অ্যাপশহর

হতাশাকে কোনওদিনই গুরুত্ব দিইনি: অশ্বিন

পুনেতে তৃতীয় দিনের শেষে এই ধরণের প্রশ্ন উড়ে এসেছে অশ্বিনের জন্য। অশ্বিন অবশ্য কোনও আক্রমণাত্মক পথে যাননি। বরং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মতোই বলেছেন, 'আমি কোনও সময়ই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়িনি। হতাশ হতেও চাই না। বরং, আবার বল করছি, এটাই আমার কাছে আনন্দের।

EiSamay.Com 13 Oct 2019, 9:25 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বহুবার দেশকে জিতিয়েছেন তিনি। বিপদের সময়ে হয়েছেন পরিত্রাতা। তারপরেও দেশের এক নম্বর স্পিনারের তকমা সে ভাবে পাননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাদও পড়তে হয়েছে টিম থেকে। সেই অশ্বিনের হাতেই পুনেতে টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। কেমন লাগে, সেই সব খারাপ দিনগুলোয়?
EiSamay.Com ravichandran ashwin


পুনেতে তৃতীয় দিনের শেষে এই ধরণের প্রশ্ন উড়ে এসেছে অশ্বিনের জন্য। অশ্বিন অবশ্য কোনও আক্রমণাত্মক পথে যাননি। বরং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মতোই বলেছেন, 'আমি কোনও সময়ই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়িনি। হতাশ হতেও চাই না। বরং, আবার বল করছি, এটাই আমার কাছে আনন্দের। উল্টোদিকে যেই ব্যাট করুক না কেন, আমি আমার কাজ করে যাব।'

চার উইকেট নিয়ে অশ্বিন এ দিন একটি রেকর্ডও করলেন। সেটা হল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলার হিসেবে ৫০ তম উইকেট নিয়ে ফেললেন তিনি। তাঁর আগে রয়েছেন অনিল কুম্বলে (৮৪), জাভাগল শ্রীনাথ (৬৪) ও হরভজন সিং (৬০)।

উইকেটে জমে যাওয়া কেশব মহারাজকে (৭২) ফিরিয়েছেন অশ্বিন। ফিল্যান্ডারের সঙ্গে জুটি ভেঙে ভারতকে ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছেন। এ ছাড়াও অশ্বিন নিয়েছেন আরও তিনটি উইকেট। তাঁর কথায়, 'দু'জনেই খুব ভালো ব্যাট করছিল। ফিল্যান্ডার পেসারদের বিরুদ্ধে যেমন, স্পিনারদের বিরুদ্ধেও খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছিল। কেশবও ভালো ব্যাট করেছে। এখনকার ক্রিকেটে যে কেউ ভালো ব্যাট করতে পারে। আমাদের টিমে তো ১১ জনই ব্যাট করতে পারে।'

এখন প্রশ্ন হল, বিরাট কোহলি কি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো অন করাবেন? অশ্বিনকে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, এখনই ফলো অন নিয়ে কেউ ভাবনা চিন্তা করেনি। এটা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। সব দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেখতে হবে, বোলাররা রবিবার সকালে কেমন অবস্থায় আছে। তার জন্য গোটা রাত পরে আছে।'

পুনের উইকেট নিয়েও মুখ খুলেছেন অশ্বিন, 'এখানকার উইকেট একই রকম। বহু বছর পুনেতে খেলছি। প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেছি। কিন্তু উইকেটে কোনও বদল দেখিনি। আমার মতে, এটা একদমই আদর্শ ভারতীয় উইকেট।'

শুধু স্পিনাররা নয়, ভারতের পেসাররাও এই উইকেটে যথেষ্ট ভালো বল করেছেন। উমেশ ও সামি মিলে মোট পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। অশ্বিনের কথায়, 'শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিকে উমেশ আর সামি যে ভাবে বল করছিল, আমাদের তো দেখে দারুণ লাগল। সামি তো এক-একটা বল উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিচ্ছিল। যেটা ভারতে খুব কম দেখার সুযোগ মেলে।'

উল্টোদিকে, কাঁধে চোট নিয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন কেশব মহারাজ। ভারতীয় বংশোদ্ভুত দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ব্যাট হাতে ৭২ রান না করলে আরও অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ম্যাচ শেষে কেশব নিজেই বলেছেন, 'আমার কাঁধে আগের দিন থেকেই যন্ত্রণা হচ্ছিল। ভাগ্যবান যে তারপরেও ব্যাট করতে পেরেছি। আমি আর ফিল্যান্ডার ঠিক করে নিয়েছিলাম যে ছোট-ছোট লক্ষ্য ধরে এগোব। আমি শুক্রবার রাতেই আমাদের ভিডিও অ্যানালিস্টদের সঙ্গে বসেছিলাম। দেখেছিলাম, কী ভাবে ভারতের স্পিনারদের খেলতে হবে। সেটা কিছুটা করতে পেরেছি। কিছুটা চাপ ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।'

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল