অ্যাপশহর

দেঁশর প্রেসমিট থামিয়ে নাচ পোগবাদের

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৃষ্টির জন্য হয়তো ভালো করে আনন্দ করা যায়নি। ফরাসি ফুটবলাররা অভূতপূর্ব উৎসব করলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁর প্রেস মিটে ঢুকে পড়ে। অভিনব শ্যাম্পেন নৃত্য দেখা গেল সাংবাদিকদের সামনে।

EiSamay 16 Jul 2018, 11:39 am

হাইলাইটস

  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৃষ্টির জন্য হয়তো ভালো করে আনন্দ করা যায়নি।
  • ফরাসি ফুটবলাররা অভূতপূর্ব উৎসব করলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁর প্রেস মিটে ঢুকে পড়ে।
  • মারিও জাগালো এবং ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের নজির ছুঁয়ে তৃপ্ত দেশঁ ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় ঢুকেছিলেন প্রেস মিটে।
EiSamay.Com France_1a
রূপায়ণ ভট্টাচার্য, মস্কো
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৃষ্টির জন্য হয়তো ভালো করে আনন্দ করা যায়নি। ফরাসি ফুটবলাররা অভূতপূর্ব উৎসব করলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁর প্রেস মিটে ঢুকে পড়ে। অভিনব শ্যাম্পেন নৃত্য দেখা গেল সাংবাদিকদের সামনে।

মারিও জাগালো এবং ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারের নজির ছুঁয়ে তৃপ্ত দেশঁ ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় ঢুকেছিলেন প্রেস মিটে। মাথার জল মুছে তিনি প্রেস মিটে ঢুকেছেন। ফিফা কর্তা এখন ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি বোবান তাঁকে এসে বিশ্বজয়ীর স্মারক দিয়ে গেলেন। ফিফা মিডিয়া অফিসার প্রথামতো ঘোষণা করছেন, সাংবাদিকরা প্রশ্ন শুরু করুন।

হঠাৎ হা রে রে রে করে সেখানে ঢুকে পড়লেন দেশঁর বিশ্বজয়ী ছাত্ররা। অধিকাংশই খালি গায়ে। হাতে শ্যাম্পেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোর সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে ড্রেসিংরুমে নাচানাচি করেছেন। (মাক্রো এ দিন বিরল সৌজন্য দেখালেন ক্রোয়েশিয়া ড্রেসিরুমে সোনার বলের মালিক মদ্রিচদের সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে) ।


তাঁরা একেবারে বাচ্চাদের মতো হাত পা ছুড়ে নাচানাচি শুরু করে দিলেন। মঞ্চের উপর উঠলেন কেউ। বাকিরা নীচে। দ্রোগবা ও অন্যরা দেশঁকে কোলে তুলে নাচ শুরু করে দিলেন মঞ্চে। চেয়ার থেকে কার্যত তুলে নিয়ে এনে। সাংবাদিকদের দিকে ছিটিয়ে দিলেন শ্যাম্পেন।

পোগবা একই কাজ করলেন ফাইনালের সেরা ফুটবলার গ্রিয়াজমান ফিফা টিভিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময়। গ্রিয়াজমানকে থামিয়ে মাইক ধরে নাচানাচি করে চলে গেলেন। গ্রিয়াজমান হেসে খুন।

তার আগে সরকারি প্রেস মিটে এসে গ্রিয়াজমান সাংবাদিকদের বলছিলেন, 'আমরা এখন পরিবারের সবার সঙ্গে পার্টি করতে যাচ্ছি। কাল ফ্রান্সে গিয়ে ফরাসিদের সবার সঙ্গে পার্টি করব।' তাঁকে বারবার বলতে শোনা গেল, 'এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছি। বুঝতে পারছি না, কী হয়েছে। এটা বুঝতে পারছি, আমরা অবিশ্বাস্য কিছু করেছি। ইতিহাস গড়েছি।' তাঁকে হঠাৎ উরুগুয়ের এক সাংবাদিক নিজেদের জাতীয় পতাকা দিলেন। গ্রিয়াজমান কিন্তু দিব্যি সেটা গায়ে লাগিয়ে বসে থাকলেন। কোনও বাড়তি ইগো নেই। আপনার কি সোনার বল না পাওয়ায় আক্ষেপ আছে? গ্রিয়াজমান বললেন, 'না, নেই।'


গ্রিয়াজমান যাওয়ার সময় যেমন হলঘরে হাততালি পড়ল, তেমনই পড়ল দেশঁ চলে যাওয়ার সময়। দেশঁ প্রথমে ঢুকে প্রথমে বললেন, 'সবাই এত চুপচাপ কেন?' তারপর অকপট, 'আমার সবচেয়ে বড় গর্ব হল, ১৪ জন একেবারে নতুন ছেলেকে নিয়ে এসেছিলাম। অথচ তারা সবাই এই বিশ্বকাপে খেলার পক্ষে মানসিক ভাবে তৈরি। আমি ওদের বারবার বলেছি, কখনও হাল ছেড়ো না। কখনও হাল ছেড়ো না।' ফরাসি কোচ মনে করেন, আর্জেন্তিনা ম্যাচ জেতাই হচ্ছে বিশ্বকাপ জয়ের টার্নিং পয়েন্ট। 'তারপরই ছেলেদের বিশ্বাস হয়েছে, ওরা পারে।'

ফ্রান্স ফাইনালে ভালো খেলতে পারল না কেন? দেশঁর জবাব তৈরি। 'সব সময় প্রশ্ন করা হবে, ফ্রান্স কি সুন্দর ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়ন হল? আমি একটা কথা বলব। আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আরও চার বছর আমরা বিশ্বসেরা থাকব। এটাই সবার মনে রেখে দেওয়া উচিত। রেখে দেবেও।' হাসিখুশি দেশঁকেও পোগবাদের মতো বালক লাগছিল। তিনি জানেন, ইতিহাসে থেকে গেলেন।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল