ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে শোয়েব আখতার ও হরভজন সিং তর্কে জড়ায়। সাধারণত দুই দেশের সমর্থকরা যেভাবে জড়িয়ে থাকে। ম্যাচ শেষে তা মিটেও যায়। হরভজন পাকিস্তান দলকে ভালো খেলার জন্য শুভেচ্ছা জানান।
কিন্তু এখানেই সব শেষ হয়ে যায়নি। টুইটারে বাকযুদ্ধ শুরু করেন মহম্মদ আমের। তিনি হরভজন সিংকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেন। যেখানে লেখেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করছিলাম যে হরভজন পাজি নিজের টিভিটা ভাঙেননি তো? কিছু না, এটা তো হয় কারণ এটা ক্রিকেট।’ এরপর চুপ থাকেননি হরভজন। তিন পুরনো একটি ম্যাচের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেন। যেই ভিডিওতে দেখা যায় মহম্মদ আমেরকে শেষ বলে ছয় মেরে দলকে জেতাচ্ছেন হরভজন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এখন তুমিও বলছ আমের! এই ছয়টা কি তোমার ঘরে গিয়ে পড়েছিল? কিছু না, এটা হয়, দিনের শেষে তো এটা ক্রিকেট।’
পাল্টা দেন আমের। তিনি ভারত পাকিস্তানের পুরনো একটি টেস্টের ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে হরভজন সিংকে শাহিদ আফ্রিদি ৪ বলে ৪টে ছয় মারেন। আমের লেখেন, ‘আপনার একটা পুরনো বোলিংয়ের ভিডিও দেখছিলাম। টেস্টে যখন লালা আপনাকে ৪ বলে ৪টে ছয় মেরেছিল। এটা ক্রিকেট এখানে হতেই পারে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে কিছুটা বেশি হয়ে গেছিল।’ তাঁর টুইট থেকে পরিষ্কার তিনি কিছুটা কটাক্ষ করে কথাটা বলেছিলেন হরভজনকে।
Ab Tum bi bologe @iamamirofficial yeh 6 ki landing tumhare ghar k tv par to nahi hui thi ?? Koi nahi hota hai end of the day it’s a game of cricket as u rightly said 🤣 https://t.co/XqSnWhg9t3 pic.twitter.com/4IuWpPOpF1
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) October 26, 2021
ক্রিকেটে ছয় চার মারাটা স্বাভাবিক। ঠিক যেমন হার জিত। ফলে হরভজন সিংয়ের ছয় মারা বা শাহিদ আফ্রিদির ছয় মারা দুটোই ক্রিকেটে স্বাভাবিক। তবে আমেরকে হরভজন তারপর যেই উত্তরটা দেন সেই ঘটনাটা স্বাভাবিক নয়। তিনি টেনে আনেন ২০১০ সালের আমেরের স্পট ফিক্সিং প্রসঙ্গ। হরভজন লেখেন, ‘লর্ডসে নো বল কী করে হয়ে গেছিল? কত নিয়েছ কে দিয়েছে? টেস্ট ক্রিকেটে নো বল কী করে হয়? এই সুন্দর খেলাকে নোংরা করার জন্য লজ্জা লাগা দরকার তোমার ও তোমার সমর্থকদের।’ শেষে অপর একটি টুইটে হরভজন লেখেন, ‘সবসময় পয়সা পয়সা করো, কোনও সম্মান নেই, শুধু পয়সা। নিজের দেশের সমর্থকদের জানাও কত টাকা নিয়েছিলে। বেরিয়ে যাও তোমার মত লোক যারা ক্রিকেটকে নোংরা করে তাদ সঙ্গে কথা বলতে আমার ঘেন্না করে।’
Lords mai no ball kaise ho gya tha ?? Kitna liya kisne diya ? Test cricket hai no ball kaise ho sakta hai ? Shame on u and ur other supporters for disgracing this beautiful game https://t.co/nbv6SWMvQl
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) October 26, 2021
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে নো বল করেছিলেন মহম্মদ আমের। এই স্পট ফিক্সিংয়ে তার সঙ্গী ছিলেন মহম্মদ আসিফ। ঘটনা জানাজানি হতে লন্ডন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জানা যায় তৎকালীন পাক অধিনায়ক সালমন বাটের হয়ে এই কাজ করেছিলেন আমের ও আসিফ। আমেরকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ও জেল হয়। ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফেরে।
বিশ্বকাপ এবার প্রথমবার ভারতকে হারায় পাকিস্তান। ১০ উইকেটে জেতে বাবর আজমরা। ২৯ বছরে ভারতের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙল।