয়ং। রহস্য ভাঙলেন সোনম, 'সুনীল বলেছে, এ বারের পুজোয় এই বেঙ্গালুরুতেই তোমাকে খুশি রাখার দায়িত্ব আমার।' এর মধ্যে একদিন সুনীলের বাঙালি স্ত্রী-র বাড়িতে ভুরিভোজের নিমন্ত্রণ রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি ফুটবলার ও তাঁদের পরিবারদের। সোনম বলছিলেন, 'সুনীল সব ধরনের বাঙালি খাবার খুব ভালোবাসে। তা ছাড়া গুরপ্রীত, উদান্তা, সন্দেশদেরও আগে বাঙালি খাবার খাইয়েছি। ওরা আলু-পোস্ত খুব ভালোবাসে।'
এখানেই শেষ নয়। সোনমের কয়েকজন তুতো ভাই-বোন থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁদের সঙ্গে অষ্টমীর দিন মধ্যাহ্নভোজের পরিকল্পনাও করা আছে ছেত্রী-দম্পতির। কোনও মণ্ডপ দেখলে অবশ্য অঞ্জলি দিতেও দাঁড়িয়ে পড়বেন ভারতীয় ফুটবলের ফার্স্ট লেডি। আরও হয়তো কোনও পরিকল্পনা রয়েছে। তা অবশ্য সোনম নিজেও জানেন না। কে বলতে পারে, স্ট্রাইকারের চকিতে গোলের মতো সোনমের জন্য সুনীল হয়তো ভেবে রেখেছেন 'সারপ্রাইজ প্ল্যান।'