এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁটাতার দিয়ে দু'দেশ আলাদা হলেও ক্রিকেট কোথাও গিয়ে মিলিয়ে দেয় ভারত পাকিস্তানকে। ৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০২১ মাঠের শক্রতার পাশাপাশি দুই দলের সমর্থকরদের মধ্যে বিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা একই রয়ে গেছে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ চাচা শিকাগো ওরফে মহম্মদ বশির বোজাই। পাকিস্তানি নাগরিক মহম্মদ বশির মহেন্দ্র সিং ধোনির অন্ধভক্ত। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তাঁর জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এরপর ২০১৪ সালেও টি-২০ বিশ্বকাপে তাঁকে মাঠে আসার টিকিট দেন ধোনি। এবারও বশির আশায় আছেন ধোনির তাঁকে ভারত পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট দেবেন।
পাকিস্তানি নাগরিক বশির আদতে করাচির বাসিন্দা। ধোনির সব ম্যাচ তিনি দেখেন। যখনই ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হয় তিনি সেখানে হাজির হয়ে যান। এবারের বিশ্বকাপ দলের মেন্টর হিসেবে ধোনি থাকবেন এখবর শোনার পর আর অপেক্ষা করেননি ব্যাগ গুছিয়ে রওয়া দিয়েছেন দুবাইতে। লক্ষ্য একটাই মাঠে বসে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ দেখা। সে হোক না ধোনি ডাগআউটে। ধোনি মাঠে থাকলে বশির থাকবেনই।
পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের ভক্ত মহম্মদ বশির করাচি থেকে শিকাগো উড়ে গেছেন প্রথমে। সেখানে তিনি কিছু মাস্ক ও টিশার্ট ডিজাইন করেন। যার একপাশে পাকিস্তানের জার্সি ও অপরপাশে ভারতের। মাঝে ধোনির ছবি। যাতে লেখা, ‘ওয়েলকাম ব্যাক ধোনি।’ তিনি সেই বিশেষ মাস্ক ও জার্সি পরে মাঠে প্রবেশের কথা জানান।
তবে তিনি দুবাই পৌঁছলেও তাঁর কাছে নেই ম্যাচের টিকিট। যা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি। তাঁর আশা ধোনি শেষমুহূর্তে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেবেন টিকিট আর তিনি সুযোগ পাবেন স্ট্যান্ডে বসে ধোনির হয়ে গলা ফাটানোর।
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে টিকিট পাব। আমি ধোনিকে বার্তা পাঠাব। কিন্তু করোনার জন্য ওর সঙ্গে দেখা করতে পারব না। কিন্তু আমি মাঠে থাকবই।’
৬৪ বছরের বশিরের শরীরের একাধিক সমস্যা। ইতিমধ্যে হার্টে অপারেশন হয়েছে তাঁর। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত একাধিক সমস্যায় জর্জরিত তিনি। কিন্তু ধোনি মাঠে থাকলে তা দেখতে মিস করেন না তিনি। তখন ক্ষণিকের জন্য শারীরিক সমস্যা দূরে চলে যায় তাঁর। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটাই আমার শেষবার কোনও টুর্নামেন্ট মাঠে বসে দেখার সুযোগ। তাই আমি এই সুযোগ ছাড়তে পারিনি।’
এটাই হয়ত খেলার মহিমা, যেখানে কাঁটাতারের বেড়া দুই দেশ তৈরি করলেও ক্রিকেট একসূত্রে গেঁথেছে মানুষকে। যেখানে পাকিস্তানের সমর্থক শুধু ধোনিকে দেখতে করাচি থেকে দুবাই উড়ে যান। যেখানে পাকিস্তানের পেস বোলিং দেখে ভারতীয় সমর্থকদের ভ্রু কপালে ওঠে। যেখানে এখনও শোয়েব আখতারের বোলিং স্টাইল নকল করে ভারতের কোনও উঠতি বালক। সবকিছুর মূলে এই ক্রিকেট। বেঁচে থাক মহম্মদ বশিরের মত সমর্থকরা। এগিয়ে চলুক ভারত পাকিস্তান দ্বৈরথ।
পাকিস্তানি নাগরিক বশির আদতে করাচির বাসিন্দা। ধোনির সব ম্যাচ তিনি দেখেন। যখনই ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হয় তিনি সেখানে হাজির হয়ে যান। এবারের বিশ্বকাপ দলের মেন্টর হিসেবে ধোনি থাকবেন এখবর শোনার পর আর অপেক্ষা করেননি ব্যাগ গুছিয়ে রওয়া দিয়েছেন দুবাইতে। লক্ষ্য একটাই মাঠে বসে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ দেখা। সে হোক না ধোনি ডাগআউটে। ধোনি মাঠে থাকলে বশির থাকবেনই।
পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের ভক্ত মহম্মদ বশির করাচি থেকে শিকাগো উড়ে গেছেন প্রথমে। সেখানে তিনি কিছু মাস্ক ও টিশার্ট ডিজাইন করেন। যার একপাশে পাকিস্তানের জার্সি ও অপরপাশে ভারতের। মাঝে ধোনির ছবি। যাতে লেখা, ‘ওয়েলকাম ব্যাক ধোনি।’ তিনি সেই বিশেষ মাস্ক ও জার্সি পরে মাঠে প্রবেশের কথা জানান।
তবে তিনি দুবাই পৌঁছলেও তাঁর কাছে নেই ম্যাচের টিকিট। যা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি। তাঁর আশা ধোনি শেষমুহূর্তে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেবেন টিকিট আর তিনি সুযোগ পাবেন স্ট্যান্ডে বসে ধোনির হয়ে গলা ফাটানোর।
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে টিকিট পাব। আমি ধোনিকে বার্তা পাঠাব। কিন্তু করোনার জন্য ওর সঙ্গে দেখা করতে পারব না। কিন্তু আমি মাঠে থাকবই।’
৬৪ বছরের বশিরের শরীরের একাধিক সমস্যা। ইতিমধ্যে হার্টে অপারেশন হয়েছে তাঁর। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত একাধিক সমস্যায় জর্জরিত তিনি। কিন্তু ধোনি মাঠে থাকলে তা দেখতে মিস করেন না তিনি। তখন ক্ষণিকের জন্য শারীরিক সমস্যা দূরে চলে যায় তাঁর। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটাই আমার শেষবার কোনও টুর্নামেন্ট মাঠে বসে দেখার সুযোগ। তাই আমি এই সুযোগ ছাড়তে পারিনি।’
এটাই হয়ত খেলার মহিমা, যেখানে কাঁটাতারের বেড়া দুই দেশ তৈরি করলেও ক্রিকেট একসূত্রে গেঁথেছে মানুষকে। যেখানে পাকিস্তানের সমর্থক শুধু ধোনিকে দেখতে করাচি থেকে দুবাই উড়ে যান। যেখানে পাকিস্তানের পেস বোলিং দেখে ভারতীয় সমর্থকদের ভ্রু কপালে ওঠে। যেখানে এখনও শোয়েব আখতারের বোলিং স্টাইল নকল করে ভারতের কোনও উঠতি বালক। সবকিছুর মূলে এই ক্রিকেট। বেঁচে থাক মহম্মদ বশিরের মত সমর্থকরা। এগিয়ে চলুক ভারত পাকিস্তান দ্বৈরথ।