অ্যাপশহর

রাঁচির সেই সেঞ্চুরি মাথায় রয়েছে ঋদ্ধির

স্লিপে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির পাশে থাকাটা বাড়তি সুবিধে বলে জানালেন ঋদ্ধি। তবে বিরাট-সহ পুরো ভারতীয় টিম মনে করে, উইকেটের পিছনে ঋদ্ধির বিশ্বস্ত দুটো হাত অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেবে।

EiSamay.Com 19 Oct 2019, 12:53 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগেও ভারতীয় ক্রিকেট মহলের একটা বড় অংশ ভেবেছিল, ঋদ্ধিমান সাহার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। শুক্রবার মহেন্দ্র সিং ধোনির শহরে বসে ঋদ্ধির গলায় প্রত্যয়। নিজের কিপিং থেকে চলতি সিরিজে টিমের লক্ষ্য, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে ঋষভ পন্থের সঙ্গে জায়গা দখলের লড়াই, সব কিছু নিয়েই খোলামেলা ঋদ্ধি।
EiSamay.Com riddhiman saha’s ranchi test strategy
সেঞ্চুরি মাথায় রয়েছে ঋদ্ধির


চোটের জন্য ২০ মাস ভারতীয় টিমের বাইরে থাকা ভুলে আবার সব শুরু করছেন নতুন করে। আসলে উইকেটকিপিং ‘থ্যাঙ্কলেস জব’ বলেই হয়তো কোনও প্রত্যাশা না রেখেই এগিয়ে চলতে চান। এ দিন হাসতে হাসতেই ঋদ্ধি বলে দিলেন, ‘আসলে উইকেটকিপিং একটা থ্যাঙ্কলেস জব। সবাই ভাবেন, গ্লাভস পরে নেমেছে সব বল তো ধরবেই। বাস্তবে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও এতটা সহজ নয়। বিশেষ করে টার্নিং ট্র্যাক বা অসমান বাউন্সে বিষয়টা বেশ কঠিন। তবে হ্যাঁ, সব কিছুর জন্য প্রস্তুতি লাগে। আমিও জানি, জাড্ডু আর অ্যাশ কোন গতিতে বোলিং করে। সে সব মাথায় রেখেই নিজেকে তৈরি রাখি।’

মাঠের বাইরে থাকার লড়াইয়ের গল্পে দুর্দান্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মানুষ নন শিলিগুড়ির যুবক। দেনওনি। ফিরে আসার লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে ঋদ্ধির গলায় শোনা গেল, ‘অনেক দিন চোটের জন্য বাইরে ছিলাম। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেট আর ইন্ডিয়া ‘এ’ টিমে খেলে ফিরেছি। তবে প্রস্তুতি আলাদা কিছু ছিল না। কিপিং আর ব্যাটিং করে সব সময় প্রস্তুতি নিই, সে ভাবেই করেছি।’ পুনে টেস্টে উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে আবার লাইমলাইটে চলে আসা। উমেশ যাদব তো বলেই দিয়েছেন, ওই উইকেট দুটো সাহার। যা নিয়ে ঋদ্ধি লাজুক অভিব্যক্তিতে বলে দিলেন, ‘উমেশ যে বলেছে, উইকেট দুটো আমার, সেটা শুনে ভালো তো লেগেছেই। তবে উমেশ নিজেও দারুণ বোলিং দিয়েছে। ক্যাচটা বাঁ দিকে এসেছিল। সৌভাগ্যবশত আমি তখন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। আসলে যাই হোক, সেটা যদি টিমের কাজে আসে, তার চেয়ে ভালো কিছুই হতে পারে না।’

ঋদ্ধির চোট পাওয়ার সময় টেস্টে তাঁর জায়গা দখল করে নিয়েছেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু ঋষভকে সরিয়ে আবার টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের বিশ্বস্ত প্রহরীর জায়গা দখল ঋদ্ধির। উল্টে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই বলা হচ্ছে, ঋদ্ধিই মেন্টর করবেন ঋষভকে। বিষয়টা এ ভাবে দেখতে নারাজ বাংলার উইকেট কিপার। জানিয়ে দিলেন, ঋষভের সঙ্গে কোনও লড়াইও নেই। ঋষভ প্রসঙ্গে ঋদ্ধির সাফ কথা, ‘আমরা সব সময়ই একে অন্যের কিপিংয়ের দিকে খেয়াল রাখি। প্র্যাক্টিস সেশনে ঋষভের সঙ্গে বোঝাপড়া খুব ভালো। কিপিংয়ে কারও কোনও ভুল হলে, দু’জন দু’জনকে ধরিয়ে দিই আমরা। এ ভাবে এখন পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাকই চলছে।’

রাঁচিতে টেস্ট বলেই ঋদ্ধি যেন কিছুটা নস্ট্যালজিক। ২০১৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাঁচিতে করেছিলেন সেঞ্চুরি। সেই স্মৃতি নিয়ে ঋদ্ধির বলেছেন, ‘এখানে শেষ ম্যাচে যতদূর পড়ে মনে পড়ছে ১১৭ করেছিলাম। আমার মনে আছে, সেই ইনিংসে কেমন অ্যাপ্রোচ ছিল। স্টিভ স্মিথের ঘটনাটাও ভুলিনি। আমরা কিন্তু সেই টেস্টটা ড্র করেছিলাম। এখন আমরা সিরিজে ২-০ এগিয়ে রয়েছি। এখানে ৩-০ সিরিজ শেষ করাই এখন আমাদের টিমের লক্ষ্য।’

এ সবের সঙ্গে অবশ্যম্ভাবী যে প্রশ্নটা আসার ছিল, সেই সৌরভের বোর্ড প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন এল। সৌরভ ক’দিন আগেই বলেছিলেন, ঋদ্ধিকে ১০০টা টেস্ট খেলতে গেলে বড় রান করতে হবে। দাদার বক্তব্যের সম্মান জানিয়ে ঋদ্ধির জবাব, ‘দাদার অভিজ্ঞতা বিশাল। আমি যখনই খেলি, টিমের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। উইকেটকিপার হিসেবে তো বটেই, সুযোগ পেলে ব্যাট হাতেও পার্টনারশিপ গড়ার লক্ষ্য থাকে। কখনও সেটা হয়, কখনও হয় না।’

স্লিপে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির পাশে থাকাটা বাড়তি সুবিধে বলে জানালেন ঋদ্ধি। তবে বিরাট-সহ পুরো ভারতীয় টিম মনে করে, উইকেটের পিছনে ঋদ্ধির বিশ্বস্ত দুটো হাত অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেবে।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল