অ্যাপশহর

আজ অঙ্ক কষে এগোবে প্রত্যয়ী ভারত

দুশ্চিন্তার ছাপ চোখে-মুখে। কোনও সন্দেহ নেই, ২০ ওভারের ম্যাচ হলে চাপে থাকতে হত ভারতকেই। সে জন্যই তা চায়নি ভারত। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন যখন ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণার আগে দুটো টিমের সঙ্গে কথা বলতে আসেন, তখন নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে দিয়েছিল ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক।

EiSamay 10 Jul 2019, 2:01 pm
সব্যসাচী সরকার, ম্যাঞ্চেস্টার
EiSamay.Com semi final match preview


বিপুল জয়ধ্বনির মধ্যে যখন বিরাটদের টিম বাস ঘিরে বৃষ্টির মধ্যেই চলছিল স্লোগান। 'রেন আর নো রেন, ইন্ডিয়া ইজ দ্য নেম!' উচ্ছ্বাসের চিহ্নমাত্র নেই, কানে হেডফোন খুঁজে ক্লান্ত হার্দিক-জাডেজারা সেঁধিয়ে যাচ্ছিলেন বাসে। অথচ এদিনের মতো ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত উৎকন্ঠায় ছটফট করেছে টিম। বারবার ড্রেসিংরুমের বাইরে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। দুশ্চিন্তার ছাপ চোখে-মুখে। কোনও সন্দেহ নেই, ২০ ওভারের ম্যাচ হলে চাপে থাকতে হত ভারতকেই। সে জন্যই তা চায়নি ভারত। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন যখন ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণার আগে দুটো টিমের সঙ্গে কথা বলতে আসেন, তখন নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে দিয়েছিল ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক।

ডাকওয়ার্থ-লুইসের জটিল অঙ্কে ২০ ওভারে ভারতের টার্গেট দাঁড়াত ১৪৮। যা শেষ বিকেলে স্লো উইকেটে পড়ন্ত আলোয় কঠিন হতই। আউটফিল্ড স্লো হয়ে যেত, ফলে বাউন্ডারিতে বল পৌঁছতে সময় লাগত বেশি। মাইকেল ভন বলছিলেন, '২০ ওভারে ১৪৮ তাড়া করা কঠিন হত এই মাঠে। বল পড়ে আস্তে আসছে। ম্যাচ না হওয়ায় সুবিধে হল ভারতেরই।'

এতেই শেষ নয়। বোল্ট-ফার্গুসনদের মোটে চার ওভার বল করতে হত। অনেক তাজা অবস্থায় ডেথ-এ বোলিংটা করতে পারতেন। সেখানে ভারতের টপ অর্ডারে একটা-দুটো উইকেট চলে গেলেই চাপটা প্রবল হয়ে উঠত। মিডল অর্ডার তা সামলাতে পারবে, এমন কোনও গ্যারান্টি ছিল না।

এখন ব্যাপারটা আলাদা। এক, মঙ্গলবার রাতে রান তাড়া করার ছকটা নিজেদের মতো করতে পারবে ভারত। হাতে সেই সময় থাকছে। দুই, পাওয়ার প্লে-র ওভারগুলো খেলার প্ল্যানিং করে নিতে পারবে উইকেট অনুযায়ী।

তিন, পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ বিকেল তিনটেয় বৃষ্টি আসবে। তার আগে নিউ জিল্যান্ড ইনিংসের তিন ওভার পাঁচ বল এবং ভারতের পুরো ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। চার, এর বাইরে যদি আগে বৃষ্টি আসে, তখন কী ভাবে প্ল্যানিং করতে হবে, সেটা ঠিক করার জন্য হাতে থাকবে ডাকওয়ার্থ-লুইসের তালিকা। যেখানে কত ওভারে কত টার্গেট হতে পারে, তার পুরো হিসেব থাকবে। ম্যাচের মধ্যে এই হিসেব রাখা আর আগে হাতে হিসেব পেয়ে যাওয়ার মধ্যে অনেকটা তফাত। তাতে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ থাকে।

তা ছাড়া চার বছর অন্তর হওয়া টুর্নামেন্টে স্রেফ বৃষ্টির জন্য চাপে পড়ে হারের সম্ভাবনা মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন। সে জন্যই বিরাটকে প্রথমে চিন্তিত লাগলেও পরে দুশ্চিন্তামুক্ত লাগছে।

কিছুটা স্বস্তি নিউ জিল্যান্ডেরও। ২০ ওভারের ম্যাচ এ দিন খেলতে হলে টিমের একমাত্র স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হতই। তবে টিম নিবার্চনে দুই স্পিনার না রেখে ভুল একটা করেই ফেলেছে নিউ জিল্যান্ড। জাডেজার দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখে স্যান্টনার এই উইকেটে বল করার জন্য ছটফট করতে পারেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গী হিসেবে অন্য কোনও স্পিনার কোথায়? সেখানে অবশ্যই রিস্ট স্পিনার ইস সোধিকে খেলাতে পারত কিউয়িরা। উইলিয়ামসন অবশ্য প্রতিপক্ষ ভারত ধরে পেসারদের উপর বেশি আস্থা রেখেছিলেন। সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল ছিল, তার পরীক্ষা আজ।

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল