বেঙ্গালুরু ২০১-৩ (২০ ওভারে)
মুম্বই ২০১-৫ (২০ ওভারে)
(সুপার ওভারে, মুম্বই ৭-১, বেঙ্গালুরু ১১-০)
এই একটা চারের অপেক্ষায় বোধহয় ছিলেন বিরাট কোহলি!
একটা চার- যা এই আইপিএলে প্রথম এল তাঁর ব্যাট থেকে। একটা চার- সুপার ওভারে অচেনা বিরাটকে ফেরাল চেনা বিরাটে! জশপ্রীত বুমরা নামক বোলারের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো একটা চার- আরও একবার সেই আগ্রাসী বিরাটকে ফিরিয়ে দিল!
অথচ তার আগে? ১৪ আর ১-এর পর ৩। বিরাটের হলটা কী? এই প্রশ্নে তখন তোলপাড় নেটদুনিয়া। সব মিলিয়ে আমিরশাহির আইপিএলে খেলেছেন ২৯টা বল। করেছেন বাউন্ডারিহীন ১৮ রান। বিরাটের আইপিএল রেকর্ড বলছিল, এ বারের তিনটে ম্যাচ শুধু নয়, গত বারও ১১ টা ম্যাচে ৫০ পার করতে পারেননি। সোমবারের বিরাট হয়তো হাফ সেঞ্চুরি পেলেন না। কিন্তু সুপার ওভারের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার মেরে জেতালেন আরসিবিকে। বিরাট-প্রত্যাবর্তনের এই ঝলকটাই বা কম কী? ব্যাটে রান না থাকা সত্ত্বেও আরসিবি ক্যাপ্টেন নেতার ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হলেন সুপার ওভারে। মুম্বইয়ের ৭ রানের লক্ষ্য এবি ডে ভিলিয়ার্সকে নিয়ে টপকে গেল বিরাটের টিম (১১-০)।
ম্যাচের পর সুখী দেখাচ্ছিল বিরাটকে। রোহিতের মুম্বইকে হারিয়ে বলে গেলেন, 'টিম ভালো রান তুলেছিল। তার পরও চাপ তৈরি হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো তো এমনই গায়ে গায়ে হয়।'
আইপিএল-১৩-র এক-একটা ম্যাচ যেন আরব্য উপন্যাসের চেহারা নিচ্ছে। ঝড় পাল্টা ঝড়, হাফ সেঞ্চুরির জবাবে হাফ সেঞ্চুরি, তারুণ্যের উত্থান, অভাবনীয় পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া। সোমবার মুম্বই বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচে ইশান কিষাণ নামের আর এক তরুণের ঝড় দেখল। বোর্ডে ২০০ রানও আজকাল নিরাপদ নয় আইপিএলে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে রাজস্থান প্রমাণ করেছে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মুম্বইও প্রায় করে ফেলছিল। রোহিত শর্মা (৮), কুইন্টন ডি কক (১৪), সূর্য যাদব (০), হার্দিক পান্ডিয়ারা (১৫) পর পর ফিরে গেলেও ইশান কিষাণ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন খেলা। ৫৮ বলে ইশান করেন ৯৯। মেরেছেন ৯টা ছয়, ২টো চার। ম্যাচটা টাই হওয়ার আসল নায়ক তিনিই। ছয় মারতে গিয়ে আউট না হলে ম্যাচ আর সেঞ্চুরি দুটোই পকেটে পুরতে পারতেন ইশান। আর সঙ্গী কায়রন পোলার্ড, ২৪ বলে ৬০ নট আউট।
তার আগে, বিরাটের ব্যর্থতার দিনেও বেঙ্গালুরু ২০১-৩ তুলেছিল। তিন জনের কাঁধে ভর করে। শুরুটা করেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৫ বলে ৫২ করপে। শেষটা করলেন দেবদত্ত পাডিক্কাল ও এবি ডে ভিলিয়ার্স। দেবদত্ত ৪০ বলে করেন ৫৪। এই আইপিএলে তাঁর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। আর এবিডি ২৪ বলে ৫৫ নট আউট। চারটে ছয় ও চারটে চার দিয়ে।
এই আইপিএল বোধহয় তরুণদের জন্যই তোলা আছে। সঞ্জু স্যামসন, শুবমান গিল, পৃথ্বী শ, শিবম মাভিরা প্রতিটা ম্যাচে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করছেন। এতটাই ধারালো দেখাচ্ছে তাঁদের, তারকারাও পাল্লা দিতে পারছেন না। এই তালিকাতে থাকবেন দেবদত্তও। ৫৬ দিয়ে শুরু করেছিলেন আইপিএল। আগের ম্যাচটাতে রান পাননি। এই ম্যাচে ফের দেবদত্তের ব্যাটে ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বাঁ হাতি ওপেনার ভীষণ সাবলীল ব্যাট করছেন। মনেই হচ্ছে না, এটা প্রথম আইপিএল তাঁর। ৪০ বলে ২টো ছয়, ৫টা চার দিয়ে যত্ন করে সাজানো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস দেবদত্তের।
তবু ইশান-পোলার্ডরা নন, আলোচনা থাকবে বিরাটকে নিয়ে। এখান থেকেই কি স্বমহিমায় ফিরবেন বিরাট?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বেঙ্গালুরু ২০১-৩ (এবিডি ৫৫ নট আউট, দেবদত্ত ৫৪, বোল্ট ২-৩৪)। মুম্বই ২০১-৫ (ইশান ৯৯, পোলার্ড নট আউ ৬০, উদানা ২-৪৫)।
মুম্বই ২০১-৫ (২০ ওভারে)
(সুপার ওভারে, মুম্বই ৭-১, বেঙ্গালুরু ১১-০)
এই একটা চারের অপেক্ষায় বোধহয় ছিলেন বিরাট কোহলি!
একটা চার- যা এই আইপিএলে প্রথম এল তাঁর ব্যাট থেকে। একটা চার- সুপার ওভারে অচেনা বিরাটকে ফেরাল চেনা বিরাটে! জশপ্রীত বুমরা নামক বোলারের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো একটা চার- আরও একবার সেই আগ্রাসী বিরাটকে ফিরিয়ে দিল!
অথচ তার আগে? ১৪ আর ১-এর পর ৩। বিরাটের হলটা কী? এই প্রশ্নে তখন তোলপাড় নেটদুনিয়া। সব মিলিয়ে আমিরশাহির আইপিএলে খেলেছেন ২৯টা বল। করেছেন বাউন্ডারিহীন ১৮ রান। বিরাটের আইপিএল রেকর্ড বলছিল, এ বারের তিনটে ম্যাচ শুধু নয়, গত বারও ১১ টা ম্যাচে ৫০ পার করতে পারেননি। সোমবারের বিরাট হয়তো হাফ সেঞ্চুরি পেলেন না। কিন্তু সুপার ওভারের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার মেরে জেতালেন আরসিবিকে। বিরাট-প্রত্যাবর্তনের এই ঝলকটাই বা কম কী? ব্যাটে রান না থাকা সত্ত্বেও আরসিবি ক্যাপ্টেন নেতার ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হলেন সুপার ওভারে। মুম্বইয়ের ৭ রানের লক্ষ্য এবি ডে ভিলিয়ার্সকে নিয়ে টপকে গেল বিরাটের টিম (১১-০)।
ম্যাচের পর সুখী দেখাচ্ছিল বিরাটকে। রোহিতের মুম্বইকে হারিয়ে বলে গেলেন, 'টিম ভালো রান তুলেছিল। তার পরও চাপ তৈরি হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো তো এমনই গায়ে গায়ে হয়।'
আইপিএল-১৩-র এক-একটা ম্যাচ যেন আরব্য উপন্যাসের চেহারা নিচ্ছে। ঝড় পাল্টা ঝড়, হাফ সেঞ্চুরির জবাবে হাফ সেঞ্চুরি, তারুণ্যের উত্থান, অভাবনীয় পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া। সোমবার মুম্বই বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচে ইশান কিষাণ নামের আর এক তরুণের ঝড় দেখল। বোর্ডে ২০০ রানও আজকাল নিরাপদ নয় আইপিএলে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে রাজস্থান প্রমাণ করেছে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মুম্বইও প্রায় করে ফেলছিল। রোহিত শর্মা (৮), কুইন্টন ডি কক (১৪), সূর্য যাদব (০), হার্দিক পান্ডিয়ারা (১৫) পর পর ফিরে গেলেও ইশান কিষাণ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন খেলা। ৫৮ বলে ইশান করেন ৯৯। মেরেছেন ৯টা ছয়, ২টো চার। ম্যাচটা টাই হওয়ার আসল নায়ক তিনিই। ছয় মারতে গিয়ে আউট না হলে ম্যাচ আর সেঞ্চুরি দুটোই পকেটে পুরতে পারতেন ইশান। আর সঙ্গী কায়রন পোলার্ড, ২৪ বলে ৬০ নট আউট।
তার আগে, বিরাটের ব্যর্থতার দিনেও বেঙ্গালুরু ২০১-৩ তুলেছিল। তিন জনের কাঁধে ভর করে। শুরুটা করেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৫ বলে ৫২ করপে। শেষটা করলেন দেবদত্ত পাডিক্কাল ও এবি ডে ভিলিয়ার্স। দেবদত্ত ৪০ বলে করেন ৫৪। এই আইপিএলে তাঁর দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। আর এবিডি ২৪ বলে ৫৫ নট আউট। চারটে ছয় ও চারটে চার দিয়ে।
এই আইপিএল বোধহয় তরুণদের জন্যই তোলা আছে। সঞ্জু স্যামসন, শুবমান গিল, পৃথ্বী শ, শিবম মাভিরা প্রতিটা ম্যাচে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করছেন। এতটাই ধারালো দেখাচ্ছে তাঁদের, তারকারাও পাল্লা দিতে পারছেন না। এই তালিকাতে থাকবেন দেবদত্তও। ৫৬ দিয়ে শুরু করেছিলেন আইপিএল। আগের ম্যাচটাতে রান পাননি। এই ম্যাচে ফের দেবদত্তের ব্যাটে ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বাঁ হাতি ওপেনার ভীষণ সাবলীল ব্যাট করছেন। মনেই হচ্ছে না, এটা প্রথম আইপিএল তাঁর। ৪০ বলে ২টো ছয়, ৫টা চার দিয়ে যত্ন করে সাজানো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস দেবদত্তের।
তবু ইশান-পোলার্ডরা নন, আলোচনা থাকবে বিরাটকে নিয়ে। এখান থেকেই কি স্বমহিমায় ফিরবেন বিরাট?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বেঙ্গালুরু ২০১-৩ (এবিডি ৫৫ নট আউট, দেবদত্ত ৫৪, বোল্ট ২-৩৪)। মুম্বই ২০১-৫ (ইশান ৯৯, পোলার্ড নট আউ ৬০, উদানা ২-৪৫)।