শিরোনামটা পড়ে বিশ্বাস হচ্ছে না তো! আজ্ঞে হ্যাঁ। সম্প্রতি এক বাঙালি ক্রিকেটার লর্ডসের ময়দানে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। আর লর্ডসের বুকে বাঙালি ক্রিকেটারের 'দাদাগিরি' বললেই তো যে নামটা সবার আগে মুখে আসে তিনি হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। তা সে ১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্ট ম্যাচে শতরান হোক, কিংবা ২০০২ সালে লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি ঘোরানো। ক্রিকেটের মক্কায় এই বাঙালি ক্রিকেটারের মহারাজকীয় মেজাজ যে আজও বিরাজমান, তা প্রতিটা মুহূর্তেই অনুভূত হয়। কিন্তু, সৌরভের পর আবারও কোন বাঙালি ক্রিকেটার লর্ডসের মাঠে নেমে ক্রিকেট খেললেন? তাও আবার আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ? তাহলে তো আপনাকে বাকীটুকু পড়তেই হবে।
বর্তমানে ইংল্যান্ড এবং নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটা লর্ডসে আয়োজন করা হয়েছে। এই ম্যাচের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রবিন দাস। হ্যাঁ, একজন আদ্যপান্ত বাঙালি ক্রিকেটার। তবে ভারতের নয়, বাংলাদেশের। পুরো নাম রবিন জেমস দাস। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের লেটনস্টোনে জন্মগ্রহণ করেন রবিন। যদিও তাঁর বাবা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে তাঁকে লন্ডন চলে যেতে হয়। যেহেতু জন্মসূত্রে রবিন বাংলাদেশের, তাই তাকে বাঙালি ক্রিকেটার বলতে কোনও বাধা নেই। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, রবিনের এক ভাইও রয়েছে। নাম জোনাথন। সেও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।
এবার আসা যাক লর্ডসের মাঠে রবিনের খেলার কথায়। না, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি রবিন। তবে তিনি দলের দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন। একেবারে ম্যাচের প্রথম দিন আগে থেকেই হ্যারি ব্রুক এবং ক্রেগ ওভারটন অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসাবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে আবার বাইরে চলে যান ইংল্যান্ড দলের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তারপর ঘটল সেই আশ্চর্য ঘটনাটি। চোট পেলেন ম্যাটি পটস। সঙ্গে সঙ্গে কপাল খুলল রবিনের। কারণ সেইসময় ইংল্যান্ডের কাছে তৃতীয় একজন ক্রিকেটার দরকার ছিল। আর ব্রডের জায়গাতেই ফিল্ডিং করেন রবিন। পটসের অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে আসেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। সেই ওভার শেষ হতে না হতেই মাঠে ফিরে আসেন ব্রড। আর সেইসঙ্গে রবিনকেও উঠে যেতে হয়।
তৃতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান করেছে। এই ম্যাচটা তাদের জিততে আর মাত্র ৬১ রান দরকার আছে। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন ব্রিটিশ ব্রিগেডের প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট। দিনের শেষে তিনি ৭৭ রানে ব্যাটিং করছেন। এছাড়া ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসও এই ইনিংসে চোখধাঁধানো একটা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এবার চতুর্থদিন ইংল্যান্ড কত তাড়াতাড়ি এই ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরতে পারে, সেইদিকেই আপাতত সকলে তাকিয়ে রয়েছে।
বর্তমানে ইংল্যান্ড এবং নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটা লর্ডসে আয়োজন করা হয়েছে। এই ম্যাচের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রবিন দাস। হ্যাঁ, একজন আদ্যপান্ত বাঙালি ক্রিকেটার। তবে ভারতের নয়, বাংলাদেশের। পুরো নাম রবিন জেমস দাস। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের লেটনস্টোনে জন্মগ্রহণ করেন রবিন। যদিও তাঁর বাবা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে তাঁকে লন্ডন চলে যেতে হয়। যেহেতু জন্মসূত্রে রবিন বাংলাদেশের, তাই তাকে বাঙালি ক্রিকেটার বলতে কোনও বাধা নেই। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, রবিনের এক ভাইও রয়েছে। নাম জোনাথন। সেও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।
এবার আসা যাক লর্ডসের মাঠে রবিনের খেলার কথায়। না, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রথম একাদশে জায়গা পাননি রবিন। তবে তিনি দলের দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন। একেবারে ম্যাচের প্রথম দিন আগে থেকেই হ্যারি ব্রুক এবং ক্রেগ ওভারটন অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসাবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে আবার বাইরে চলে যান ইংল্যান্ড দলের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তারপর ঘটল সেই আশ্চর্য ঘটনাটি। চোট পেলেন ম্যাটি পটস। সঙ্গে সঙ্গে কপাল খুলল রবিনের। কারণ সেইসময় ইংল্যান্ডের কাছে তৃতীয় একজন ক্রিকেটার দরকার ছিল। আর ব্রডের জায়গাতেই ফিল্ডিং করেন রবিন। পটসের অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে আসেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। সেই ওভার শেষ হতে না হতেই মাঠে ফিরে আসেন ব্রড। আর সেইসঙ্গে রবিনকেও উঠে যেতে হয়।
তৃতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান করেছে। এই ম্যাচটা তাদের জিততে আর মাত্র ৬১ রান দরকার আছে। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন ব্রিটিশ ব্রিগেডের প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট। দিনের শেষে তিনি ৭৭ রানে ব্যাটিং করছেন। এছাড়া ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসও এই ইনিংসে চোখধাঁধানো একটা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এবার চতুর্থদিন ইংল্যান্ড কত তাড়াতাড়ি এই ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরতে পারে, সেইদিকেই আপাতত সকলে তাকিয়ে রয়েছে।