অ্যাপশহর

১০০ বছরে সাফল্য বড় জোর ৩০ শতাংশ

অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ ১০০ বছরে সাফল্য বড় জোর ৩০ শতাংশ এই সময়: দেশের বাইরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতা এখন কি প্রায় অলৌকিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে? দক্ষিণ আফ্রিকায় ...

EiSamay 18 Jan 2018, 2:01 pm

এই সময়: দেশের বাইরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতা এখন কি প্রায় অলৌকিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে? দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের পর্যুদস্ত হওয়ার ঘটনায় এই প্রশ্ন আরও বড় হয়ে দেখা দিল৷ ক'দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাসেজের যুদ্ধেও দেখা গেল, একই রকম ব্যাপার৷

বিবিসির এক সাম্প্রতিকতম সমীক্ষায় এই তথ্যই আরও বড় হয়ে দাঁড়াল৷ সেই সমীক্ষায় উঠে আসছে অভূতপূর্ব আরও কিছু তথ্য৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাওয়ে সিরিজে ব্যর্থতা একেবারেই নতুন নয়৷ গত ১০০ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ দল অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজে সাফল্য পেয়েছে৷ ২০১০ সালের পর সামান্য বেড়েছে সফরকারী টিমের সাফল্য৷ ৯০ দশকে যা ছিল ২৩ শতাংশ, ২০১০-এর পর তা দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশ৷ ২০১৩ সালের থেকে আজ পর্যন্ত অ্যাওয়ে সিরিজে সাফল্যের হার কিঞ্চিত্ বেড়েছে সফরকারী টিমের৷ তবে তা কখনওই ৩০ শতাংশের উপরে ওঠেনি৷ অবশ্যই এই হিসেব ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকাকে কেন্দ্র করে৷

EiSamay.Com overseas ground performance
১০০ বছরে সাফল্য বড় জোর ৩০ শতাংশ


এই চমকপ্রদ পরিসংখ্যানের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, সব খেলা মিলিয়ে অ্যাওয়ে সিরিজে টেস্ট ক্রিকেটই কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কঠিনতম ম্যাচ? ফুটবলে বা অন্য খেলায় অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতা কঠিন, কিন্ত্ত অসম্ভব নয়৷ কিন্ত্ত টেস্ট ক্রিকেটে পিচ এমন গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে সফরকারী টিমকে সমস্যায় ফেলতে হোম টিম পিচের সুবিধে নিচ্ছে৷ জিতেও যাচ্ছে৷

টানা ন'টেস্ট সিরিজ জিতে সিরিজ হারল টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর টিম ভারত৷ আরও সোজা করে বললে উপমহাদেশের বাইরে প্রথম বার টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েই ব্যর্থ বিরাটের ভারত৷ কিন্ত্ত পরিসংখ্যানের দিক থেকে এটা কখনওই কাকতালীয় নয়৷ ২০১৫ সালে ভারতের মাটিতে প্রোটিয়াদের ৩-০ সিরিজ হারিয়েছিল ভারত৷ বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টিতে টেস্ট ভেস্তে না গেলে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত ছিল৷ এ বার সিংহের গুহায় বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোম্পানির সামনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ভ্রুকুটি৷

ভারতে কেন সফল বিরাটরা, দক্ষিণ আফ্রিকায় কেন ব্যর্থ, বোঝার জন্য ক্রিকেট পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ বিসিসি-র সমীক্ষায় আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ব্যাপারটা৷ ২০০৭ সাল থেকে গোটা বিশ্বে যে রকম বাইশ গজ তৈরি করা হচ্ছে, সেই হিসেবে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকায় গড় বাউন্স ০.৮৯ মিটার৷ ইংল্যান্ডও এর কাছাকাছি, ০.৮৫ মিটার৷ ভারতে এই বাউন্সই অনেক নীচে, ০.৭৬ মিটার৷

ক্রিকেটের মতো টেকনিক্যাল খেলায় শুধু বাউন্সের হেরফেরেই গল্প শেষ হয়ে যায় না৷ বাউন্সের পাশাপাশি হাজির সুইং৷ ম্যান্ডেলা দেশে ততটা সুইং থাকে না৷ অস্ট্রেলিয়ায় বল সুইং করে ০.৫২ ডিগ্রি৷ শ্রীলঙ্কায় এটা সামান্য বাড়ে৷ কিন্ত্ত নিউ জিল্যান্ড (১.০২ ডিগ্রি), ইংল্যান্ডে (১.১৯ ডিগ্রি) গেলেই সুইং-ই বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়৷ ভারতে যে ফ্যাক্টরের নাম 'স্পিন'৷ ঘটনা হল, ভারতে বল ঘোরে ৩.৯২ ডিগ্রি৷ বাংলাদেশে এই ঘূর্ণি আরও বেশি, ৪.২৫ ডিগ্রি৷ সে জন্য বাংলাদেশে গিয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারতে হয়৷ আবার বিরাট ব্রিগেডের অশ্বমেধের ঘোড়া থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়!

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল