অ্যাপশহর

করোনা কেড়েছে শেষ সম্বল, বিশ্বজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার এখন দিনমজুর!

বিশ্বকাপ জয়ী নরেশের পেশা এখন দিনমজুরি। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আর্থিক কষ্টে দিনমজুরি বেছে নিয়েছে নরেশ। গুজরাতের নভসারিতে বাড়ি নরেশের। প্রথমে সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু করোনার প্রথম ঢেউয়ে তার সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।

Lipi 9 Aug 2021, 4:38 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : নরেশ টুমডা। অধিকাংশের কাছেই নামটা অচেনা। কিন্তু এই ছেলেটিই দেশকে এনে দিয়েছিল বিশ্বকাপ। ২০১৮ সালে। আরও একটু খোলসা করে বললে, ২০১৮ সালে ব্লাইন্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেই দলের সদস্য ছিলেন নরেশ। ভারতের বিশ্বকাপ জেতার পর সকলে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সবাই। কিন্তু তারপর। কেউ খোঁজ নেয়নি নরেশের।
EiSamay.Com Naresh Tumda
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার এখন দিনমজুরের কাজ করে অন্নসংস্থান করছেন


বিশ্বকাপ জয়ী নরেশের পেশা এখন দিনমজুরি। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আর্থিক কষ্টে দিনমজুরি বেছে নিয়েছে নরেশ। গুজরাতের নভসারিতে বাড়ি নরেশের। প্রথমে সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু করোনার প্রথম ঢেউয়ে তার সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। কর্মহীন হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ফুরোতে থাকে সঞ্চয়। কারণ নরেশদের কাছে নেই কোনও স্পনসর। নরেশদের কাছে নেই কোনও IPL দল। ফলে ফোকাসটা কোনওদিনই পড়েনি তাঁদের উপর।

নরেশ বললেন, 'করোনায় ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পর আমি এখন শ্রমিকের কাজ করি। দিনে ২৫০ টাকা পাই। আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি আমাকে একটা চাকরি দেওয়ার জন্য যাতে আমি আমার পরিবারকে দেখতে পারি।'

দুবাইতে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতে ভারত। দুবাই থেকে যখন দিল্লিতে নামে নরেশরা তখন সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নরেশের সংযোজন, 'আমরা যখন বিশ্বকাপ জিতলাম তখন খুশি ছিলাম। ভেবেছিলাম এবার একটা চাকরি পাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি আমাকে একটা চাকরি দেওয়ার জন্য।'

ভারতে খেলার মধ্যে সবথেকে আলো পায় ক্রিকেট। বিশ্বের সবথেকে ধোনী ক্রিকেট বোর্ড BCCI ধোনি ক্রীড়াবিদদের তালিকায় উপরের দিকে থাকেন ভারতীয় প্লেয়াররা। IPL, জাতীয় দল, বিজ্ঞাপন। আয়ের তালিকাটা দীর্ঘ। সেখানে ভারতের এই তরুণ অন্ধ ক্রিকেটারটি বেঁচে থাকার ন্যূনতম জিনিস জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু প্রদীপের নিচেও থাকে অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে থাকেন নরেশরা। আপাতত অনুরোধ করছে সামান্য একটা চাকরির!

পরের খবর