অ্যাপশহর

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই নয়া নজির রাহুলের!

কর্নাটকের ব্যাটার রাহুল (K L Rahul) তাঁর ৩৯ তম একদিনের ম্যাচে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেলেন। ৫০ টা ম্যাচের আগে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলেন একমাত্র মহিন্দর অমরনাথ।

Lipi 19 Jan 2022, 5:59 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেক করলেন কেএল রাহুল। আর নেমেই নজির তৈরি করলেন। লিস্ট A ক্যাটাগরিতে অধিনায়কত্ব না করেই তিনি জাতীয় দলে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেলেন। তাঁর আগে এই নজির তৈরি করেছিলেন আরও দুই ভারতীয়।
EiSamay.Com KL Rahul Main
টস করতে নামলেন কে এল রাহুল, ছবি সৌজন্য - Twitter/BCCI


রোহিত শর্মা চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় অধিনায়কত্বের দরজা খুলে যায় কেএল রাহুলের কাছে। তিনি সাদা বলের ক্রিকেটের সহ অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট কোহলি চোট পাওয়ায় অধিনায়কত্ব করেন কেএল রাহুল। সেটা ছিল তাঁর টেস্টে প্রথম অধিনায়কত্ব। এবার একদিনের ক্রিকেটে তিনি অধিনায়কত্ব করছেন। তাঁর আগে এই এই কীর্তি অর্জন করেছেন প্রাক্তন উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরামানি ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ।

কর্নাটকের ব্যাটার রাহুল তাঁর ৩৯ তম একদিনের ম্যাচে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেলেন। ৫০ টা ম্যাচের আগে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলেন একমাত্র মহিন্দর অমরনাথ। ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ৩৫ তম একদিনের ম্যাচ খেলার সময় অধিনায়কত্ব করেন।

সাত বছর পর এই প্রথমবার অধিনায়কের মুকুট ছাড়া খেলতে নামলেন বিরাট কোহলি। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে। টেস্ট সিরিজ হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিরাট কোহলি।

আজকের ম্যাচে অভিষেক করেছেন ভারতের অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গায় তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। পিঠে অপারেশনের পরে অফ ফর্মে রয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে সুযোগ পেয়েছেন ভেঙ্কটেশ।

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ৫-১ এ হারিয়েছিল ভারত। তারপর ২০২২ সালে ৫০ ওভারের সিরিজ খেলতে নামল। ফলে সেই ধারাই বজায় রাখতে চায় তারা। তবে করোনার কারণে টি-২০ সিরিজ বাতিল করা হয়েছে। ২০২৩-এর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এই সিরিজ থেকেই শুরু করল বিরাটরা। এরপর চলতি বছরেই রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। তারপর আগামী বছরে রয়েছে বিশ্বকাপ। দুটো কাপই জয়ের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কারণ ২০০৭ ও ২০১১ সালের পর আর বিশ্বকাপ জেতেনি ভারত। দীর্ঘদিনের খরা আগামী দুটো বিশ্বকাপেই কাটাতে চাইছে বোর্ড। সেই জন্য একাধিক নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দলেও পরিবর্তন করা হচ্ছে।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল