এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিই কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন যুবরাজ সিংয়ের। কেউ বলতে, যুবরাজের বাবা যোগরাজ সিংই একবার এমনতর মন্তব্য করে বসেছিলেন। কিন্তু ২২ গজে ভারতের জার্সি গায়ে যুবি এবং মাহির বন্ধুত্বের কাহিনি দেশবাসীর জানা। আর তারপর সেই ঐতিহাসিক ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের কথা তো আখ্যা ক্রিকেটপ্রেমীর মনে গাঁথা। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময়ে যুবরাজ সিং এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। 'এমএস ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি' ছবিতে সেই ঝলক আমরা দেখেছি। ১৯৯৯ সালে অনূর্ধ্ব উনিশ শিবিরে কোচবিহার ট্রফি খেলতে গিয়ে প্রথম বার মুখোমুখি হন মাহি এবং যুবি। সেই যুবরাজ ভারতীয় দলে ২০০০ সালেই চান্স পেয়ে গিয়েছিলেন। আর মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও চার-চারটে বছর। তত দিনে জল অনেকটাই গড়িয়েছিল। ২০১৩ সালে নিজের বই 'দ্য টেস্ট অফ মাই লাইফ' লিখেছিলেন যুবরাজ। আর সেই বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যুবরাজকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ধোনি প্রথমবার ভারতীয় দলে খেলতে আসতেই পিছনে লেগেছিলেন যুবি। এমনকী মাঝেমধ্যেই তাঁকে 'বিহারী' বলেও ডাকতেন যুবি, সে কথাও তিনি জানিয়েছিলেন সে দিন।
এহেন ধোনি আবার একবার বলেছিলেন যে, তিনি যতই রান করুন, যতই ছক্কা হাঁকান আর যতই ভালো খেলুন না কেন, কোনও না কোনও একটা ভুল ধরিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করতেন যুবি। এমনকী সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনির লড়াকু ইনিংসের কথা আজও সকলের মনে আছে। কিন্তু ধোনির সেই রণংদেহি মেজাজের খেলাও পছন্দ হয়নি যুবরাজের। ধোনির কথায়, "যুবরাজ সেদিন আমাকে বলেছিলেন, থোড়া টাইম হোনে দে তব পাতা চলেগা কি ছক্কে-ওয়াক্কে সে নেহি, ম্যাচ জিতনে সে জাদা অ্যাপ্রাইজাল মিলতে হ্যায়!"
অর্থাৎ ছক্কা মেরে কোনও লাভ নেই, দেশের হয়ে ম্যাচ জিততে পারলেই তবে দলে উন্নতি সম্ভব। পাকিস্তান ম্যাচের পর ধোনিকে ঠিক এই কথাই বলেছিলেন যুবরাজ। এরপরই ধীরে ধীরে ভারতীয় দলের মধ্যমণি হয়ে উঠছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু বিষয়টা খুব ভালো চোখে দেখছিলেন না যুবি। একের পর এক ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছিলেন ধোনি। ভারতীয় দলের তো বটেই এমনকী পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা ফিনিশারের তালিকায় উঠে আসছিল ধোনির নাম। আর সেই সময়েই ধোনির উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে যুবরাজ বলেছিলেন, "কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান সেই যে, টেস্ট ক্রিকেটে দুর্ধর্ষ খেলে প্রতিভার প্রমাণ দিতে পারে।"
আরও পড়ুন: বাতিল হলে ৪ হাজার কোটি টাকার লোকসান, IPL আসলে BCCI-এর সোনার ডিম পাড়া হাঁস!
ঠান্ডা মেজাজের ধোনি এইসব বিষয়ে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। কিন্তু একদিন ধোনিও বেজায় চটেছিলেন। যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলেন যুবরাজকে। ক্যাপ্টেন কুল এবং যুবরাজ দুজনেই ক্রিজে লড়ে যাচ্ছিলেন। যুবরাজের ব্যাট থেকে ভালো শট আসছিল না। অন্যদিকে ধোনি নিজের ফর্মেই লড়াকু মেজাজে খেলে যাচ্ছিলেন। চার-ছয়ও মেরে চলেছিলেন একের পর এক। কিন্তু ধোনির খেলায় ভুল ধরাচ্ছিলেন যুবি। ধোনি গিয়ে যুবরাজকে বলে আসেন, "ওসব ঠিকাছে। কিন্তু আমাকে একটা বিষয় বল, সবসময়ে তোর এত রাগ কেন?"
ব্যস! সেই শেষ! বাকিটা ইতিহাস। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ধোনির ছয় মারার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরে যুবরাজের কান্নার ছবিটা এখনও ভারতবাসীর স্মৃতিতে টাটকা।
এহেন ধোনি আবার একবার বলেছিলেন যে, তিনি যতই রান করুন, যতই ছক্কা হাঁকান আর যতই ভালো খেলুন না কেন, কোনও না কোনও একটা ভুল ধরিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করতেন যুবি। এমনকী সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনির লড়াকু ইনিংসের কথা আজও সকলের মনে আছে। কিন্তু ধোনির সেই রণংদেহি মেজাজের খেলাও পছন্দ হয়নি যুবরাজের। ধোনির কথায়, "যুবরাজ সেদিন আমাকে বলেছিলেন, থোড়া টাইম হোনে দে তব পাতা চলেগা কি ছক্কে-ওয়াক্কে সে নেহি, ম্যাচ জিতনে সে জাদা অ্যাপ্রাইজাল মিলতে হ্যায়!"
অর্থাৎ ছক্কা মেরে কোনও লাভ নেই, দেশের হয়ে ম্যাচ জিততে পারলেই তবে দলে উন্নতি সম্ভব। পাকিস্তান ম্যাচের পর ধোনিকে ঠিক এই কথাই বলেছিলেন যুবরাজ। এরপরই ধীরে ধীরে ভারতীয় দলের মধ্যমণি হয়ে উঠছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু বিষয়টা খুব ভালো চোখে দেখছিলেন না যুবি। একের পর এক ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছিলেন ধোনি। ভারতীয় দলের তো বটেই এমনকী পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা ফিনিশারের তালিকায় উঠে আসছিল ধোনির নাম। আর সেই সময়েই ধোনির উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে যুবরাজ বলেছিলেন, "কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান সেই যে, টেস্ট ক্রিকেটে দুর্ধর্ষ খেলে প্রতিভার প্রমাণ দিতে পারে।"
আরও পড়ুন: বাতিল হলে ৪ হাজার কোটি টাকার লোকসান, IPL আসলে BCCI-এর সোনার ডিম পাড়া হাঁস!
ঠান্ডা মেজাজের ধোনি এইসব বিষয়ে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। কিন্তু একদিন ধোনিও বেজায় চটেছিলেন। যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলেন যুবরাজকে। ক্যাপ্টেন কুল এবং যুবরাজ দুজনেই ক্রিজে লড়ে যাচ্ছিলেন। যুবরাজের ব্যাট থেকে ভালো শট আসছিল না। অন্যদিকে ধোনি নিজের ফর্মেই লড়াকু মেজাজে খেলে যাচ্ছিলেন। চার-ছয়ও মেরে চলেছিলেন একের পর এক। কিন্তু ধোনির খেলায় ভুল ধরাচ্ছিলেন যুবি। ধোনি গিয়ে যুবরাজকে বলে আসেন, "ওসব ঠিকাছে। কিন্তু আমাকে একটা বিষয় বল, সবসময়ে তোর এত রাগ কেন?"
ব্যস! সেই শেষ! বাকিটা ইতিহাস। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ধোনির ছয় মারার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরে যুবরাজের কান্নার ছবিটা এখনও ভারতবাসীর স্মৃতিতে টাটকা।