অ্যাপশহর

ডারবান থেকে নিউজিল্যান্ডে চলে না এলে ক্রিকেট খেলাই হত না ওয়াটলিংয়ের

ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই রকম স্মরণীয় বিদায় কজনের ভাগ্যেই বা জোটে? ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ হাতে ক্রিকেটকে বিদায় জনিয়েছিলে ইমরান খান। আর টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বসেরা দলের সদস্য হয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়াটলিং (BJ Watling)।

Lipi 25 Jun 2021, 10:48 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : বাইশগজে টেস্ট জীবনের শেষদিনে ক্রিকেটকে উৎসর্গ করার বীরগাথা। বিদায়বেলার অন্তিম মুহূর্ত বলিষ্ঠতা, সাহসিকতা, আত্মত্যাগের চূড়ান্ত নিদর্শন। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শেষদিনে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারতেন। সে পথ বেছে নেননি ব্র‌্যাডলে জন ওয়াটলিং। তার জন্যই গোটা ক্রিকেটবিশ্ব আজ কুর্নিশ জানাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে।
EiSamay.Com BJ Watling
অবসর নিলেন বিজে ওয়াটলিং

ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলেই অবসর নেবেন। আগেই ঘোষণা করেছিলেন ওয়াটলিং। ফাইনালের ষষ্ঠ দিন ছিল তাঁর কাছে বিদায়বেলার অন্তিম মুহূর্ত। হাতের আঙুলের হাড় সরে যাওয়ার পরেও গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ওয়াটলিং।

ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই রকম স্মরণীয় বিদায় কজনের ভাগ্যেই বা জোটে? ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ হাতে ক্রিকেটকে বিদায় জনিয়েছিলে ইমরান খান। আর টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্বসেরা দলের সদস্য হয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়াটলিং। তাঁর আবেগঘন বিদায়ে চোখে জল উইলিয়ামসনদের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জয়ের আনন্দাশ্রু।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান থেকে নিউজিল্যান্ডে চলে না হয়তো ক্রিকেট খেলাই হত না ওয়াটলিংয়ের। ১০ বছর বয়সে বাবা–মা’‌র হাত ধরে হ্যামিলটনে চলে আসেন। ভর্তি হন হ্যামিলটন বয়েজ হাইস্কুলে। স্কুলেই প্রথাগত ক্রিকেটে হাতেখড়ি। সেইসময় হ্যামিলটন স্কুলের কোচ ছিলেন প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিস কুগলিজেন। হ্যামিলটন স্কুলকে জিলেট কাপে দু’‌দুবার চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে দুর্দান্ত অবদান ছিল ওয়াটলিংয়ের। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুল দল থেকেই সরাসরি ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ দলে।
২০০৪ সালেই অকল্যান্ডের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের জন্য প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

২০১০ সালে ম্যাকালাম শুধু একদিনের ক্রিকেটে কিপিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওয়াটলিংয়ের সামনে টেস্টে নিয়মিত খেলার সুযোগ এসে যায়। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মাত্র ৮টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়াটলিং। তার মধ্যে প্রথম ৬টি টেস্টে ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৭৫ টেস্টে ৩৭৯০ রান করেছেন ওয়াটলিং। সেঞ্চুরি ৮টি। উইকেটের পেছনে শিকার ২৭৫। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ছায়ায় ঢাকা থাকায় খুব বেশি একদিনের ও টি২০ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ঋদ্ধিমান সাহা যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনির ছায়ায় ঢাকা পড়েছিলেন, ঠিক তেমনই। ২৮টি একদিনের ম্যাচে রান ৫৭৩। আর ৫টি টি২০ ম্যাচে রান করেছেন ৩৮। টেস্ট ক্রিকেটে ওয়াটলিংয়ের স্মরণীয় ইনিংস ২০১৯–এর নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০৫ রান। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি টেস্টে দ্বিশতরান করেছিলেন। ‌

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল