অ্যাপশহর

ফের হার ভারতের, টেস্টের পর একদিনের সিরিজও জয় প্রোটিয়াদের

ভারতের ইনিংসের শেষদিকে অসাধারণ একটা পার্টনারশিপ গড়লেন শার্দূল ঠাকুর এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর সেই সুবাদেই ভারত ২৮৭ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ম্যাচে ২৯৬ রান করেছিল।

EiSamay.Com 21 Jan 2022, 10:40 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও সহজ জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেইসঙ্গে সিরিজ তারা নিজেদের পকেটে পুরে নিল। চলতি একদিনের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং তিনটে ফরম্যাটেই ভারতকে মাত দিয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেড। দ্বিতীয় একদিনের ম্য়াচে ৭ উইকেটে পরাস্ত হয়েছে ভারত। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল এখনও পর্যন্ত একটাও ম্য়াচ জিততে পারেনি।
EiSamay.Com SA Main
বাভুমার নেতৃত্বে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা, ছবি সৌজন্য - Twitter/ICC


এই সফরের আগে আশা করা হয়েছিল, ভারত হয়ত রামধনুর দেশে যথেষ্ট ভালো পারফরম্য়ান্স করতে পারবে। কিন্তু, সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে পর সেই প্রত্যাশা কার্যত হাওয়ায় উবে যায়। টেস্ট সিরিজের পর এবার টিম ইন্ডিয়ার হাতছাড়া হয়ে গেল একদিনের সিরিজও। একটা সিরিজও ভারত এই সফরে জিততে পারল না। দক্ষিণ আফ্রিকা সবদিক থেকে ভারতকে মাত দিয়েছে। ঋষভ পন্ত ছাড়া কোনও ভারতীয় ব্য়াটার দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে ট্য়াঁ-ফোঁ করতে পারেনি। পন্ত এদিকে কার্যত সিলেবাসের বাইরে গিয়েই প্রোটিয়া বোলারদের ঠেঙিয়েছেন। পন্ত ছাড়া ভারতের ব্যাটিং ব্রিগেড নিয়ে আর বেশিকিছু বলার নেই। শেষের দিকে দরকারি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শার্দূল ঠাকুর এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলের এমন ব্য়াটিং দৃষ্টিভঙ্গি দেখার পর কেএল রাহুল যে কিছুটা আশাহত হবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি নিজে হাফসেঞ্চুরি করলেও, দল ২৮৭ রানে আটকে যায়। মাত্র ৪৮ ওভারের মধ্যে ২৮৮ রান তাড়া করে জয়লাভ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ভারতীয় বোলিং ডিপার্টমেন্টকে যে দুরমুশ করেছে, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 'ম্য়াচের সেরা' কুইন্টন ডি কক ৬৬ বলে ৭৮ রান করেন। অন্যদিকে ১০৮ বলে ৯১ রান করলেন জেনম্য়ান মালান। তবে কুইন্টনের ব্যাটিংয়ের কথা আলাদা করে বলতেই হবে। ব্যাটে-বলে শুক্রবার যেভাবে তিনি সংযোগ ঘটিয়েছেন, যেভাবে নিখুঁত টাইমিং করেছে সেটা অবশ্যই একজন ক্রিকেট শিক্ষার্থীর কাছে আলাদা প্রাপ্তি। তবে কুইন্টন যেখানে থেমেছেন, সেখান থেকেই ফিফথ গিয়ারে গাড়ি ছোটাতে শুরু করেছেন জেনম্যান। তিনিও সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। এরপর এইডেন মারক্রাম একটা অসাধারণ ক্যামিও রোল পালন করলেন। রসি ভ্যান ডার ডুসেন শেষবেলায় দলের হালটা ধরে নেন। দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই খুশি হবে। কারণ এই সিরিজটা প্রোটিয়া ব্রিগেড আন্ডারডগ হিসেবেই শুরু করেছিল। এবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল