Ms Dhoni Retired: Important Things Students Can Learn From His International Career
ক্রিকেটার ধোনির থেকে কী কী শিখতে পারেন পড়ুয়ারা...
ফিনিশিং লাইনের ওপারে দাঁড়ানো ধোনিকে সম্ভবত কেউ দেখতে চাননি। কোনও পূর্বাভাস নেই, কোনও ঢাকঢোল নেই।
EiSamay.Com16 Aug 2020, 8:20 pm
১৫ অগস্ট। ভারতের স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উৎসব পালনের দিন। কিন্তু ২০২০-র ১৫ অগস্টে উৎসবের গায়ে বিষাদ লেগে গেল। স্বাধীনতার সন্ধেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চিরবিদায় জানালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যে সারা ক্রিকেট জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ধারেকাছে ঘেঁষেননি, তিনিই শেষবেলায় জেগে উঠলেন ভার্চুয়াল জগতে। ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করে ঘোষণা করলেন, 'আলবিদা ক্রিকেট'। কোনও পূর্বাভাস নেই, কোনও ঢাকঢোল নেই। ৪ মিনিটের ইনস্টা ভিডিয়োয় শুধুই ক্রিকেট জীবনের টুকরো টুকরো মুহূর্ত। সঙ্গে মুকেশের গলায়, 'ম্যা পল দো পল কা শায়ের হু...'
এটাই তো ধোনি। সকলের প্রিয় মাহি। এরকম ফিনিশিই সবাই ধোনির থেকে আশা করেছিলেন। কিন্তু ফিনিশিং লাইনের ওপারে দাঁড়ানো ধোনিকে সম্ভবত কেউ দেখতে চাননি। না চাইতেও ধোনির নামের আগে জুড়ে গেল 'অবসরপ্রাপ্ত' শব্দটা। আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেটার ধোনি ফুরিয়ে গেলেও 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর থেকে শেখার বিষয় শেষ হয়নি। ক্রিকেটার ধোনির থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারেন আজকের প্রজন্মের পড়ুয়ারা।
কেরিয়ার বাছাইয়ের সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডিআরএস এর ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাফল্যের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। অনেকেই তাই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমকে মজা করতে ধোনি রিভিউ সিস্টেম বলে ডাকেন। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ধোনির ঠান্ডা মাথা। শিক্ষাবিদরা বলছেন কেরিয়ার বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ধোনির থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন এই প্রজন্মের পড়ুয়ারা। ধোনির মতো মাথা ঠান্ডা রেখে কেরিয়ার বাছলে সাফল্যের হারও বাড়বে।
বড়দের গুরুত্ব, ছোটদের অনুপ্রেরণা
২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজেই ভরাডুবি হয় ভারতের। তারপরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান ধোনি। সেই বছরই ধোনির নেতৃত্বে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে ভারত। টুর্নামেন্টে সেহবাগ, হরভজনদের মতো সিনিয়রদের গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রোহিত, আর পি সিংদের মতো নিউ কামারদেরও অনুপ্রাণিত করেছিলেন ধোনি। জীবনে বড় ও ছোটদের মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রেখে চলতে হয়, মাহির থেকে তার পাঠ নিতে পারেন পড়ুয়ারা।
করতে হবে বলে কোনও কাজ করা উচিত নয়
মন না চাইলে, আবেগ না থাকলে কোনও কাজ করা উচিত নয়। কারণ তাতে শত চেষ্টা করেও কোনও কাজে সাফল্য পাওয়া মুশকিল। আর মন চাইলে শত বাধা সত্ত্বেও সাফল্যের আশা ষোলো আনা। নিজের ক্রিকেট জীবনেই তা বারে বারে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি ধোনি। খড়গপুর স্টেশনে টিটিই-র চাকরি করতে করতেও ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। রেলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের মুখ।
সুযোগ ও সম্পদের সদ্ব্যবহার
২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ধোনি। ২০০৫ সালে বিশাখাপত্তনমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা ম্যাচই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। সেই ম্যাচে মিডিল অর্ডারের পরিবর্তে ধোনিকে ৩ নম্বরে নামান ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ম্যাচে ১৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এমএসডিকে। সুযোগের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে হয় তারও অন্যতম বড় উদাহরণ ধোনি।
অফবিট ভাবনাচিন্তা
সবার সমস্যা এক নয়। তাই সব সমস্যার সমাধানও একরকম হবে তার কোনও মানে নেই। জীবনে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই চাই অফবিট ভাবনাচিন্তা। নিজের ক্রিকেট জীবনেও তা করে দেখিয়েছেন মাহি। কঠিন ইয়র্কারকে হেলিকপ্টার শটে হেলায় বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। উইকেটের পিছনেও অভিনবত্ব দেখিয়েছেন। ধোনির অফবিট ভাবনাচিন্তা থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারেন আজকের প্রজন্মের পড়ুয়ারা।
Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
X
Cookies on the Eisamay website
We use cookies and other tracking technologies to provide services in line with the preferences you reveal while browsing the Website to show personalize content and targeted ads, analyze site traffic, and understand where our audience is coming from in order to improve your browsing experience on our Website. By continuing to browse this Website, you consent to the use of these cookies. If you wish to object such processing, please read the instructions described in our privacy policy/cookie policy.