এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে ছিল মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময়। আর তার পরের ঘণ্টায় একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিরাট কোহলিকে। হয়ত এভাবে অধিনায়কত্বের শেষ আশা করেননি তিনি। গতকাল বিরাটের চাকরি যাওয়ার প্রকাশ্যে এসেছে ওই খবর। ভারতের তিন ফর্ম্যাটের অধিনায়ক দু' মাসের মধ্যে শুধু টেস্ট অধিনায়ক হয়ে গেলেন। সূত্রের খবর, বোর্ড দীর্ঘদিন ধরেই চাইছিল বিরাট নিজের থেকেই একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান। কিন্তু, বিরাট তা চাননি। তিনি বরাবরই একদিনের ক্রিকেট ও টেস্টের অধিনায়কত্ব করতে চেয়েছেন। শেষে বোর্ড ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় বিরাটকে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর। কিন্তু, তিনি তা করেননি। ৪৯তম ঘণ্টায় বোর্ডের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয় একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক থাকবেন না বিরাট কোহলি। দায়িত্ব পেলেন রোহিত শর্মা। চমক লাগানো বিষয় হল বিরাটকে সরিয়ে দেওয়ার পর কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি বোর্ড। সাংবাদিক বৈঠকও করেননি নির্বাচকরা। শুধুমাত্র বলা হল, ‘রোহিত শর্মাকে একদিনের এবং T-20 ক্রিকেটের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে নির্বাচকমণ্ডলী।’ সূত্রের খবর, বোর্ড চেয়েছিল বিরাটকে সম্মান জানিয়ে বিদায় দেওয়ার। কিন্তু, বিরাট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মানতে চাননি । যা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দু' পক্ষের মধ্যে।
২০২৩ সালের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চেয়েছিলেন বিরাট। আসলে তাঁর বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ ছিল শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই। কিন্তু, ২০২১ -এর T-20 বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরমেন্সের জন্য সেই সময়টাও বিরাটকে দিল না বোর্ড। সূত্রের খবর, T-20 বিশ্বকাপ চলাকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল বিরাটের অধিনায়কত্ব যাচ্ছে। বিরাটের ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল বোর্ড। অবশেষে তা যখন হল না, হাতুড়িটা বোর্ডই মারল।
বিরাট অধিনায়কত্ব শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির সময়ে। ধোনিকেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, 'সময় ফুরিয়েছে'। ধোনি সে সময় ধীরে ধীরে বিরাটকে তৈরি করেছিলেন। সেই সূত্রেই ২০১৯ সালে বিরাটের বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব। তারপর থেকেই কোহলি সবথেকে শক্তিশালী অধিনায়ক হয়ে যান। যিনি নিজের মত করে দল তৈরি করতেন। খেলাতেন। যা নিয়ে একাধিকবার বিরাটের সঙ্গে নির্বাচকদের গন্ডগোলও হয়েছিল। কিন্তু, অবশেষে 'বিরাট যুগ'-এরও সমাপ্তি ঘটাল বোর্ড। বিরাট এখন শুধু লাল বলের নেতা।
জানা গিয়েছে, শেষের দিকে ড্রেসিংরুমে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্ব পছন্দ করছিলেন না সতীর্থদের অনেকেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরে অনেকে বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বোর্ডের কাছে। অবশেষে সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে বিরাটের হাত থেকে ব্যাটনটা কেড়ে নিল বোর্ড। সাদা বলের দায়িত্ব পেলেন রোহিত। আর বিরাট রইলেন লাল বলের দায়িত্বে।
২০২৩ সালের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চেয়েছিলেন বিরাট। আসলে তাঁর বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ ছিল শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই। কিন্তু, ২০২১ -এর T-20 বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরমেন্সের জন্য সেই সময়টাও বিরাটকে দিল না বোর্ড। সূত্রের খবর, T-20 বিশ্বকাপ চলাকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল বিরাটের অধিনায়কত্ব যাচ্ছে। বিরাটের ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল বোর্ড। অবশেষে তা যখন হল না, হাতুড়িটা বোর্ডই মারল।
বিরাট অধিনায়কত্ব শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির সময়ে। ধোনিকেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, 'সময় ফুরিয়েছে'। ধোনি সে সময় ধীরে ধীরে বিরাটকে তৈরি করেছিলেন। সেই সূত্রেই ২০১৯ সালে বিরাটের বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব। তারপর থেকেই কোহলি সবথেকে শক্তিশালী অধিনায়ক হয়ে যান। যিনি নিজের মত করে দল তৈরি করতেন। খেলাতেন। যা নিয়ে একাধিকবার বিরাটের সঙ্গে নির্বাচকদের গন্ডগোলও হয়েছিল। কিন্তু, অবশেষে 'বিরাট যুগ'-এরও সমাপ্তি ঘটাল বোর্ড। বিরাট এখন শুধু লাল বলের নেতা।
জানা গিয়েছে, শেষের দিকে ড্রেসিংরুমে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্ব পছন্দ করছিলেন না সতীর্থদের অনেকেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরে অনেকে বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বোর্ডের কাছে। অবশেষে সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে বিরাটের হাত থেকে ব্যাটনটা কেড়ে নিল বোর্ড। সাদা বলের দায়িত্ব পেলেন রোহিত। আর বিরাট রইলেন লাল বলের দায়িত্বে।