অ্যাপশহর

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর ব্যালন ডি’ওর জয়ই পাখির চোখ আগুয়েরোর

সাদা-আকাশি ডোরা কাটা জার্সি এক টিমে। আর এক টিমে আকাশি শার্ট-সাদা প্যান্ট। রঙের এত মিল। অথচ সের্খিও আগুয়েরো অনেক বেশি রঙিন তাঁর ক্লাবের আকাশি জার্সিতেই। এ নিয়ে বির্তকের অবকাশই নেই। লালমোহনবাবুর কায়দায় বলে দেওয়া যায়, ‘কোনও প্রশ্ন নয়! নো কোয়েশ্চেন।’

EiSamay.Com 14 May 2019, 1:16 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি আঁকড়ে নাচতে দেখলে বোঝা যায়, কত আপন করে ফেলেছেন ট্রফিটাকে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সমর্থকরাও খুশি এ রকম একজন স্কোরারকে পেয়ে। মানুয়েল পেয়েগ্রিনি, রবের্তো মানচিনি, পেপ গুয়ার্দিওলা-- কোচ এসেছেন, গিয়েছেন। আগুয়েরোর স্কোরিং দক্ষতায় কোনও বদল নেই। এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গুয়ার্দিওলার আমলে প্রতি ৯৯.৮ মিনিটে একটা করে গোল করেছেন আর্জেন্তিনীয় ফরোয়ার্ড। যে রেট আগের দুই কোচের সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।
EiSamay.Com aguero’s aim is to win champion’s league and ballon dor
পাখির চোখ আগুয়েরোর


এখনই থেমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। রবিবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কিছু পর ব্রাইটনের মাঠে দাঁড়িয়ে আগুয়েরো জানিয়ে দিলেন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্যের কথা। বলেছেন, ‘এ বারের মতো পরের মরসুমেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এ বার একটা অফসাইডের জন্য আমাদের ছিটকে যেতে হয়েছিল। পরেরবার আমরা শেষ পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করব।’ ব্যক্তিগত লক্ষ্যও সাফ জানিয়েছেন। আগুয়েরোর কথায়, ‘দিনের শেষে একটা ব্যালন ডি’ওর জেতার জন্য আর যা-ই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা দরকার।’

সাত বছরে চারটে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি, চারটে লিগ কাপ। এ বছর একটা এফএ কাপ ট্রফি অপেক্ষায়। স্কোরিং রেট থিয়েরি অঁরির থেকেও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগে সর্বকালের টপ স্কোরারদের তালিকায় চলে এসেছেন ছ’নম্বরে। নামের পাশে ১৬৪ গোল। আর ১২ গোল করলে টপকে যাবেন পাঁচে থাকা অঁরিকে (১৭৫)। এই লিগের ইতিহাসে যত বিদেশি খেলেছেন, গোলের সংখ্যায় সবাইকে টপকে যাবেন আগুয়েরো।

এত পরিসংখ্যান দেখে যদি মনে হয়, শুধু ছোট টিমগুলোর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি গোল করেছেন আগুয়েরো, তা হলে ভুল হবে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ৪৩টি গোল করেছেন আগুয়েরো।

ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে থেকে যাবেন লিও মেসির বন্ধু ‘কুন’। আর্জেন্তিনার হয়ে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ জেতার সময় থেকেই মেসির সতীর্থ। আট বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন মেসির আর্জেন্তিনা টিমের সঙ্গে। বদলি হিসেবে নেমেও ছিলেন যুবভারতীতে। তখন দিয়েগো মারাদোনার জামাই। পরে বিচ্ছেদ। নাম জড়িয়েছে অনেকের সঙ্গে। এই যেমন সদ্য আর্জেন্তিনার গায়িকা টিনি স্তোয়েসেলের এক ভিডিয়োয় নাচতে দেখা গিয়েছে আগুয়েরোকে। যা নিয়ে দেশের রেডিয়ো চ্যানেলে প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিল ওই গায়িকা ও আগুয়েরো দু’জনকেই। দু’জনেই একবাক্যে বলেছেন, ‘আমরা ভালো বন্ধু। আর কিছু নয়।’

আবার যখন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন, কুন ভুলে গিয়েছেন মাঠের বাইরে তাঁর সম্পর্ক, এই সব নাচ-গানের ভিডিয়ো। তখন নাচিয়ে ছেড়েছেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছেন সিটির সমর্থকদের মনে। ভরসা জুগিয়েছেন কোচেদের। এমনকী প্রভাবিত করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও। ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার এ বার পেয়েছেন ভার্জিল ফান ডাইক।

এই নির্বাচন হয় অন্য পেশাদার ফুটবলারদের ভোটে। চেলসির ইডেন হ্যাজার্ড এ বছর তাঁর ভোটটি দিয়েছিলেন আগুয়েরোকে। হ্যাজার্ড বলেছিলেন, ‘কখনও কোনও প্লেয়ার দু’মাসের জন্য দারুণ খেলে। তারপর ১১ মাস পারে না। আগুয়েরো গত আট বছর ধরে এক ভাবে পারফর্ম করে চলেছে। হয়তো কখনও চোট পেয়েছে, কিন্তু ধারাবাহিক গোল করে গিয়েছে। এ বারও আমার কাছে ওই সেরা।’

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল