অ্যাপশহর

'বিয়ে করব, পাত্রী খুঁজে দিন', শাশুড়ির কাছে আবদার করেছিলেন শোয়েব!

২০১৪ সালের ২৬ জুন 'নিকাহ' করেন শোয়েব আখতার। তাঁর স্ত্রীর নাম রুবাব খান। রুবাব খাইবার পাখতুনওয়ার হরিপুর জেলার মেয়ে। ১৯৯৪ সালের ২৩ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

EiSamay.Com 3 Oct 2021, 5:41 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শোয়েব আখতারকে চেনেন না, গোটা ক্রিকেট বিশ্বে এমন মানুষজন একেবারে নেই বললেই চলে। তাঁর আগুনে গতিতে ঘায়েল হয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরা। সবাই তাঁকে ভালোবেসে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামেই ডাকে। আখতারের ক্রিকেট রেকর্ড নিয়ে সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। কিন্তু, বিশ্বখ্যাত এই পেস বোলার কখনই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সেভাবে প্রকাশ্যে আনতে চাননি কখনই। আজ চলুন, শোয়েবের ব্যক্তিগত জীবনের অন্দরমহলে উঁকি মারা যাক।
EiSamay.Com Shoaib Akhtar Wife
শোয়েব আখতারের স্ত্রী রুবাব খান, ছবি সৌজন্য - টুইটার


২০১৪ সালের ২৬ জুন 'নিকাহ' করেন শোয়েব আখতার। তাঁর স্ত্রীর নাম রুবাব খান। রুবাব খাইবার পাখতুনওয়ার হরিপুর জেলার মেয়ে। ১৯৯৪ সালের ২৩ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা নাম মুস্তাক খান। মায়ের নাম অবশ্য জানতে পারা যায়নি।

রুবাব খান আখতার সেভাবে প্রচারের আলোয় আসতে পছন্দ করেন না। শোয়েব আখতারের স্ত্রী হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের থেকে কিছুটা হলেও দুরে থাকতে পছন্দ করেন। খাইবার পাখতুনওয়ার হরিপুর জেলার যথেষ্ট বিত্তশালী পরিবারে তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। জানা গিয়েছে, অ্যাবোটাবাদ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেছেন।

সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে হজ যাত্রা করার সময় শোয়েব আখতারের সঙ্গে পরিচয় হয় মুস্তাক খানের। কথায় কথায় শোয়েব তাঁদের কাছে বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেন এবং মুস্তাক খানের স্ত্রীর কাছে তাঁর জন্য একজন সঠিক পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন করেন। এরপর পাকিস্তানে রুবাব এবং শোয়েবের পরিবার একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং বিয়ের কথাবার্তা পাকা করে ফেলেন।

ইসলামের ধর্মীয় রীতি মেনে এবং গোপনীয়তা বজায় রেখে হরিপুরেই তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে পরিবারের মাত্র কয়েকজনই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কোনও জাঁকজমকও ছিল না। বিয়ের সময় রুবাব খানের বয়স ছিল ২১ বছর, আর অন্যদিকে শোয়েবের ৩৮। তবে এই ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তাকেই যথেষ্ট উপভোগ করেন রুবাব খান। সেকারণে প্রচারের আলো থেকে দুরে থাকেন। এমনকী, শোয়েব আখতারের কাছেও তাঁর সমর্থকেরা স্ত্রী-সন্তানের ছবি পোস্ট করার আবদার করেন। তবে সেই আবদারে পাক পেস বোলারও সাড়া দেন না।

দেশের হয়ে ৪৬টি টেস্ট ম্যাচ, ১৬৩টি একদিনের ম্যাচ এবং ১৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। এই তিনটে ফরম্যাটে তিনি যথাক্রমে ১৭৮টি, ২৪৭টি এবং ১৯টি উইকেট শিকার করেন। আইপিএল তিনি তিনটে ম্যাচে পাঁচটা উইকেট শিকার করেন।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল