অ্যাপশহর

এ যেন পোড়ো জমি! Brian Lara-র ইতিহাস লেখা স্টেডিয়াম আজ মৃতপ্রায়

West Indies-এ ক্রিকেটের সেই গৌরব আর নেই। সাত বা আটের দশকে ক্যারিবিয়ানরা বিশ্ব ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ালেও, এখন আর তাদের দলে সেভাবে বিশ্বমানের খেলোয়াড় নেই। ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারি এখন অস্তমিত। বিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো ব্যাটারও সেভাবে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। খেলার মাঠে যেমন পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে, তেমনই মাঠগুলির অবস্থাও খারাপ হয়ে গিয়েছে।

Produced bySoumya Ganguly | Lipi 24 Jun 2022, 4:59 pm
বিশ্ব ক্রিকেটে একাধিক ইতিহাস তৈরির কারিগর ব্রায়ান লারা (Brain Lara)। ১৯৯৪ সালে অ্যান্টিগার রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে ৩৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তারপর একই মাঠে ৪০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যা এখনও পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি। কিন্তু রেকর্ড অক্ষত থাকলেও রেকর্ড সৃষ্টিকারী মাঠ অক্ষত নেই। অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড এখন সাধারণ একটি মাঠ। নেই ইতিহাসের কোনও ছাপ। ২০০৯ সালের পর থেকে অ্যান্টিগার এই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম দুয়োরানি হয়ে রয়েছে। মাঠের অবস্থা পোড়ো জমির মতো। দেখেই বোঝা যায়, এই মাঠে এখন আর খেলা হয় না।
EiSamay.Com Brian Lara
অযত্নে পড়ে আছে ব্রায়ান লারার ইতিহাস গড়া স্টেডিয়াম। ছবি সৌজন্যে Instagram@brianlaraofficial

"একবার তো SBI কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করো!" গেইল-মালিয়া সাক্ষাতে কটাক্ষ নেটপাড়ার
অ্যান্টিগার এই স্টেডিয়ামে খেলে গেছেন স্যার ভিভ রিচার্ড (Viv Richard), অ্যান্ডি রবার্টস (Andy Roberts), রিচি রিচার্ডসন (Richie Richardson), কার্টলি অ্য়ামব্রোজ (Curtly Ambrose)-দের মত কিংবদন্তীরা। সঙ্গে রয়েছে ব্রায়ান লারার ঐতিহাসিক দুটো ইনিংস। এত ঐতিহ্যবাহী মাঠে এখন ক্রিকেট খেলা হয় না। স্থানীয় অনুষ্ঠান ও বাচ্চাদের ফুটবলে আটকে রয়েছে মাঠ। ঐতিহাসিক এই মাঠকে ধরে রাখার কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। ২০০৯ সালে এখানে শেষবার ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। সেই বছর অ্যান্টিগার প্রধান স্টেডিয়াম হয় স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়াম, সেটি শহর থেকে অনেক দূরে। ফলে সে দিকেই নজর দেয় প্রশাসন। তার প্রধান কারণ অবশ্যই জায়গা। কারণ শহরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় রিক্রিয়েশন স্টেডিয়াম চত্ত্বর অনেক ছোটো। ফলে গাড়ি যাওয়া আসায় সমস্যা হয়। যেটা হয় না স্যার ভিভি রিচার্ড স্টেডিয়ামে। রিক্রিয়েশন স্টেডিয়াম বর্তমানে ধানক্ষেতের মত। অযত্নে পড়ে আছে স্কোরবোর্ড। আগামী মাসে বড় অনুষ্ঠান হওয়ায় গ্যালারি সাজানোর কাজ চলছে। কিন্তু অন্য়দিকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইতিহাস। মাঠ দেখাশোনা করা এক ব্যক্তি জানালেন, ভবিষ্যতে গ্যালারি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে।

যদিও স্থানীয়রা মনে করেন, আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হিসেবে রিক্রিয়েশন স্টেডিয়ামকে সরিয়ে দেওয়ায় ভালো হয়েছে। সেন্ট জনস শহরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামের আশপাশের জায়গা ছোটো, ফলে সরু রাস্তা ভিড় হলে সমস্যায় পড়তে হয়। নেই কোনও পার্কিংয়ের জায়গা। আর শান্ত শহরে বেশি বিদেশিদের আনাগোনা পছন্দ নয় সেখানকার বাসিন্দাদের। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “এখানে ইংল্যান্ডের ম্য়াচ হলে শুধু বার্মি আর্মি থেকেই পাঁচ-ছয় হাজার লোক আসত। ওরা আমাদের শান্তি বিঘ্নিত করত। তাতে ক্রিকেট গেছে ভালো হয়েছে।”
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Soumya Ganguly

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল