অ্যাপশহর

মা'কে হারানোর শোক কীভাবে ব্যক্ত করব জানি না, জানালেন অরিন্দম

গোটা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন অরিন্দম ভট্টাচার্যের (Arindam Bhattacharya) মা। কিন্তু, মায়ের প্রয়ান দমিয়ে রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন গোলরক্ষককে। তিনি করোনা আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম খুলেছেন। তবে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন।

EiSamay.Com 25 May 2021, 12:05 am
এইসময় ডিজিটাল ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই করোনা ভাইরাস বদলে দিয়েছে তাঁর গোটা পৃথিবী। গতবছরই হারিয়েছিলেন বাবাকে। আর এবার করোনা ভাইরাস কেড়ে এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের মা'কে। তারপর থেকে তিনি নিজেকে কার্যত গৃহবন্দী করেই রেখেছিলেন। কিন্তু, কোভিডের অতিমারিতে তিনি খুব বেশিদিন নিজেকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখতে পারেননি। টালিগঞ্জের গলফ ক্লাব সংলগ্ন আটলান্টা ক্লাবের দূর্গা মন্ডপে অরিন্দম এবং তাঁর বন্ধুরা গড়ে তুললেন কোভিড সেফ হোম।
EiSamay.Com Arindam Bhattacharya
অরিন্দম ভট্টাচার্য, ছবি সৌজন্য - ফেসবুক


আজ ফেসবুকে একটা দীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন অরিন্দম। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, "কোভিডের অতিমারিতে নিজের মাকে হারানোর শোক কিভাবে ব্যাক্ত করব জানি না । শেষ পনেরোটা দিন আমার কাছে পনেরো বছরের সমান । কতগুলো নিদ্রাহীন রাত , সেই হাসপাতালের ভয়ঙ্কর পরিবেশ , শ্মশানের স্তব্ধতা আমার জীবনের গতি প্রতি মুহূর্তে থমকে দিয়েছে । হয়ত, পারতাম ঘরবন্দী হয়ে নিরাপদে এই কঠিন সময়টা কাটিয়ে ফেলতে। তবে , চোখের সামনে এই মৃত্যুমিছিল আমাকে প্রতিদিন যন্ত্রণা দেয় ।"

সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, টালিগঞ্জের আটলান্টা ক্লাবের দুর্গামণ্ডপে খোলা হয়েছে আমাদের কোভিড আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম। প্রাথমিকভাবে ৯টি আসন সংখ্যা নিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী কালে সেটা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। রয়েছে ২৬টা অক্সিজেন সিলিন্ডারও। বহু চিকিৎসকও এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি নিয়মিত প্রায় ২০০ জন মানুষকে খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে।


এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত ১০ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্যের মা। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর মা অসুস্থ ছিলেন। সেকারণে তিনি আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অরিন্দম যে এএফসি কাপ খেলতে যেতে পারবেন না। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না।

মা'কে হারানোর পর কোভিড আক্রান্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন অরিন্দম। ইতিমধ্যেই তাঁরা ১৪জন করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন লড়াই আরও বৃহত্তর হয়ে গেছে। সেকারণেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আশা, আগামীদিনে প্রত্যেকের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী অপেক্ষা করছে।

পরের খবর